শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমা চলাকালে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ দর্শকরা ময়মনসিংহের ছায়াবাণী সিনেমা হলে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
ঈদের দিন শনিবার বিকালে নগরীর সি কে ঘোষ রোড এলাকার সিনেমা হলটিতে হামলার পর একটি শো বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে পুনরায় ছবি চালু হয়।
সাড়ে ৭০০ আসন সংখ্যার দোতলা হলটিতে সাড়ে তিনটার শোয়ের শেষ সময়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে সিনেমা বন্ধ হয়ে গেলে দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে হলের ভেতর-বাইরে ভাঙচুর করে।
এতে বেশ কয়েকটি আসন, চেয়ার, পোস্টার, টিকিট কাউন্টারের দরজা-জানালা ভাঙা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত শো বন্ধ থাকে।
সিনেমার একজন দর্শক বলেন, “বিভাগের মধ্যে এই হলটি মোটামুটি ভালো। তাই আমি শেরপুর থেকে এসেছি ছবি দেখতে। সবকিছু ঠিকঠাক ছাড়া ঈদের মধ্যে কেমনে কর্তৃপক্ষ সিনেমা চালানোর সিদ্ধান্ত নিল।
“টিকিট কাটতে গিয়ে পড়তে হয়েছে সমস্যায়, হলের ভেতরে পানি। ছবি চলার সময়ে শেষ না হতেই বন্ধ হয়ে যাওয়া, এটা কোনোভাবেই মানা যায় না। তাই দর্শকরা ভাঙচুর করেছে।”
আরেক দর্শক বলেন, “হলের সামনে অপেক্ষমাণ শত শত দর্শক। শো শেষ না হলেও কর্তৃপক্ষ অনবরত টিকিট ছাড়ছেন। এটা কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না।
“ছবি চলাকালীন কখনো সাউন্ড নেই, আবার কখনো ডিসপ্লে বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই বিরক্তিকর। সুপার হিট ছবি ‘তাণ্ডব’। এই জন্য দর্শকরা উত্তেজিত।”
হলের ক্যাশিয়ার আল-আমীন শেখ বলেন, “সমস্যা বলে কয়ে আসে না। কিন্তু দর্শকরা এমন করবে তা আমাদের কল্পনারও বাহিরে। সমস্যা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সমাধানও হয়েছে। কিন্তু দোতলা থেকে দর্শকরা যেমনে একের পর এক আসন নিচে ছুড়ে মারছে এতে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। তারা চেয়ার, ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুর করে টাকাও লুট করেছে। এমন হলে হল চালানো যাবে না।”
ময়মনসিংহ মহানগরীর তিন নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. রাসেল বলেন, “ভাঙচুরের খবর পেয়ে দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অতিরিক্ত আবেগের কারণে এমন হয়েছে। কোনো কিছুর সমস্যা হতেই পারে, তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক না।”
এক সময় ময়মনসিংহ শহরে অজন্তা, ছায়াবাণী, অলকা, পূরবী ও সেনা অডিটরিয়াম- এই পাঁচটি সিনেমা হল ছিল। আশির দশকে এসব হলগুলো ছিল দর্শক প্রিয়। এক হল থেকে অন্য হলে মানুষ ছুটে চলতেন পছন্দের সিনেমা দেখতে। কিন্তু দিন দিন মানহীন সিনেমা, দর্শক খরা ও ২০০২ সালে সিনেমা হলে বোমা হলে তা বন্ধের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
এরপর পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যায় অজন্তা, অলকা ও সেনা অডিটরিয়াম। এরপর শহরে চালু ছিল পূরবী ও ছায়াবাণী সিনেমা হল। বেশ কিছুদিন ধরে দর্শক খরা নিয়েই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিল এই হল দুটি। কিন্তু ব্যবসায়িক মন্দাভাবের কারণে পূরবী সিনেমা হল ভেঙে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। ৫-৬ মাস ধরে পূরবী সিনেমা হল ভাঙার কার্যক্রম চলছে।
টিকে থাকা ছায়াবাণী হলেও বছরের দুই ঈদ ছাড়া তেমন দর্শক হয় না বললেই চলে। শাকিব খানের সুপার হিট ‘তাণ্ডব’ ছবি দেখতে ঈদের দিন সকাল থেকেই দর্শকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আসন সংখ্যার তুলনায় দর্শক বেশি হওয়ায় শো চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমা চলাকালে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ দর্শকরা ময়মনসিংহের ছায়াবাণী সিনেমা হলে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
