ধর্ষক গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তি
কিশোরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে বাবার কাছ থেকে মাছ আনতে গিয়ে নয় বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনস (পিবিআই) তদন্তে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। আর ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন আসামি নজরুল ইসলামকে পিবিআই ঢাকার আশুলিয়া থেকে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) গ্রেপ্তার করেছে। সে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন জানান, মামলার বাদী চুন্ন মিয়া মাছ ধরতে গত ২ জুলাই শুক্রবার ভোরে কটিয়াদী লোহাজুরী সাকিনস্থ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীতে যায়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চুন্নু মিয়ার শিশু কন্যা সাদিয়া আক্তার টুনি ওরফে বৃষ্টি (৯) মাছ আনার জন্য নদীর ধারে বাবার কাছে যান। কিন্তু বাবা মাছ না পাওয়ায় মেয়েকে বাড়ি চলে যেতে বলে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাছ ধরা শেষে চুন্নু মিয়া জাল ও মাছ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পর জানতে পারে মেয়ে বাড়ি ফিরেনি। এরপর মেয়েকে আশপাশের বাড়িতে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। নদীর ধারে খোঁজ করা হয়। এক পর্যায়ে স্বজনরা বাড়ির কাছে একটি পাটখেতে লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। খবর শুনে স্বজরা গিয়ে শিশুটির লাশ শনাক্ত করে। শিশুটির দুই পা পাট গাছে পেঁচানো। এছাড়াও গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচানো ছিল। শরীরে জখমের আলামত রয়েছে।
এ ঘটনায় কটিয়াদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অজ্ঞাত আসামিদের অভিযুক্ত করে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ছায়া তদন্ত করেন।
গত ১১ জুলাই পিবিআইর একজন ইন্সপেক্টরকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পিবিআই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহ ভাজন আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। সে পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, ঘটনার দিন সে তার কাকরল খেত্রে জমে থাকা বৃষ্টির পানি নামানোর জন্য জমিতে যায়। জমি থেকে পানি নামিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে পাটখেতের কাছে শিশু বৃষ্টিকে দেখতে পায়। সে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে শিশু বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরলে সে ঘটনা তার বাবা-মার কাছে বলে দিবে বলে জানায়। এরপর অভিযুক্ত নজরুল তার বাম হাত দিয়ে শিশুর মুখ চেপে ধরে তাকে অপহরণ করে নিকটস্থ পাটখেত্রে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি বাঁচার চেষ্টা করে, অভিযুক্ত নজরুল তার মুখ ও গলায় চাপ দিয়ে ধরে। এতে শিশুটি নির্মমভাবে মারা যায়।
শিশুর লাশ পাটখেতে রেখে অভিযুক্ত আসামি বাড়ি চলে যায়। সে আত্মগোপনে ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থান করছিল। মামলাটি এখনও তদন্ত পর্যায়ে আছে।
ধর্ষক গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তি
বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
কিশোরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে বাবার কাছ থেকে মাছ আনতে গিয়ে নয় বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনস (পিবিআই) তদন্তে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। আর ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন আসামি নজরুল ইসলামকে পিবিআই ঢাকার আশুলিয়া থেকে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) গ্রেপ্তার করেছে। সে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন জানান, মামলার বাদী চুন্ন মিয়া মাছ ধরতে গত ২ জুলাই শুক্রবার ভোরে কটিয়াদী লোহাজুরী সাকিনস্থ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীতে যায়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চুন্নু মিয়ার শিশু কন্যা সাদিয়া আক্তার টুনি ওরফে বৃষ্টি (৯) মাছ আনার জন্য নদীর ধারে বাবার কাছে যান। কিন্তু বাবা মাছ না পাওয়ায় মেয়েকে বাড়ি চলে যেতে বলে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাছ ধরা শেষে চুন্নু মিয়া জাল ও মাছ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পর জানতে পারে মেয়ে বাড়ি ফিরেনি। এরপর মেয়েকে আশপাশের বাড়িতে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। নদীর ধারে খোঁজ করা হয়। এক পর্যায়ে স্বজনরা বাড়ির কাছে একটি পাটখেতে লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। খবর শুনে স্বজরা গিয়ে শিশুটির লাশ শনাক্ত করে। শিশুটির দুই পা পাট গাছে পেঁচানো। এছাড়াও গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচানো ছিল। শরীরে জখমের আলামত রয়েছে।
এ ঘটনায় কটিয়াদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অজ্ঞাত আসামিদের অভিযুক্ত করে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ছায়া তদন্ত করেন।
গত ১১ জুলাই পিবিআইর একজন ইন্সপেক্টরকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পিবিআই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহ ভাজন আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। সে পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, ঘটনার দিন সে তার কাকরল খেত্রে জমে থাকা বৃষ্টির পানি নামানোর জন্য জমিতে যায়। জমি থেকে পানি নামিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে পাটখেতের কাছে শিশু বৃষ্টিকে দেখতে পায়। সে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে শিশু বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরলে সে ঘটনা তার বাবা-মার কাছে বলে দিবে বলে জানায়। এরপর অভিযুক্ত নজরুল তার বাম হাত দিয়ে শিশুর মুখ চেপে ধরে তাকে অপহরণ করে নিকটস্থ পাটখেত্রে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি বাঁচার চেষ্টা করে, অভিযুক্ত নজরুল তার মুখ ও গলায় চাপ দিয়ে ধরে। এতে শিশুটি নির্মমভাবে মারা যায়।
শিশুর লাশ পাটখেতে রেখে অভিযুক্ত আসামি বাড়ি চলে যায়। সে আত্মগোপনে ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থান করছিল। মামলাটি এখনও তদন্ত পর্যায়ে আছে।