ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ঈদের দিন জমা হওয়া কোরবানির পশু বর্জ্যের বেশিরভাগই রাতের মধ্যে অপসারণের দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, তার এলাকার কোরবানির বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ শনিবার দিনের মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে।
আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রাসেল রহমান বলেছেন, তাদের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭০টি ওয়ার্ডের ‘শতভাগ’ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এর আগে বলেছিলেন, সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেওয়া ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছেন।
ঢাকায় এ বছর প্রায় ৫০ হাজার টনের মত বর্জ্য তৈরি হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। সেভাবেই দ্রুততম সময়ে বর্জ্য অপসারণের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
এ কাজে যোগ দেন প্রায় ২০ হাজার ২৬৭ পরিচ্ছন্নতাকর্মী, যাদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
দ্রুত ও নির্ধারিত সময়ে বর্জ্য অপসারণে দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার প্লাস্টিক, পলিব্যাগ ও বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হয় এবার। এছাড়া হটলাইন চালু রাখা হয় যাতে নাগরিকরা বর্জ্য সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারেন।
বেলা আড়াইটার দিকে আগারগাঁও বিজ্ঞান জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “দুই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণ যথাসময়ে শেষ করতে পারবো আশা করি। দুই সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।”
কাজের অগ্রগতি জানাতে সন্ধ্যায় ঢাকা উত্তর নগর ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
তিনি বলেন, “ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মতৎপরতা এবং জনগণের সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে রাস্তার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হবে।”
প্রশাসক বলেন, “আমরা অনুমান করছি এবছর কোরবানিতে মোট বিশ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হতে পারে। সে হিসেবে আমাদের দশ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও প্রয়োজনীয় ট্রাক, পিক-আপ, ভ্যানসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
“কোরবানির প্রথম দিনে প্রায় ৯২০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে যার মধ্যে ৭৮০০ টন কোরবানির বর্জ্য ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে। এছাড়াও পুরো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।”
নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশাসক বলেন, “এবছর ডিএনসিসি থেকে সরবরাহকৃত পলিব্যাগে কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে রাখায় সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। নগরবাসী এভাবে সহায়তা করলে পুরো কার্যক্রম খুব সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন হবে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রাসেল রহমান সন্ধ্যায় বলেন, তাদের এলাকার ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭০টি ওয়ার্ডে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
রোববার, ০৮ জুন ২০২৫
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ঈদের দিন জমা হওয়া কোরবানির পশু বর্জ্যের বেশিরভাগই রাতের মধ্যে অপসারণের দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, তার এলাকার কোরবানির বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ শনিবার দিনের মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে।
আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রাসেল রহমান বলেছেন, তাদের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭০টি ওয়ার্ডের ‘শতভাগ’ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এর আগে বলেছিলেন, সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেওয়া ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছেন।
ঢাকায় এ বছর প্রায় ৫০ হাজার টনের মত বর্জ্য তৈরি হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। সেভাবেই দ্রুততম সময়ে বর্জ্য অপসারণের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
এ কাজে যোগ দেন প্রায় ২০ হাজার ২৬৭ পরিচ্ছন্নতাকর্মী, যাদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
দ্রুত ও নির্ধারিত সময়ে বর্জ্য অপসারণে দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার প্লাস্টিক, পলিব্যাগ ও বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হয় এবার। এছাড়া হটলাইন চালু রাখা হয় যাতে নাগরিকরা বর্জ্য সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারেন।
বেলা আড়াইটার দিকে আগারগাঁও বিজ্ঞান জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “দুই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণ যথাসময়ে শেষ করতে পারবো আশা করি। দুই সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।”
কাজের অগ্রগতি জানাতে সন্ধ্যায় ঢাকা উত্তর নগর ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
তিনি বলেন, “ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মতৎপরতা এবং জনগণের সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে রাস্তার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হবে।”
প্রশাসক বলেন, “আমরা অনুমান করছি এবছর কোরবানিতে মোট বিশ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হতে পারে। সে হিসেবে আমাদের দশ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও প্রয়োজনীয় ট্রাক, পিক-আপ, ভ্যানসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
“কোরবানির প্রথম দিনে প্রায় ৯২০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে যার মধ্যে ৭৮০০ টন কোরবানির বর্জ্য ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে। এছাড়াও পুরো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।”
নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশাসক বলেন, “এবছর ডিএনসিসি থেকে সরবরাহকৃত পলিব্যাগে কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে রাখায় সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। নগরবাসী এভাবে সহায়তা করলে পুরো কার্যক্রম খুব সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন হবে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রাসেল রহমান সন্ধ্যায় বলেন, তাদের এলাকার ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭০টি ওয়ার্ডে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।