ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কিসের ভিত্তিতে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে—তার ব্যাখ্যা চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রোববার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দায়েরকৃত মামলায় আজিজুর রহমানের সম্পৃক্ততা তদন্তের ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা মোতাবেক অতিসত্ত্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ৫০তম বার্ষিকীতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে কয়েকজন মারধর ও হেনস্তার শিকার হন। তাদের মধ্যে ছিলেন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। বেলা ১১টার দিকে তিনি হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে ৩২ নম্বরে যান। তোড়ার কাগজে লেখা ছিল—‘১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস’।
তাকে দেখেই বিএনপিকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ফুলের তোড়াটি কেড়ে নেন এবং মারধর চালায়। ভাঙচুর করা হয় তার রিকশাটিও। কান্নায় ভেঙে পড়েন আজিজুর। তিনি সাংবাদিকদের জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছেন এবং চারশ টাকা দিয়ে ফুলের তোড়া কিনেছেন। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার জন্যই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
ঘটনার পর পুলিশ তাকে আটক করে এবং ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সায়েন্সল্যাব এলাকায় গুলিবিদ্ধ মো. আরিফুল ইসলামের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ধানমন্ডি থানার এসআই মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান। শনিবার আদালতে তোলার পর তার জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এক বছর আগের ওই মামলা থেকে আজিজুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন। তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জানান, প্রক্রিয়া শেষ হলে তিনি মুক্তি পাবেন।
আজিজুরকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এমন প্রেক্ষাপটে জামিন পেলেন তিনি।
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কিসের ভিত্তিতে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে—তার ব্যাখ্যা চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রোববার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দায়েরকৃত মামলায় আজিজুর রহমানের সম্পৃক্ততা তদন্তের ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা মোতাবেক অতিসত্ত্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ৫০তম বার্ষিকীতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে কয়েকজন মারধর ও হেনস্তার শিকার হন। তাদের মধ্যে ছিলেন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। বেলা ১১টার দিকে তিনি হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে ৩২ নম্বরে যান। তোড়ার কাগজে লেখা ছিল—‘১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস’।
তাকে দেখেই বিএনপিকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ফুলের তোড়াটি কেড়ে নেন এবং মারধর চালায়। ভাঙচুর করা হয় তার রিকশাটিও। কান্নায় ভেঙে পড়েন আজিজুর। তিনি সাংবাদিকদের জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছেন এবং চারশ টাকা দিয়ে ফুলের তোড়া কিনেছেন। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার জন্যই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
ঘটনার পর পুলিশ তাকে আটক করে এবং ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সায়েন্সল্যাব এলাকায় গুলিবিদ্ধ মো. আরিফুল ইসলামের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ধানমন্ডি থানার এসআই মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান। শনিবার আদালতে তোলার পর তার জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে এক বছর আগের ওই মামলা থেকে আজিজুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন। তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জানান, প্রক্রিয়া শেষ হলে তিনি মুক্তি পাবেন।
আজিজুরকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এমন প্রেক্ষাপটে জামিন পেলেন তিনি।