রাজধানীর গণপরিবহন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন ছিল কম, যাত্রীও ছিল কম। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ মানার আগ্রহ ছিল না গণপরিবহনের চালক ও হেলপারদের। যাত্রী কম থাকায় বাসেরই অর্ধেক আসন ফাঁকা ছিল। তবে স্যানিটাইজার দিয়ে যাত্রীর হাত পরিষ্কার করা, ট্রিপের আগে পরে বাস জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা, পরিবহন-শ্রমিক ও যাত্রীদের সবার মাস্ক পরিধান করা, গ্লাভস নিশ্চিত করার বিষিয়টি তেমনভাবে চোখে পড়েনি। আর যেসব রুটে যাত্রী বেশি ছিল, সেখানে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার বিধিনিষেধও মানা হয়নি। সরকারি বিধিনিষেধ পালন করা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করার বা প্রয়োজনে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন কোন সংস্থার কার্যক্রমও চোখে পড়েনি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, তেজগাঁও, চিটাগাং রোড ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বিহঙ্গ পরিবহনের হেলপার সামাদের মুখে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক পরে যাত্রী ডাকা যায় না। তবে পকেটে সবসময়ই মাস্ক থাকে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে হেলপার-চালকরা বলছেন, এই গরমে মাস্ক পরে থাকা সম্ভব না। অন্য নির্দেশনা সম্পর্কে তারা পুরোপুরি অবগত না। লাব্বাইক পরিবহনের চালক রাজু জানান, যাত্রীরাই হাত স্যানিটাইজ করতে চায় না।
অন্যায্য ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেল যাত্রীদের কাছ থেকে। মিরপুর থেকে করোনা টেস্ট করিয়ে কাওরান বাজার ফিরছিলেন প্রবাসী শ্রমিক আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, মিরপুর থেকে কাওরান বাজার ভাড়া ১৫ টাকা। কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে ২৫ টাকা। আবার দাঁড় করিয়ে যাত্রী নিচ্ছে।
তবে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার বিধিনিষেধও অনেক ক্ষেত্রে মানা হয়নি। শনির আখড়া থেকে গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ীগামী একাধিক গণপরিবহনে বাস ভর্তি করে যাত্রী নিতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল। যাত্রীরা বলছেন, শর্ত অনুযায়ী ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যানবাহন চলাচল করার কথা। কিন্তু বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হলেও পরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে না। এ বিষয়ে যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত এক বছরে আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা এক বছরে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারিনি। স্টার্টিং পয়েন্টে বাস স্যানিটাইজ করা বা পরিবহন-শ্রমিকদের মাস্ক পরানো এটা আমরা আসলে নিশ্চিত করতে পারিনি। আবার যখন লকডাউন হয়, তখন এটা নিয়ে ভাববার বিষয় ছিল। তিনি আরও বলেন, যারা ভাড়া নেয় বা হেলপার তাদের পক্ষে ভাড়া নেয়া, যাত্রীদের হাত স্যানিটাইজ করা-এত কিছু আসলে সম্ভব না। এসব দায়িত্ব যদি তৃতীয় কোন পক্ষকে দেয়া হয়, তাহলে তারা এটা ভালোভাবে করতে পারে। বিনিময়ে তারা যাত্রীদের দেয়া অতিরিক্ত ভাড়া থেকে তাদের প্রাপ্যটা নিতে পারে। এক্ষেত্রে বাস মালিকরা তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে কাজটা করাতে পারে।
রাজধানীর গণপরিবহন
বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২১
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর সড়কে গণপরিবহন ছিল কম, যাত্রীও ছিল কম। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ মানার আগ্রহ ছিল না গণপরিবহনের চালক ও হেলপারদের। যাত্রী কম থাকায় বাসেরই অর্ধেক আসন ফাঁকা ছিল। তবে স্যানিটাইজার দিয়ে যাত্রীর হাত পরিষ্কার করা, ট্রিপের আগে পরে বাস জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা, পরিবহন-শ্রমিক ও যাত্রীদের সবার মাস্ক পরিধান করা, গ্লাভস নিশ্চিত করার বিষিয়টি তেমনভাবে চোখে পড়েনি। আর যেসব রুটে যাত্রী বেশি ছিল, সেখানে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার বিধিনিষেধও মানা হয়নি। সরকারি বিধিনিষেধ পালন করা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করার বা প্রয়োজনে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন কোন সংস্থার কার্যক্রমও চোখে পড়েনি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, তেজগাঁও, চিটাগাং রোড ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বিহঙ্গ পরিবহনের হেলপার সামাদের মুখে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক পরে যাত্রী ডাকা যায় না। তবে পকেটে সবসময়ই মাস্ক থাকে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে হেলপার-চালকরা বলছেন, এই গরমে মাস্ক পরে থাকা সম্ভব না। অন্য নির্দেশনা সম্পর্কে তারা পুরোপুরি অবগত না। লাব্বাইক পরিবহনের চালক রাজু জানান, যাত্রীরাই হাত স্যানিটাইজ করতে চায় না।
অন্যায্য ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেল যাত্রীদের কাছ থেকে। মিরপুর থেকে করোনা টেস্ট করিয়ে কাওরান বাজার ফিরছিলেন প্রবাসী শ্রমিক আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, মিরপুর থেকে কাওরান বাজার ভাড়া ১৫ টাকা। কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে ২৫ টাকা। আবার দাঁড় করিয়ে যাত্রী নিচ্ছে।
তবে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার বিধিনিষেধও অনেক ক্ষেত্রে মানা হয়নি। শনির আখড়া থেকে গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ীগামী একাধিক গণপরিবহনে বাস ভর্তি করে যাত্রী নিতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল। যাত্রীরা বলছেন, শর্ত অনুযায়ী ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যানবাহন চলাচল করার কথা। কিন্তু বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হলেও পরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে না। এ বিষয়ে যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত এক বছরে আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা এক বছরে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারিনি। স্টার্টিং পয়েন্টে বাস স্যানিটাইজ করা বা পরিবহন-শ্রমিকদের মাস্ক পরানো এটা আমরা আসলে নিশ্চিত করতে পারিনি। আবার যখন লকডাউন হয়, তখন এটা নিয়ে ভাববার বিষয় ছিল। তিনি আরও বলেন, যারা ভাড়া নেয় বা হেলপার তাদের পক্ষে ভাড়া নেয়া, যাত্রীদের হাত স্যানিটাইজ করা-এত কিছু আসলে সম্ভব না। এসব দায়িত্ব যদি তৃতীয় কোন পক্ষকে দেয়া হয়, তাহলে তারা এটা ভালোভাবে করতে পারে। বিনিময়ে তারা যাত্রীদের দেয়া অতিরিক্ত ভাড়া থেকে তাদের প্রাপ্যটা নিতে পারে। এক্ষেত্রে বাস মালিকরা তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে কাজটা করাতে পারে।