ঈদের দিন শনিবার বিকালে নগরীর সি কে ঘোষ রোড এলাকার সিনেমা হলটিতে হামলার পর একটি শো বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে পুনরায় ছবি চালু হয়।
সাড়ে ৭০০ আসন সংখ্যার দোতলা হলটিতে সাড়ে তিনটার শোয়ের শেষ সময়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে সিনেমা বন্ধ হয়ে গেলে দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে হলের ভেতর-বাইরে ভাঙচুর করে।
এতে বেশ কয়েকটি আসন, চেয়ার, পোস্টার, টিকিট কাউন্টারের দরজা-জানালা ভাঙা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত শো বন্ধ থাকে।
সিনেমার একজন দর্শক বলেন, “বিভাগের মধ্যে এই হলটি মোটামুটি ভালো। তাই আমি শেরপুর থেকে এসেছি ছবি দেখতে। সবকিছু ঠিকঠাক ছাড়া ঈদের মধ্যে কেমনে কর্তৃপক্ষ সিনেমা চালানোর সিদ্ধান্ত নিল।
“টিকিট কাটতে গিয়ে পড়তে হয়েছে সমস্যায়, হলের ভেতরে পানি। ছবি চলার সময়ে শেষ না হতেই বন্ধ হয়ে যাওয়া, এটা কোনোভাবেই মানা যায় না। তাই দর্শকরা ভাঙচুর করেছে।”
আরেক দর্শক বলেন, “হলের সামনে অপেক্ষমাণ শত শত দর্শক। শো শেষ না হলেও কর্তৃপক্ষ অনবরত টিকিট ছাড়ছেন। এটা কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে না।
“ছবি চলাকালীন কখনো সাউন্ড নেই, আবার কখনো ডিসপ্লে বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই বিরক্তিকর। সুপার হিট ছবি ‘তাণ্ডব’। এই জন্য দর্শকরা উত্তেজিত।”
হলের ক্যাশিয়ার আল-আমীন শেখ বলেন, “সমস্যা বলে কয়ে আসে না। কিন্তু দর্শকরা এমন করবে তা আমাদের কল্পনারও বাহিরে। সমস্যা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সমাধানও হয়েছে। কিন্তু দোতলা থেকে দর্শকরা যেমনে একের পর এক আসন নিচে ছুড়ে মারছে এতে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। তারা চেয়ার, ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুর করে টাকাও লুট করেছে। এমন হলে হল চালানো যাবে না।”
ময়মনসিংহ মহানগরীর তিন নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. রাসেল বলেন, “ভাঙচুরের খবর পেয়ে দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অতিরিক্ত আবেগের কারণে এমন হয়েছে। কোনো কিছুর সমস্যা হতেই পারে, তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক না।”
এক সময় ময়মনসিংহ শহরে অজন্তা, ছায়াবাণী, অলকা, পূরবী ও সেনা অডিটরিয়াম- এই পাঁচটি সিনেমা হল ছিল। আশির দশকে এসব হলগুলো ছিল দর্শক প্রিয়। এক হল থেকে অন্য হলে মানুষ ছুটে চলতেন পছন্দের সিনেমা দেখতে। কিন্তু দিন দিন মানহীন সিনেমা, দর্শক খরা ও ২০০২ সালে সিনেমা হলে বোমা হলে তা বন্ধের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
এরপর পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যায় অজন্তা, অলকা ও সেনা অডিটরিয়াম। এরপর শহরে চালু ছিল পূরবী ও ছায়াবাণী সিনেমা হল। বেশ কিছুদিন ধরে দর্শক খরা নিয়েই খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিল এই হল দুটি। কিন্তু ব্যবসায়িক মন্দাভাবের কারণে পূরবী সিনেমা হল ভেঙে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। ৫-৬ মাস ধরে পূরবী সিনেমা হল ভাঙার কার্যক্রম চলছে।
টিকে থাকা ছায়াবাণী হলেও বছরের দুই ঈদ ছাড়া তেমন দর্শক হয় না বললেই চলে। শাকিব খানের সুপার হিট ‘তাণ্ডব’ ছবি দেখতে ঈদের দিন সকাল থেকেই দর্শকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আসন সংখ্যার তুলনায় দর্শক বেশি হওয়ায় শো চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।