ময়মনসিংহের চরপাড়া এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক শিশু গৃহকর্মীর শরীর ব্লেড দিয়ে কেটে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শিশুটি যে বাসায় কাজ করত, সেই বাসার গৃহকর্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে শিশুটির চাচার ভাষ্যমতে, সংসারে অভাব-অনটনের কারণে মাসিক এক হাজার টাকা চুক্তিতে প্রতিবেশী সোহাগের মাধ্যমে ওই শিশুকে তিন মাস আগে ময়মনসিংহ সদরের একটি বাসায় পাঠানো হয়। ওই বাসার গৃহকর্তা লিটু ও গৃহকর্ত্রী আসমা আক্তার। তারা ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া এলাকায় থাকেন। আসমার বাড়িও তাদের এলাকায়। সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। ভাতিজির ওপর এমন নির্যাতনের জন্য তিনি আসমাকে দায়ী করেন।
শিশুটির পরিবারের সদস্যদের ধারণা, নির্যাতনের পর শিশুটি অচেতন হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে ময়মনসিংহ থেকে ফুলবাড়িয়ায় বাড়ির পাশে ফেলে রাখেন আসমা। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থা বেশি দুর্বল। তার শরীরের ক্ষতগুলো শুকিয়ে গেলেও সে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে।
এই ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক জ্যোতিষ চন্দ্র বলেন, নির্যাতনের ঘটনাটি যেহেতু ময়মনসিংহ সদর এলাকার, তাই কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, ফুলবাড়িয়া থানা থেকে বিষয়টি জানানোর পর বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতেই অভিযুক্ত নারীকে আটকের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাকে আটক করা যায়নি। আসমা, তার স্বামী লিটু ও মেয়েটিকে ওই বাড়িতে কাজে পাঠানো সোহাগকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন শিশুর বাবা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
ময়মনসিংহের চরপাড়া এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক শিশু গৃহকর্মীর শরীর ব্লেড দিয়ে কেটে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শিশুটি যে বাসায় কাজ করত, সেই বাসার গৃহকর্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে শিশুটির চাচার ভাষ্যমতে, সংসারে অভাব-অনটনের কারণে মাসিক এক হাজার টাকা চুক্তিতে প্রতিবেশী সোহাগের মাধ্যমে ওই শিশুকে তিন মাস আগে ময়মনসিংহ সদরের একটি বাসায় পাঠানো হয়। ওই বাসার গৃহকর্তা লিটু ও গৃহকর্ত্রী আসমা আক্তার। তারা ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া এলাকায় থাকেন। আসমার বাড়িও তাদের এলাকায়। সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। ভাতিজির ওপর এমন নির্যাতনের জন্য তিনি আসমাকে দায়ী করেন।
শিশুটির পরিবারের সদস্যদের ধারণা, নির্যাতনের পর শিশুটি অচেতন হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে ময়মনসিংহ থেকে ফুলবাড়িয়ায় বাড়ির পাশে ফেলে রাখেন আসমা। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থা বেশি দুর্বল। তার শরীরের ক্ষতগুলো শুকিয়ে গেলেও সে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে।
এই ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক জ্যোতিষ চন্দ্র বলেন, নির্যাতনের ঘটনাটি যেহেতু ময়মনসিংহ সদর এলাকার, তাই কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, ফুলবাড়িয়া থানা থেকে বিষয়টি জানানোর পর বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতেই অভিযুক্ত নারীকে আটকের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাকে আটক করা যায়নি। আসমা, তার স্বামী লিটু ও মেয়েটিকে ওই বাড়িতে কাজে পাঠানো সোহাগকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন শিশুর বাবা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।