alt

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

একবার প্রণোদনার ঋণ পাওয়া ব্যবসায়ীদের নতুন ঋণ নয়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষতি কাটাতে শিল্প ও সেবা খাতের জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ যেসব ব্যবসায়ী পাননি নতুন প্রণোদনার ঋণগুলো তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এখন থেকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে শিল্প ও সেবা খাতের ক্ষতিগ্রস্ত যেসব প্রতিষ্ঠান এ প্যাকেজের আওতায় কোন সুবিধা পায়নি সেসব প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন বুধবার (২৮ জুলাই) সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত বছরের ১২ এপ্রিল ও ২৫ জুন ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় আর্থিক প্রণোদনা’ শীর্ষক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রথম প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের যেসব প্রতিষ্ঠান করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুধুমাত্র সেসব প্রতিষ্ঠান এ প্যাকেজের আওতায় সুবিধা পাবে। এই প্যাকেজের আওতায় অতিরিক্ত চাহিদার বিপরীতে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বেশি প্রতিষ্ঠান যাতে এ প্যাকেজের আওতায় ঋণ সুবিধা পায় সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়। দ্বিতীয় অর্থাৎ ২৫ জুনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, এই প্যাকেজের ঋণ প্রাপ্যতার সমপরিমাণ অর্থ কোন গ্রাহকের অনুকূলে এক বছরে প্রদান করা সম্ভব না হলে অবশিষ্ট অর্থ প্যাকেজের বাকি মেয়াদের মধ্যে প্রদান করতে হবে।

বুধবারের নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্যাকেজের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা স্বল্প সংখ্যক গ্রাহকদের মধ্যে কেন্দ্রীভূত না করে ক্ষতিগ্রস্ত অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের ক্ষতিগ্রস্ত যেসব প্রতিষ্ঠান এ প্যাকেজের আওতায় এখনও সুবিধা পায়নি সেসব প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ এরই মধ্যে এই প্যাকেজের আওতায় যারা ঋণ পেয়েছেন তাদের নতুন করে আর কোন ঋণ না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে আগে জারি করা প্রজ্ঞাপনগুলোর অন্য নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলে নতুন প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বছরের ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন যা ছিল জিডিপির ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ওই প্যাকেজের আওতায় শিল্প ও সেবা খাতের ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ তহবিল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে ১২ এপ্রিল ওই প্রণোদনা প্যাকেজের নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালায় বলা হয়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণ দেবে। এই ঋণে সুদের হার হবে ৯ শতাংশ।

এর মধ্যে অর্ধেক, অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করবে ঋণ গ্রহীতা শিল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে। ব্যাপক চাহিদার কারণে পরে এই প্যাকেজের আকার ৩০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত এই প্যাকেজের আওতায় মোট ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংক একীভূত হয়ে হবে দুই

ছবি

এবার একীভূত হচ্ছে ‘সোনালীর সাথে বিডিবিএল’ ও ‘কৃষির সাথে রাকাব’

ছবি

শেয়ার প্রতি ১ পয়সা লভ্যাংশ দেবে একমি পেস্টিসাইড

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডের কর্মীদের জন্য মেটলাইফের বীমা সুরক্ষা

গাজীপুরে এক বছরে ট্রাফিক পুলিশের ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়

ছবি

প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে: বিশ্বব্যাংক

ছবি

সিএসআর ফান্ডের আওতায় কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা করল সাউথইস্ট ব্যাংক

ছবি

ডেমরায় বাস গ্যারেজে আগুন

ছবি

নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও সেইহারে বাড়েনি তামাকপণ্যের দাম

ছবি

প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া সেই ভূমি অফিস কর্মী সাময়িক বরখাস্ত

ব্যাংক ঋণের সুদহার আরও বাড়লো

ছবি

বেক্সিমকোর ২ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দিলো বিএসইসি

শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করব : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ছবি

ঈদে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল বিমান

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

একবার প্রণোদনার ঋণ পাওয়া ব্যবসায়ীদের নতুন ঋণ নয়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষতি কাটাতে শিল্প ও সেবা খাতের জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ যেসব ব্যবসায়ী পাননি নতুন প্রণোদনার ঋণগুলো তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এখন থেকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে শিল্প ও সেবা খাতের ক্ষতিগ্রস্ত যেসব প্রতিষ্ঠান এ প্যাকেজের আওতায় কোন সুবিধা পায়নি সেসব প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন বুধবার (২৮ জুলাই) সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত বছরের ১২ এপ্রিল ও ২৫ জুন ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় আর্থিক প্রণোদনা’ শীর্ষক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রথম প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের যেসব প্রতিষ্ঠান করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুধুমাত্র সেসব প্রতিষ্ঠান এ প্যাকেজের আওতায় সুবিধা পাবে। এই প্যাকেজের আওতায় অতিরিক্ত চাহিদার বিপরীতে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বেশি প্রতিষ্ঠান যাতে এ প্যাকেজের আওতায় ঋণ সুবিধা পায় সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়। দ্বিতীয় অর্থাৎ ২৫ জুনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, এই প্যাকেজের ঋণ প্রাপ্যতার সমপরিমাণ অর্থ কোন গ্রাহকের অনুকূলে এক বছরে প্রদান করা সম্ভব না হলে অবশিষ্ট অর্থ প্যাকেজের বাকি মেয়াদের মধ্যে প্রদান করতে হবে।

বুধবারের নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্যাকেজের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা স্বল্প সংখ্যক গ্রাহকদের মধ্যে কেন্দ্রীভূত না করে ক্ষতিগ্রস্ত অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের ক্ষতিগ্রস্ত যেসব প্রতিষ্ঠান এ প্যাকেজের আওতায় এখনও সুবিধা পায়নি সেসব প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ এরই মধ্যে এই প্যাকেজের আওতায় যারা ঋণ পেয়েছেন তাদের নতুন করে আর কোন ঋণ না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে আগে জারি করা প্রজ্ঞাপনগুলোর অন্য নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলে নতুন প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বছরের ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন যা ছিল জিডিপির ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ওই প্যাকেজের আওতায় শিল্প ও সেবা খাতের ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণ তহবিল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে ১২ এপ্রিল ওই প্রণোদনা প্যাকেজের নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালায় বলা হয়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণ দেবে। এই ঋণে সুদের হার হবে ৯ শতাংশ।

এর মধ্যে অর্ধেক, অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করবে ঋণ গ্রহীতা শিল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে। ব্যাপক চাহিদার কারণে পরে এই প্যাকেজের আকার ৩০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত এই প্যাকেজের আওতায় মোট ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

back to top