alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

চেকপোস্ট বসিয়ে ছিনতাই করত ওরা

চারজন গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

কোমরে পিস্তল ঝোলানো একজনের, আরেকজনের হাতে ওয়াকিটকি। অন্যজনের হাতে থাকে হ্যান্ডকাফ। সবার গায়েই গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জ্যাকেট। রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে রীতিমতো তল্লাশি চালাতো তারা। কিন্তু তারা কেউ সত্যিকারের পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নন। ডাকাতি-ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশ ধরতো তারা। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলা শহরের নির্জন রাস্তায় তারা ছিনতাই-ডাকাতি করে বেড়াতো।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বছিলা এলাকা থেকে এই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। তারা হলো- মানিক বেপারি ওরফে দারোগা মানিক, জাহিদ হাসান ওরফে রেজাউল, ফারুক হোসেন ওরফে নাসির উদ্দিন ও রুবেল সিকদার ওরফে রুস্তুম। তাদের কাছ থেকে ডিবি পুলিশ লেখা জ্যাকেট, একটি বন্দুক, একটি খেলনা পিস্তল, ওয়াকিটকি, একটি ওয়ারলেস সেটসহ ডাকাতি ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চারজন সংঘবদ্ধ ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তারা ঈদ উপলক্ষে পশুর হাটে আগত ব্যাপারি ও ক্রেতাদের ডাকাতি-ছিনতাই করার পরিকল্পনা করছিল। তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির নামে সর্বস্ব লুটে নিতো।

একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি-ছিনতাই করে আসছিল। কিন্তু ডিবি পুলিশ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবসময় বা সব জায়গায় চেকপোস্ট বসায় না। পুলিশ পরিচয়ে কেউ তল্লাশি করতে চাইলে তার পরিচয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। আশপাশে পোশাকে অন-ডিউটিতে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথাও বলেন তিনি।

যুগ্ম-কমিশনার হারুন আরও বলেন, এই চক্রের মূল হোতা হলো ‘মানিক’। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি-ছিনতাই করার সময় সে টিম লিডার হিসেবে নিজেকে দারোগা বা সাব-ইন্সপেক্টর পরিচয় দিতো। এজন্য চক্রের সবাই তাকে মানিক দারোগা বলে ডাকে। এই চক্রের সদস্যরা একাধিকবার ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি-ছিনতাই করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর কিছুদিন কারাগারে থাকলেও আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে বাইরে এসে আবারও একই কাজে লিপ্ত হতো তারা।

গত ৭ জুন গাজীপুরের লিবার্টি নিট ওয়্যার নামে একটি গার্মেন্টস কারখানার দুই কর্মকর্তা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শফিপুর শাখা থেকে ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা তুলে মোটরসাইকেলে কারখানায় ফিরছিলেন। কারখানার শ্রমিক ও স্টাফদের বেতন দেয়ার জন্য তারা টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেয়ার খবর পেয়েছিল এই ভুয়া ডিবি পুলিশের চক্রটি।

তারা চান্দরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশে সাধারণ পুলিশ সদস্যের মতোই একটি চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী দুই গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে আটক করে। অস্ত্রের মুখে তাদের দ্রুত গাড়িতে তুলে মারধর করে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই গার্মেন্টস কারখানার ডেপুটি ম্যানেজার জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা করেন।

ভুয়া ডিবি পুলিশের এই চক্রটিকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা গাজীপুরের ওই ঘটনাটি স্বীকার করে। গার্মেন্টস কারখানার বেতন-ভাতার সেই টাকা ছিনিয়ে নেয়ার পর তারা ছয়জন ভাগ করে নেন। টিম লিডার ‘দারোগা মানিক’ নিয়েছিলেন ৫ লাখ। বাকিরা কেউ ২ লাখ, কেউ ৩ লাখ করে ভাগ করে নেয়। ঈদকে কেন্দ্র করে এই গ্রুপটি আবারও রাজধানীতে গরুর হাটে আগত ক্রেতা ও বেপারিদের টার্গেট করে মাঠে নেমেছিল।

পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গাড়িতে তুলে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে নির্জন রাস্তায় নামিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। এজন্য চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন গরুর হাটে রেকি শুরু করে। গ্রেপ্তার চারজনের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মানিকের নামে দুটি, রেজাউলের নামে দুটি, ফারুকের নামে একটি ও রুবেলের নামে সাতটি মামলার তথ্য পেয়েছে ডিবি। তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় অস্ত্র আইনসহ পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, এই চক্রের একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন ব্যাংকে গিয়ে কে বেশি পরিমাণ টাকা তুলছে তা রেকি করে। গাজীপুরের ঘটনাটির আগে তাদের স্বাধীন নামে একজন সদস্য তিন দিন ওই ব্যাংকে গিয়ে ঘোরাঘুরি করে। কেউ বেশি পরিমাণ টাকা তুললেই মোবাইল ফোনে তাদের শারীরিক বর্ণনা বা পোশাকের রঙ বলে দেয় সহযোগী আরেকজনের কাছে। সহযোগী চক্রের এক সদস্য দাঁড়িয়ে থাকে ব্যাংকের সামনে। চক্রের ওই সদস্য পিছু নেয় টাকা তুলে কর্মস্থল বা বাসায় ফেরা ব্যক্তির। তারপর চক্রের অপর সদস্যরা দ্রুত গাড়ি নিয়ে কোন একটি নির্জন জায়গা বেছে নিয়ে চেকপোস্টের নামে তল্লাশি শুরু করে। এই চক্রের আরও বেশ কয়েকজন সদস্যের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

ছবি

ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন

ছবি

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছিনতাই ও চুরি হওয়া ফোন সেট উদ্ধার

মতলবে ব্যাংকের নৈশপ্রহরী খুনের রহস্য উন্মোচন,মূল আসামী সহ ৩ জন গ্রেফতার

ছবি

লঞ্চে বোরকা পরে ছিনতাই করতেন তারা

বন্ধুর সহায়তায় প্রবাসীর স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মালামাল লুট করে আপন ভাই

গাজীপুরে ৩জন ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক

ছবি

আইন অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনা, সংবাদ প্রকাশের পর অভিযান, ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

দুদকের মামলায় সাবেক এমপি কাদের খানের চার বছরের দন্ড

গাজীপুরে পুত্রকে কুপিয়ে হত্যা, পিতা আটক

ছবি

এবার ভরদুপুরে থানচির দুই ব্যাংকে ডাকাতি

সিলেটে ‘ধর্ষক’ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রপ্তার করেছে র‌্যাব

ছবি

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

ছবি

শেকলে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ, রিমান্ডে ৪ আসামি

মুন্সীগঞ্জে ডালিম হ.ত্যা মামলার ৬ আসামি জেলহাজতে

ছবি

শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

ছবি

গেন্ডারিয়ায় ৯৮৩ পিস ভয়াবহ মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেপ্তার কারবারি

ছবি

সিলেটে তরুণীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ অধরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ অভিযুক্তরা

নারায়ণগঞ্জে প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা, ৩ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

স্ত্রী-শাশুড়িসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ‘জল্লাদ’ শাহজাহানের প্রতারণার মামলা

ছবি

মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জন

ছবি

দুই বছরের দণ্ড ২৭ বছর পর বাতিল, রায়ের কপি যাচ্ছে সব আদালতে

ছবি

মানিকদির জমি দখল নাজিমের দৌরাত্ম্য থামছেই না, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

পুলিশের সোর্স হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

বড় মনিরের বিরুদ্ধে এবার ঢাকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ছবি

রামুর কচ্ছপিয়ায় ছুরিকাঘাতে ছায়া হত্যার ঘটনায় আটক দুই

ছবি

মহেশখালীর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেফতার

ছবি

মুন্সীগঞ্জে পাইপগান-ফেন্সিডিলসহ দু’জন আটক

ছবি

দুদকের মামলায় ২০ কোটি ২২ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক এমপি মান্নান কারাগারে

ছবি

আইএমইআই নম্বর পাল্টে মোবাইল বিক্রি, চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

চুনারুঘাটে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা, স্বামী আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৫ কোটি টাকা গায়েব, ৩ কর্মকর্তা কারাগারে

শতাধিক শিক্ষা ভবন নির্মাণের নামে বিল ভাগ-বাটোয়ারা

নরসিংদীতে গাড়ী চালককে হত্যার অভিযোগে ৩ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

চালক ‘সেজে’ শিক্ষার্থী অপহরণ ১৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ৭

ছবি

সালাম মুর্শেদীর বাড়ি ছাড়তে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি

ফয়সালকে কুপিয়ে হত্যার পর পার্টি করে গালকাটা রাব্বির গ্যাং

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

চেকপোস্ট বসিয়ে ছিনতাই করত ওরা

চারজন গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

কোমরে পিস্তল ঝোলানো একজনের, আরেকজনের হাতে ওয়াকিটকি। অন্যজনের হাতে থাকে হ্যান্ডকাফ। সবার গায়েই গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জ্যাকেট। রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে রীতিমতো তল্লাশি চালাতো তারা। কিন্তু তারা কেউ সত্যিকারের পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নন। ডাকাতি-ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশ ধরতো তারা। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলা শহরের নির্জন রাস্তায় তারা ছিনতাই-ডাকাতি করে বেড়াতো।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বছিলা এলাকা থেকে এই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। তারা হলো- মানিক বেপারি ওরফে দারোগা মানিক, জাহিদ হাসান ওরফে রেজাউল, ফারুক হোসেন ওরফে নাসির উদ্দিন ও রুবেল সিকদার ওরফে রুস্তুম। তাদের কাছ থেকে ডিবি পুলিশ লেখা জ্যাকেট, একটি বন্দুক, একটি খেলনা পিস্তল, ওয়াকিটকি, একটি ওয়ারলেস সেটসহ ডাকাতি ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চারজন সংঘবদ্ধ ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তারা ঈদ উপলক্ষে পশুর হাটে আগত ব্যাপারি ও ক্রেতাদের ডাকাতি-ছিনতাই করার পরিকল্পনা করছিল। তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির নামে সর্বস্ব লুটে নিতো।

একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি-ছিনতাই করে আসছিল। কিন্তু ডিবি পুলিশ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবসময় বা সব জায়গায় চেকপোস্ট বসায় না। পুলিশ পরিচয়ে কেউ তল্লাশি করতে চাইলে তার পরিচয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। আশপাশে পোশাকে অন-ডিউটিতে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কথাও বলেন তিনি।

যুগ্ম-কমিশনার হারুন আরও বলেন, এই চক্রের মূল হোতা হলো ‘মানিক’। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি-ছিনতাই করার সময় সে টিম লিডার হিসেবে নিজেকে দারোগা বা সাব-ইন্সপেক্টর পরিচয় দিতো। এজন্য চক্রের সবাই তাকে মানিক দারোগা বলে ডাকে। এই চক্রের সদস্যরা একাধিকবার ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি-ছিনতাই করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর কিছুদিন কারাগারে থাকলেও আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে বাইরে এসে আবারও একই কাজে লিপ্ত হতো তারা।

গত ৭ জুন গাজীপুরের লিবার্টি নিট ওয়্যার নামে একটি গার্মেন্টস কারখানার দুই কর্মকর্তা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শফিপুর শাখা থেকে ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা তুলে মোটরসাইকেলে কারখানায় ফিরছিলেন। কারখানার শ্রমিক ও স্টাফদের বেতন দেয়ার জন্য তারা টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেয়ার খবর পেয়েছিল এই ভুয়া ডিবি পুলিশের চক্রটি।

তারা চান্দরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশে সাধারণ পুলিশ সদস্যের মতোই একটি চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী দুই গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে আটক করে। অস্ত্রের মুখে তাদের দ্রুত গাড়িতে তুলে মারধর করে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই গার্মেন্টস কারখানার ডেপুটি ম্যানেজার জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা করেন।

ভুয়া ডিবি পুলিশের এই চক্রটিকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা গাজীপুরের ওই ঘটনাটি স্বীকার করে। গার্মেন্টস কারখানার বেতন-ভাতার সেই টাকা ছিনিয়ে নেয়ার পর তারা ছয়জন ভাগ করে নেন। টিম লিডার ‘দারোগা মানিক’ নিয়েছিলেন ৫ লাখ। বাকিরা কেউ ২ লাখ, কেউ ৩ লাখ করে ভাগ করে নেয়। ঈদকে কেন্দ্র করে এই গ্রুপটি আবারও রাজধানীতে গরুর হাটে আগত ক্রেতা ও বেপারিদের টার্গেট করে মাঠে নেমেছিল।

পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গাড়িতে তুলে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে নির্জন রাস্তায় নামিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। এজন্য চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন গরুর হাটে রেকি শুরু করে। গ্রেপ্তার চারজনের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মানিকের নামে দুটি, রেজাউলের নামে দুটি, ফারুকের নামে একটি ও রুবেলের নামে সাতটি মামলার তথ্য পেয়েছে ডিবি। তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় অস্ত্র আইনসহ পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, এই চক্রের একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন ব্যাংকে গিয়ে কে বেশি পরিমাণ টাকা তুলছে তা রেকি করে। গাজীপুরের ঘটনাটির আগে তাদের স্বাধীন নামে একজন সদস্য তিন দিন ওই ব্যাংকে গিয়ে ঘোরাঘুরি করে। কেউ বেশি পরিমাণ টাকা তুললেই মোবাইল ফোনে তাদের শারীরিক বর্ণনা বা পোশাকের রঙ বলে দেয় সহযোগী আরেকজনের কাছে। সহযোগী চক্রের এক সদস্য দাঁড়িয়ে থাকে ব্যাংকের সামনে। চক্রের ওই সদস্য পিছু নেয় টাকা তুলে কর্মস্থল বা বাসায় ফেরা ব্যক্তির। তারপর চক্রের অপর সদস্যরা দ্রুত গাড়ি নিয়ে কোন একটি নির্জন জায়গা বেছে নিয়ে চেকপোস্টের নামে তল্লাশি শুরু করে। এই চক্রের আরও বেশ কয়েকজন সদস্যের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

back to top