ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়ে সরকার একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। আহত ব্যক্তিদের জন্য সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বেসরকারি হাসপাতাল এবং প্রয়োজনে বিদেশেও চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ধরনের চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে সরকার। আহতদের জন্য নগদ অর্থসহায়তা এবং পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ নীতিমালাও তৈরি হবে।
আজ একটি সংবাদ সম্মেলনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেলের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে বিএসএল ভবনে। সেখানে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, এবং শহীদ পরিবারের প্রতি সহমর্মিতার রোডম্যাপ তুলে ধরা হয়।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম জানিয়েছেন, শহীদ ও আহতদের তালিকা সঠিকভাবে যাচাই করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে এটি প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। তালিকাটি ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ইউনিক আইডি কার্ড প্রদান এবং ক্যাটাগরি ভিত্তিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও থাকবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আহত ব্যক্তিদের জন্য সরকারি হাসপাতালে আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। এ ক্ষেত্রে যে সেবাগুলো সরকারি হাসপাতালে নেই, সেগুলো বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিলে তার খরচও সরকার পরিশোধ করবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৮টি বেড ডেডিকেটেড রাখা হবে এবং প্রয়োজন হলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও ২০০ বেড প্রস্তুত থাকবে।
আহতদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে মানসিক ট্রমা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রয়োজনে বিদেশেও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আহতদের নগদ অর্থসহায়তা প্রদান করা হবে এবং আহত ব্যক্তিরা এখন পর্যন্ত যে চিকিৎসার খরচ করেছেন তা ফেরত দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারগুলোকে যেকোনো আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে যাতে নির্দোষ কেউ হয়রানির শিকার না হয়।
আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেলের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার জহিরুল ইসলাম। আহতদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
সরকার এই উদ্যোগের মাধ্যমে অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়ে সরকার একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। আহত ব্যক্তিদের জন্য সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বেসরকারি হাসপাতাল এবং প্রয়োজনে বিদেশেও চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ধরনের চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে সরকার। আহতদের জন্য নগদ অর্থসহায়তা এবং পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ নীতিমালাও তৈরি হবে।
আজ একটি সংবাদ সম্মেলনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেলের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে বিএসএল ভবনে। সেখানে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, এবং শহীদ পরিবারের প্রতি সহমর্মিতার রোডম্যাপ তুলে ধরা হয়।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম জানিয়েছেন, শহীদ ও আহতদের তালিকা সঠিকভাবে যাচাই করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে এটি প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। তালিকাটি ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ইউনিক আইডি কার্ড প্রদান এবং ক্যাটাগরি ভিত্তিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও থাকবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আহত ব্যক্তিদের জন্য সরকারি হাসপাতালে আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। এ ক্ষেত্রে যে সেবাগুলো সরকারি হাসপাতালে নেই, সেগুলো বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিলে তার খরচও সরকার পরিশোধ করবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৮টি বেড ডেডিকেটেড রাখা হবে এবং প্রয়োজন হলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও ২০০ বেড প্রস্তুত থাকবে।
আহতদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে মানসিক ট্রমা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রয়োজনে বিদেশেও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আহতদের নগদ অর্থসহায়তা প্রদান করা হবে এবং আহত ব্যক্তিরা এখন পর্যন্ত যে চিকিৎসার খরচ করেছেন তা ফেরত দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারগুলোকে যেকোনো আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে যাতে নির্দোষ কেউ হয়রানির শিকার না হয়।
আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেলের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার জহিরুল ইসলাম। আহতদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
সরকার এই উদ্যোগের মাধ্যমে অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।