সিলেটে কােরবানিতে জবাইকৃত একটি গরুর চামড়া ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে! আর ছাগলের চামড়াতাে কেউ নিচ্ছেই না। ফলে তা ফ্রি দিয়েই চলে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এ খাতে বিনিয়ােগ করে এখন চরম ক্ষতির মুখে চামড়া ব্যবসায়ীরা।
এ বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে। সারা দেশে প্রতি বর্গফুট ছাগলের কাঁচা চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে শনিবার ঈদের দিনে নগরীর রেজাস্টারি মাঠ ও ঝালোপাড়া চামড়ার আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা চামড়া নিয়ে বসে আছেন কিন্তু কোনো ক্রেতা নেই। কিছু ক্রেতা এলেও সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনছেন না কেউই।
বড় আকারের গরুর চামড়া প্রতি পিস ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কিন্তু ছোট আকারের গরুর চামড়া প্রতি পিস ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে দরে চামড়া বিক্রি হতে দেখা যায়নি।
খুচরো পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা বেশি দাম দিয়ে প্রতি পিস চামড়া সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা, যারা ট্যানারিতে নিয়ে চামড়া বিক্রি করেন, তারা নানা কারণ দেখিয়ে দাম বেশি দিতে নারাজ।
সিলেট জালালাবাদ বহুমুখী চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ জানান, এবার কোরবানির ঈদে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চামড়াও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া চামড়ার দামও মিলছে না। তিনি জানান, একদিকে ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা নেই। অন্যদিকে চার বছর ধরে আড়তদার আর ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে। এবার মাত্র ২৫ শতাংশ পাওনা আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের কথার সাথে মিল রেখে দয়ামীর দারুল কোরআন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোশাহিদ আলী বলেন, সিলেটে এ বছর পানির দামে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে। গত বছরও যে চামড়া ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এ বছর তার অর্ধেকেরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাদ্রাসায় অনুদান হিসেবে পাওয়া চার শতাধিক চামড়া প্রতিটি দুই থেকে আড়াশ টাকায় বিক্রি করেছি। সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় কয়েকটা চামড়া বিক্রি করতে পেরেছি। গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে এত কম দাম দেখিনি।
নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফুট হিসেবে নয়, মৌসুমি ক্রেতারা চামড়া কিনছেন আকার ভেদে। প্রতিটি গরুর চামড়া ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় কিনেছেন তারা।
সিলেট চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শাহিন আহমদ বলেন, সিলেটের তিন শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ীর মধ্যে বেশির ভাগই এ বছর ক্ষতির আশঙ্কায় চামড়া কেনেননি। এই সুযোগে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কম দামে চামড়া কিনে নিয়েছেন। কম দামে কিনলেও তারা লাভ করতে পারবেন তা এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
রোববার, ০২ আগস্ট ২০২০
সিলেটে কােরবানিতে জবাইকৃত একটি গরুর চামড়া ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে! আর ছাগলের চামড়াতাে কেউ নিচ্ছেই না। ফলে তা ফ্রি দিয়েই চলে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এ খাতে বিনিয়ােগ করে এখন চরম ক্ষতির মুখে চামড়া ব্যবসায়ীরা।
এ বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে। সারা দেশে প্রতি বর্গফুট ছাগলের কাঁচা চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে শনিবার ঈদের দিনে নগরীর রেজাস্টারি মাঠ ও ঝালোপাড়া চামড়ার আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা চামড়া নিয়ে বসে আছেন কিন্তু কোনো ক্রেতা নেই। কিছু ক্রেতা এলেও সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনছেন না কেউই।
বড় আকারের গরুর চামড়া প্রতি পিস ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কিন্তু ছোট আকারের গরুর চামড়া প্রতি পিস ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে দরে চামড়া বিক্রি হতে দেখা যায়নি।
খুচরো পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা বেশি দাম দিয়ে প্রতি পিস চামড়া সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা, যারা ট্যানারিতে নিয়ে চামড়া বিক্রি করেন, তারা নানা কারণ দেখিয়ে দাম বেশি দিতে নারাজ।
সিলেট জালালাবাদ বহুমুখী চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ জানান, এবার কোরবানির ঈদে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চামড়াও সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া চামড়ার দামও মিলছে না। তিনি জানান, একদিকে ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা নেই। অন্যদিকে চার বছর ধরে আড়তদার আর ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে। এবার মাত্র ২৫ শতাংশ পাওনা আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের কথার সাথে মিল রেখে দয়ামীর দারুল কোরআন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোশাহিদ আলী বলেন, সিলেটে এ বছর পানির দামে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে। গত বছরও যে চামড়া ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এ বছর তার অর্ধেকেরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাদ্রাসায় অনুদান হিসেবে পাওয়া চার শতাধিক চামড়া প্রতিটি দুই থেকে আড়াশ টাকায় বিক্রি করেছি। সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় কয়েকটা চামড়া বিক্রি করতে পেরেছি। গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে এত কম দাম দেখিনি।
নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফুট হিসেবে নয়, মৌসুমি ক্রেতারা চামড়া কিনছেন আকার ভেদে। প্রতিটি গরুর চামড়া ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় কিনেছেন তারা।
সিলেট চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শাহিন আহমদ বলেন, সিলেটের তিন শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ীর মধ্যে বেশির ভাগই এ বছর ক্ষতির আশঙ্কায় চামড়া কেনেননি। এই সুযোগে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কম দামে চামড়া কিনে নিয়েছেন। কম দামে কিনলেও তারা লাভ করতে পারবেন তা এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।