গণপূর্তে অবৈধভাবে টেন্ডার নিয়ন্ত্রন, কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে কাজ আগিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান হান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদকের)। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার সমিতি বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার কাজ নানা অনীয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকজনের মধ্যে ভাগ-ভাটোয়ারা করেছেন গণপূর্তের ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম। এ দুই ঠিকাদারের নেপথ্যে নিয়ন্ত্রক ছিলেন ক্যাসিনো কান্ডে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে থাকা যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভুইয়ার ঘনিষ্ট জিকে বিল্ডার্সের মালিক গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম। গণপূর্তসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ঠিকাদার মুশফিকুর রহমান হান্নান এবং শাহে আলম বিপুল পরিমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার এ দুই প্রভাবশালী ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশও পাঠিয়ে দুদক। গণপূর্ত অধিদপ্তরের নেওয়া বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের কাজ কিভাবে টেন্ডার করা হতো, এবং কাজ কিভাবে ভাগ ভাটোয়ারা হতো এসব নিয়ন্ত্রনের সঙ্গে কারা কিভাবে জড়িত এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জণ্যই তাদের তলব করা হয়েছে। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই তলবি নোটিশে তাদেরকে আগামী ৩ মার্চ হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, জিকে বিল্ডার্সের মালিক কতিথ যুবলীগ নেতা ঠিকাদার জি কে শামীমসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণপূর্তের শীর্ষ প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নেয়া সরকারী প্রকল্পের হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব কাজে বিভিন্ন অণীয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের অর্থ তশরুপ করা হয়েছে । নিম্মমানের কাজ করেও উচ্চমূল্যের কাজ করা হয়েছে মর্মে বিল তৈরী করে তা উত্তোলন করেছে জিকে শামীমসহ ঠিকাদারা। জিকে বিল্ডার্সের মালিক জিকে শামীমের বিরুদ্ধে ঘুষ দিয়ে শত শত কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, গণপূর্ত ছাড়া শিক্ষা অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যু ভবন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআইডব্লিটিএ), ক্রীড় পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে কাজ নিয়েছেন জিকে শামীম। জিকে শামীমের বিষয়ে অণুসন্ধান করতে গিয়ে ঠিকাদারী নিয়ন্ত্রনের নেপথ্যে গণপূর্তের ঠিাকাদার সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান হান্নান এবং শাহে আলমের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ পেয়েছে দুদক। ইতোমধ্যে জিকে শামীম সংশ্লিস্টতায় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী, ঠিকাদার এবং গনপূর্তের কয়েকজন শীর্ষ প্রকৌশলীকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের জিজ্ঞাসবাদে গণপূর্ত সহ বিভিন্ন দপ্তরের শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ উম্মুক্ত দরপত্র ছাড়া ভাগাভাগি করে নেওয়া এবং নিম্মমানের কাজ করে বিল উঠিয়ে নেওয়াসহ নানা অণীয়ম ও দূর্নীতির তথ্য পেয়েছে দুদক।
গণপূর্ত অধিদপ্তর সংশ্লিস্ট একাধিক নিভরযোগ্য কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বর্তমান সরকারের ২ মেয়াদ এবং চলমান মেয়াদের ১ বছরে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এন বিআর প্রকল্প, জাতীয় অর্থপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতাল উন্নয়ন প্রকল্প, র্যাব সদর দপ্তর নির্মাণ প্রকল্পসহ বেশকিছু প্রকল্প ছিলো। ৩ টি ক্যাটাগরিতে গণপূর্ত কাজ করে। এসব কাজ ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে হওয়ার কথা । সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ক্ষমতার অবব্যহার করে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের কাজ একত্রিত করে বিশেষ প্যাকেজ করে টেন্ডার আহবান করতেন যাতে তার পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া অণ্যকেউ করতে না পারে। জিকে শামীম বিশেষ প্যাকেজের কাজগুলো করতেন। এসব কাজ ভাগ ভাটোয়ারের সঙ্গে ঠিকাদার সমিতির নেতারাও জড়িত ছিলেন।
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
