ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন করে এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (বিএবি)-এরও সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি ব্যাংক খাতের প্রভাবশালী উদ্যোক্তাদের একজন ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তবে একই বছরের ১ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
দুদকের মামলায় আসামি তালিকায় রয়েছেন ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’-এর মালিক মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, সিনিয়র অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ মো. আব্দুল বারি, সাবেক সিএফও মো. হুমায়ুন কবীর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফিরোজ হোসেন, সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, পরিচালক মো. নুরুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন কুমার সাহা, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. নাজমুস ছালেহিন এবং সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ কাওছার আলম।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশে ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ শাখার অসম্পূর্ণ ঋণ প্রস্তাবের বিষয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই অনুমোদন দেন। জামানত ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে তারা বিপুল অঙ্কের ঋণ অনুমোদন করেন। পরবর্তীতে ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সুপারিশ ও বোর্ড অনুমোদনের মাধ্যমে এ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নজরুল ইসলাম মজুমদারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে এক্সিম ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে। এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর তার প্রভাবমুক্ত হয় শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটি।
২০০৭ সাল থেকে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিএবির চেয়ারম্যান।
সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন করে এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (বিএবি)-এরও সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি ব্যাংক খাতের প্রভাবশালী উদ্যোক্তাদের একজন ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তবে একই বছরের ১ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
দুদকের মামলায় আসামি তালিকায় রয়েছেন ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’-এর মালিক মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, সিনিয়র অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ মো. আব্দুল বারি, সাবেক সিএফও মো. হুমায়ুন কবীর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফিরোজ হোসেন, সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, পরিচালক মো. নুরুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন কুমার সাহা, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. নাজমুস ছালেহিন এবং সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ কাওছার আলম।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশে ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ শাখার অসম্পূর্ণ ঋণ প্রস্তাবের বিষয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই অনুমোদন দেন। জামানত ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে তারা বিপুল অঙ্কের ঋণ অনুমোদন করেন। পরবর্তীতে ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সুপারিশ ও বোর্ড অনুমোদনের মাধ্যমে এ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নজরুল ইসলাম মজুমদারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে এক্সিম ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে। এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর তার প্রভাবমুক্ত হয় শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটি।
২০০৭ সাল থেকে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিএবির চেয়ারম্যান।