কার্যালয়ে ডেকে নারীর শ্লীলতাহানি
কার্যালয়ে ডেকে নারীর শ্লীলতাহানি ও শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সবুজভাগ থানায় এ মামলা করেন। এর আগে ওই তরুণীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদকেরও দায়িত্বে আছেন।
জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আবদুল আহাদ টেলিফোনে সংবাদকে জানান, এক নারীর শরীরের স্পর্শকাতর অংশে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন। ঘটনাটি তার কার্যালয়ে ঘটেছে। ভুক্তভোগী নারী এ ঘটনায় সবুজভাগ থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজারবাগ কালীবাড়ি রাস্তা-সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের চায়ের দোকান রয়েছে। সেই দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই করতে কাউন্সিলরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তাকে কাউন্সিলর কার্যালয়ে যেতে বলেন। এরপর স্বামীসহ তিনি কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘৪০ হাজার টাকা প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা বলার পর কাউন্সিলর ওই নারীকে কার্যালয়ে একটি রুমে যেতে বলেন। রুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। কাউন্সিলর চিত্ত ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন ওই নারীকে জড়িয়ে ধরেন এবং স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন। কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন ওই নারীর শ্লীলতাহানি করেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয় কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করেন এবং ওই নারীকে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে কুপ্রস্তাব দেন। মানসম্মানের ভয়ে তখন কোন চিৎকার করেনি ওই নারী। পরের দিন তাকে পুনরায় শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে কুপ্রস্তাব দিলে ওই নারী হ্যাঁ বলে কোন রকম নিজেকে রক্ষা করেন।’
মামলার বিষয়ে সবুজবাগ থানার ওসি মু. মুরাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এক তরুণীর একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ওই ভুক্তভোগী থানায় এসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস সংবাদের কাছে দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে এ মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হয়েছে। বাদীর শ্বশুর রাজাবাগ কালিমন্দিরের জায়গায় অবস্থিত একটি দোকান অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছিল। আমি তাতে বাধা দেয়ায় আমাকে ফাঁসানোর জন্য মামলা দিয়েছে। আর এর পেছনে বাদীকে শেল্টার দিচ্ছে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান ফরিদসহ কয়েকজন।
ভিডি ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে আমার হাত ছিল না। আমরা নাটক করছিলাম। তখন ওই নারীই আমাকে জড়িয়ে ধরে। তখন সেটি ভিডিও করে অন্য কেউ।
জানতে চাইলে সবুজবাগ থানা আ’লীগের সভাপতি ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুজ্জামান ফরিদ টেলিফোনে সংবাদকে বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না। তার কার্যালয়ে এমন একটি অপকর্মের ঘটনায় যে নারী তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, ওই নারীকে আমি ব্যক্তিগতভাবেও চিনি না। আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে আমার কাছে বিচার নিয়ে এসেছে। ওই নারী মামলা করেছে, সেটি তার বিষয়। এ বিষয়ে আমি কেন ওই নারীকে শেল্টার দিব।
তিনি বলেন, বিষয়টি দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ ঘটনা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
কার্যালয়ে ডেকে নারীর শ্লীলতাহানি
শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
কার্যালয়ে ডেকে নারীর শ্লীলতাহানি ও শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সবুজভাগ থানায় এ মামলা করেন। এর আগে ওই তরুণীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদকেরও দায়িত্বে আছেন।
জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আবদুল আহাদ টেলিফোনে সংবাদকে জানান, এক নারীর শরীরের স্পর্শকাতর অংশে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন। ঘটনাটি তার কার্যালয়ে ঘটেছে। ভুক্তভোগী নারী এ ঘটনায় সবুজভাগ থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজারবাগ কালীবাড়ি রাস্তা-সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের চায়ের দোকান রয়েছে। সেই দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই করতে কাউন্সিলরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তাকে কাউন্সিলর কার্যালয়ে যেতে বলেন। এরপর স্বামীসহ তিনি কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘৪০ হাজার টাকা প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা বলার পর কাউন্সিলর ওই নারীকে কার্যালয়ে একটি রুমে যেতে বলেন। রুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। কাউন্সিলর চিত্ত ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন ওই নারীকে জড়িয়ে ধরেন এবং স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন। কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন ওই নারীর শ্লীলতাহানি করেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয় কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করেন এবং ওই নারীকে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে কুপ্রস্তাব দেন। মানসম্মানের ভয়ে তখন কোন চিৎকার করেনি ওই নারী। পরের দিন তাকে পুনরায় শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে কুপ্রস্তাব দিলে ওই নারী হ্যাঁ বলে কোন রকম নিজেকে রক্ষা করেন।’
মামলার বিষয়ে সবুজবাগ থানার ওসি মু. মুরাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এক তরুণীর একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ওই ভুক্তভোগী থানায় এসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস সংবাদের কাছে দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে এ মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হয়েছে। বাদীর শ্বশুর রাজাবাগ কালিমন্দিরের জায়গায় অবস্থিত একটি দোকান অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছিল। আমি তাতে বাধা দেয়ায় আমাকে ফাঁসানোর জন্য মামলা দিয়েছে। আর এর পেছনে বাদীকে শেল্টার দিচ্ছে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান ফরিদসহ কয়েকজন।
ভিডি ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে আমার হাত ছিল না। আমরা নাটক করছিলাম। তখন ওই নারীই আমাকে জড়িয়ে ধরে। তখন সেটি ভিডিও করে অন্য কেউ।
জানতে চাইলে সবুজবাগ থানা আ’লীগের সভাপতি ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুজ্জামান ফরিদ টেলিফোনে সংবাদকে বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না। তার কার্যালয়ে এমন একটি অপকর্মের ঘটনায় যে নারী তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, ওই নারীকে আমি ব্যক্তিগতভাবেও চিনি না। আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে আমার কাছে বিচার নিয়ে এসেছে। ওই নারী মামলা করেছে, সেটি তার বিষয়। এ বিষয়ে আমি কেন ওই নারীকে শেল্টার দিব।
তিনি বলেন, বিষয়টি দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ ঘটনা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।