গণপূর্তে অবৈধভাবে টেন্ডার নিয়ন্ত্রন, কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে কাজ আগিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান হান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদকের)। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার সমিতি বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার কাজ নানা অনীয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকজনের মধ্যে ভাগ-ভাটোয়ারা করেছেন গণপূর্তের ঠিকাদার সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম। এ দুই ঠিকাদারের নেপথ্যে নিয়ন্ত্রক ছিলেন ক্যাসিনো কান্ডে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে থাকা যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভুইয়ার ঘনিষ্ট জিকে বিল্ডার্সের মালিক গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম। গণপূর্তসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ঠিকাদার মুশফিকুর রহমান হান্নান এবং শাহে আলম বিপুল পরিমান সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার এ দুই প্রভাবশালী ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশও পাঠিয়ে দুদক। গণপূর্ত অধিদপ্তরের নেওয়া বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের কাজ কিভাবে টেন্ডার করা হতো, এবং কাজ কিভাবে ভাগ ভাটোয়ারা হতো এসব নিয়ন্ত্রনের সঙ্গে কারা কিভাবে জড়িত এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জণ্যই তাদের তলব করা হয়েছে। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই তলবি নোটিশে তাদেরকে আগামী ৩ মার্চ হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, জিকে বিল্ডার্সের মালিক কতিথ যুবলীগ নেতা ঠিকাদার জি কে শামীমসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণপূর্তের শীর্ষ প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নেয়া সরকারী প্রকল্পের হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব কাজে বিভিন্ন অণীয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের অর্থ তশরুপ করা হয়েছে । নিম্মমানের কাজ করেও উচ্চমূল্যের কাজ করা হয়েছে মর্মে বিল তৈরী করে তা উত্তোলন করেছে জিকে শামীমসহ ঠিকাদারা। জিকে বিল্ডার্সের মালিক জিকে শামীমের বিরুদ্ধে ঘুষ দিয়ে শত শত কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, গণপূর্ত ছাড়া শিক্ষা অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যু ভবন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআইডব্লিটিএ), ক্রীড় পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে কাজ নিয়েছেন জিকে শামীম। জিকে শামীমের বিষয়ে অণুসন্ধান করতে গিয়ে ঠিকাদারী নিয়ন্ত্রনের নেপথ্যে গণপূর্তের ঠিাকাদার সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান হান্নান এবং শাহে আলমের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ পেয়েছে দুদক। ইতোমধ্যে জিকে শামীম সংশ্লিস্টতায় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী, ঠিকাদার এবং গনপূর্তের কয়েকজন শীর্ষ প্রকৌশলীকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের জিজ্ঞাসবাদে গণপূর্ত সহ বিভিন্ন দপ্তরের শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ উম্মুক্ত দরপত্র ছাড়া ভাগাভাগি করে নেওয়া এবং নিম্মমানের কাজ করে বিল উঠিয়ে নেওয়াসহ নানা অণীয়ম ও দূর্নীতির তথ্য পেয়েছে দুদক।
গণপূর্ত অধিদপ্তর সংশ্লিস্ট একাধিক নিভরযোগ্য কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বর্তমান সরকারের ২ মেয়াদ এবং চলমান মেয়াদের ১ বছরে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এন বিআর প্রকল্প, জাতীয় অর্থপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতাল উন্নয়ন প্রকল্প, র্যাব সদর দপ্তর নির্মাণ প্রকল্পসহ বেশকিছু প্রকল্প ছিলো। ৩ টি ক্যাটাগরিতে গণপূর্ত কাজ করে। এসব কাজ ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে হওয়ার কথা । সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ক্ষমতার অবব্যহার করে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের কাজ একত্রিত করে বিশেষ প্যাকেজ করে টেন্ডার আহবান করতেন যাতে তার পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া অণ্যকেউ করতে না পারে। জিকে শামীম বিশেষ প্যাকেজের কাজগুলো করতেন। এসব কাজ ভাগ ভাটোয়ারের সঙ্গে ঠিকাদার সমিতির নেতারাও জড়িত ছিলেন।