স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সুপারিশ করা হয়েছে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানোর জন্য। যেদিন এই সুপারিশ করা হলো সেদিনেই গার্মেন্টসহ রপ্তানীমুখী শিল্প কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত আসলো।
মালিকদের অনুরোধে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে আগামীকাল ১ অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা রাখার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে রপ্তানিমুখী কারখানাকে রোববার সকাল ৬টা থেকে বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গতকালই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আরও ১০ দিন আগেই কেবিনেট মিটিংয়ে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। যদিও এ ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কীভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেবো? রোগীদের কোথায় জায়গা দেবো? সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব? অবস্থা খুবই খারাপ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনাতেই আমরা বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।’
ঈদুল আজহার পর গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যখন ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। এর আগে থেকে লকডাউনে গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানার মালিকরা তাদের কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে দেন-দরবার করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত মালিকদের চাপের মুখে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানীমুখী কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ঢাকামুখী মানুষের চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ এমনেতেই ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। এর মধ্যে আবার ডেঙ্গুর বিস্তার লাভ করেছে। সব কিছু একটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এসব স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে লাখ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক প্রবেশ করলে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সরকার যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই আমাদের মেনে নিতে হবে।’
করোনার উচ্চ সংক্রমণ হারের কারণে ঈদের পরদিন ২৩ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে শিল্প কারখানা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস আদালত বন্ধ রাখা হয়।
তবে তৈরি পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের শিল্প কারখানা খুলে দিতে সরকারের উচ্চ মহলে বারবার অনুরোধ করছিলেন শিল্প মালিকরা। গত বৃহস্পতিবার তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবারও অনুরোধ জানান। ওইদিন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ ও ঢাকা চেম্বারের নেতারা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে এই অনুরোধ জানান।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর শঙ্কা, সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়া, বন্দরে জট, সার্বিক অর্থনীতিসহ সবকিছু বিবেচনা নিয়েই তারা এ অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়েছেন। কারখানা খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের পর বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘এখন শুধু রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলবে।’
কারখানার কর্র্মী ও শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ কারখানার শ্রমিক কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন। আপাতত তাদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়া হবে। এর মধ্যে যারা বাড়ি চলে গেছেন, এসব শ্রমিক যদি আসতে পারেন তাহলে চলে আসবেন।’
করোনার উচ্চ সংক্রমণ হারের কারণে গত ১ জুলাই থেকেই লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরও সংক্রমণের ঊধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সুপারিশ করা হয়েছে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানোর জন্য। যেদিন এই সুপারিশ করা হলো সেদিনেই গার্মেন্টসহ রপ্তানীমুখী শিল্প কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত আসলো।
মালিকদের অনুরোধে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে আগামীকাল ১ অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা রাখার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে রপ্তানিমুখী কারখানাকে রোববার সকাল ৬টা থেকে বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গতকালই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আরও ১০ দিন আগেই কেবিনেট মিটিংয়ে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। যদিও এ ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কীভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেবো? রোগীদের কোথায় জায়গা দেবো? সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব? অবস্থা খুবই খারাপ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনাতেই আমরা বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।’
ঈদুল আজহার পর গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যখন ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। এর আগে থেকে লকডাউনে গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানার মালিকরা তাদের কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে দেন-দরবার করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত মালিকদের চাপের মুখে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানীমুখী কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ঢাকামুখী মানুষের চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ এমনেতেই ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। এর মধ্যে আবার ডেঙ্গুর বিস্তার লাভ করেছে। সব কিছু একটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এসব স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে লাখ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক প্রবেশ করলে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সরকার যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই আমাদের মেনে নিতে হবে।’
করোনার উচ্চ সংক্রমণ হারের কারণে ঈদের পরদিন ২৩ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে শিল্প কারখানা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস আদালত বন্ধ রাখা হয়।
তবে তৈরি পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের শিল্প কারখানা খুলে দিতে সরকারের উচ্চ মহলে বারবার অনুরোধ করছিলেন শিল্প মালিকরা। গত বৃহস্পতিবার তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবারও অনুরোধ জানান। ওইদিন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ ও ঢাকা চেম্বারের নেতারা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে এই অনুরোধ জানান।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর শঙ্কা, সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়া, বন্দরে জট, সার্বিক অর্থনীতিসহ সবকিছু বিবেচনা নিয়েই তারা এ অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়েছেন। কারখানা খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের পর বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘এখন শুধু রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলবে।’
কারখানার কর্র্মী ও শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ কারখানার শ্রমিক কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন। আপাতত তাদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়া হবে। এর মধ্যে যারা বাড়ি চলে গেছেন, এসব শ্রমিক যদি আসতে পারেন তাহলে চলে আসবেন।’
করোনার উচ্চ সংক্রমণ হারের কারণে গত ১ জুলাই থেকেই লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরও সংক্রমণের ঊধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।