জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ করল। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের এ সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে সুপারিশের খবর জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে
জানা গেছে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রনালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এটিকে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং একে বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার এক মহান মাইলফলক বলে অভিহিত দিয়েছেন।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও লাওসের ক্ষেত্রেও একই সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই তিন দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর প্রস্তুতির সময় পাবে। সাধারণত প্রস্তুতির জন্য তিন বছর সময় দেওয়া হয়। করোনার কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো এলডিসি থেকে উত্তরণের মানদন্ড পূরণের সুপারিশ লাভ করে বাংলাদেশ। সিডিপি একই সঙ্গে বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর প্রস্তুতিকালীন সময় দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যে দেশ জাতিসংঘ নির্ধারিত তিনটি মানদন্ড পূরণের মাধ্যমে এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের এ অর্জন বিশ্ব অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এবং আরও অধিকতর উন্নয়নের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।
প্রস্তুতিকালে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছিল, সেগুলো অব্যাহত থাকবে। তা ছাড়া বর্তমান নিয়মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর আরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশ তুলনামূলক দুর্বল, সেসব দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৭১ সালে জাতিসংঘ প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা তৈরি করে। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ করল। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের এ সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে সুপারিশের খবর জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে
জানা গেছে গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রনালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এটিকে ‘ঐতিহাসিক অর্জন’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং একে বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার এক মহান মাইলফলক বলে অভিহিত দিয়েছেন।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও লাওসের ক্ষেত্রেও একই সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই তিন দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর প্রস্তুতির সময় পাবে। সাধারণত প্রস্তুতির জন্য তিন বছর সময় দেওয়া হয়। করোনার কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো এলডিসি থেকে উত্তরণের মানদন্ড পূরণের সুপারিশ লাভ করে বাংলাদেশ। সিডিপি একই সঙ্গে বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর প্রস্তুতিকালীন সময় দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যে দেশ জাতিসংঘ নির্ধারিত তিনটি মানদন্ড পূরণের মাধ্যমে এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের এ অর্জন বিশ্ব অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এবং আরও অধিকতর উন্নয়নের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।
প্রস্তুতিকালে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছিল, সেগুলো অব্যাহত থাকবে। তা ছাড়া বর্তমান নিয়মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর আরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশ তুলনামূলক দুর্বল, সেসব দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১৯৭১ সালে জাতিসংঘ প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা তৈরি করে। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।