লকডাউনের সপ্তম দিন
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ(লকডাউন)। বন্ধ রয়েছে অফিস-আদালত, সীমিত করা হয়েছে যানচলাচল।লকডাউনের সপ্তমদিনে রাজধানীতে মানুষের চলাচল এবং রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে।
সকাল থেকে বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেলেও রিকশা এবং অনেক প্রাইভেটকার চলতে দেখা গেছে। রাস্তায় আইন শৃংখলাবাহিনীর টহল থাকলেও তাদের তৎপরতা ছিল কম। অনেক এলাকায় অলি গলিতে দোকানপাট ছিল খোলা। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজরে ক্রেতাদের ভিড় ছিল দেখা গেছে। সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে ছিল যানবাহনের ভিড়।
একই দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যামলি, কলেজগেট, ধানমন্ডি, পাস্থপথ, শাহবাগ, কাওরানবাজার বাংলামটর, ইন্দিরা রোড, বিজয়সরণি, রাসেল স্কয়ারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। রাজধানীর এ সব এলাকায় একদিকে যেমন বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিক্সার সংখ্যা, তেমনি বেড়েছে পথচারীদের চলাচল।
অলিগলিতে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তাদের কেউ বের হয়েছেন বাজার করতে, কেউ কর্মস্থলে যোগ দিতে, কেউ সকালের নাস্তা করতে। আবার কেউবা বের হয়েছেন হাঁটতে। গলির কিছু কিছু দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বিক্রি চলছে। ছোট কয়েকটি হোটেলে বসে খাওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। বিশেষকরে গলিতে গলিতে চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডা্ থেমে নেই। মোহাম্মদপুরের এক চা-দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ দুইবার টহলে আসে তখন দোকানের শাটার বন্ধ রেখে দেই।
শ্যামলীতে এক রিক্সার যাত্রীর নিকট ‘কেন বের হয়েছেন’ জানতে চাইলে বলেন, লকডাউনে বাসায় বসে থাকি, কোথাও যাবার সুযোগ নেই। তাই সকালের ফাঁকা রাস্তায় রিক্সা ভ্রমণে বের হইছি।
রাজধানীতে আজ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে নগরবাসীর চলাচল। সক্রিয় অবস্থানে রয়েছেন সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। চেকপোস্টে দেখা যায়, ছোট-বড় প্রতিটি গাড়িকেই চেকিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে যেতে দেওয়া হচ্ছে, অন্যথায় মামলা করা হচ্ছে। ফলে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে ওই রাস্তায়।
তীব্র যানজটের কারণে নগরীর প্রতিটি প্রতিটি পয়েন্টেই ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্রাফিক পুলিশরা। রাজধানীর ধানমন্ডির আবহানী মাঠসংলগ্ন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা তনয় কুমার দেশ বলেন, আজ সকাল ৮টার পর থেকে সড়কে গাড়ির ভিড় বাড়তে থাকে। গত ৬ দিনের তুলনায় আজ যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। অকারণে যারা বাইরে বের হয়েছে, তাদের জরিমানা করছি।
দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে সরকার গত ১ জুলাই থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে। দেওয়া হয় ২১টি নির্দেশনা। বিধিনিষেধের পাঁচদিন পার হতে চললেও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিলো বুধবার (৭ জুলাই) মধ্যরাতে। এরমধ্যে বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এই প্রেক্ষাপটে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
লকডাউনের সপ্তম দিন
বুধবার, ০৭ জুলাই ২০২১
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ(লকডাউন)। বন্ধ রয়েছে অফিস-আদালত, সীমিত করা হয়েছে যানচলাচল।লকডাউনের সপ্তমদিনে রাজধানীতে মানুষের চলাচল এবং রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে।
সকাল থেকে বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেলেও রিকশা এবং অনেক প্রাইভেটকার চলতে দেখা গেছে। রাস্তায় আইন শৃংখলাবাহিনীর টহল থাকলেও তাদের তৎপরতা ছিল কম। অনেক এলাকায় অলি গলিতে দোকানপাট ছিল খোলা। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজরে ক্রেতাদের ভিড় ছিল দেখা গেছে। সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে ছিল যানবাহনের ভিড়।
একই দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যামলি, কলেজগেট, ধানমন্ডি, পাস্থপথ, শাহবাগ, কাওরানবাজার বাংলামটর, ইন্দিরা রোড, বিজয়সরণি, রাসেল স্কয়ারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। রাজধানীর এ সব এলাকায় একদিকে যেমন বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিক্সার সংখ্যা, তেমনি বেড়েছে পথচারীদের চলাচল।
অলিগলিতে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। তাদের কেউ বের হয়েছেন বাজার করতে, কেউ কর্মস্থলে যোগ দিতে, কেউ সকালের নাস্তা করতে। আবার কেউবা বের হয়েছেন হাঁটতে। গলির কিছু কিছু দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বিক্রি চলছে। ছোট কয়েকটি হোটেলে বসে খাওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। বিশেষকরে গলিতে গলিতে চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডা্ থেমে নেই। মোহাম্মদপুরের এক চা-দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ দুইবার টহলে আসে তখন দোকানের শাটার বন্ধ রেখে দেই।
শ্যামলীতে এক রিক্সার যাত্রীর নিকট ‘কেন বের হয়েছেন’ জানতে চাইলে বলেন, লকডাউনে বাসায় বসে থাকি, কোথাও যাবার সুযোগ নেই। তাই সকালের ফাঁকা রাস্তায় রিক্সা ভ্রমণে বের হইছি।
রাজধানীতে আজ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে নগরবাসীর চলাচল। সক্রিয় অবস্থানে রয়েছেন সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। চেকপোস্টে দেখা যায়, ছোট-বড় প্রতিটি গাড়িকেই চেকিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে যেতে দেওয়া হচ্ছে, অন্যথায় মামলা করা হচ্ছে। ফলে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে ওই রাস্তায়।
তীব্র যানজটের কারণে নগরীর প্রতিটি প্রতিটি পয়েন্টেই ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্রাফিক পুলিশরা। রাজধানীর ধানমন্ডির আবহানী মাঠসংলগ্ন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা তনয় কুমার দেশ বলেন, আজ সকাল ৮টার পর থেকে সড়কে গাড়ির ভিড় বাড়তে থাকে। গত ৬ দিনের তুলনায় আজ যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। অকারণে যারা বাইরে বের হয়েছে, তাদের জরিমানা করছি।
দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে সরকার গত ১ জুলাই থেকে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে। দেওয়া হয় ২১টি নির্দেশনা। বিধিনিষেধের পাঁচদিন পার হতে চললেও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিলো বুধবার (৭ জুলাই) মধ্যরাতে। এরমধ্যে বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এই প্রেক্ষাপটে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।