রুল জারি করেছে হাইকোর্ট
রেজিস্ট্রি অফিস ব্যাংক, বিমাসহ অন্যান্য উৎস থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
আইনজীবীর তথ্যমতে, ১৭ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের জন্য ২০১৪ সালে দুদক তাদের নোটিশ দেয়। তবে তারা হাজির হতে অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে দুদকের পক্ষে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৪ সালে রিট করা হয়। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন।
রুলে দুদকের পদক্ষেপ গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় সম্পূরক আবেদনটি করে এইচআরপিবি।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফৌজিয়া আখতার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।
পরবর্তীতে মনজিল মোরসেদ বলেন, রিটের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চান। পরে হলফনামা আকারে দুদক জানায়, অনুসন্ধানে কিছু না পাওয়ায় ১৭ সিবিএ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালত পুরো নথি তলব করেন।
নথিতে দেখা যায়, ১৭ সিবিএ নেতার সম্পদের বিষয়ে ব্যাংক, বিমা, রেজিস্ট্রি অফিসসহ অন্যান্য উৎসে অনুসন্ধান হয়নি। তখন যথাযথ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদনটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন। দুদকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবীর তথ্যমতে, বিমানের সিবিএ নেতারা হলেন মো. মসিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারী, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার, মো.আবুল কালাম, আসমা খানম ও মো. আবদুল আজিজ।
রুল জারি করেছে হাইকোর্ট
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
রেজিস্ট্রি অফিস ব্যাংক, বিমাসহ অন্যান্য উৎস থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
আইনজীবীর তথ্যমতে, ১৭ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের জন্য ২০১৪ সালে দুদক তাদের নোটিশ দেয়। তবে তারা হাজির হতে অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে দুদকের পক্ষে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৪ সালে রিট করা হয়। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন।
রুলে দুদকের পদক্ষেপ গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় সম্পূরক আবেদনটি করে এইচআরপিবি।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফৌজিয়া আখতার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।
পরবর্তীতে মনজিল মোরসেদ বলেন, রিটের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চান। পরে হলফনামা আকারে দুদক জানায়, অনুসন্ধানে কিছু না পাওয়ায় ১৭ সিবিএ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালত পুরো নথি তলব করেন।
নথিতে দেখা যায়, ১৭ সিবিএ নেতার সম্পদের বিষয়ে ব্যাংক, বিমা, রেজিস্ট্রি অফিসসহ অন্যান্য উৎসে অনুসন্ধান হয়নি। তখন যথাযথ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদনটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন। দুদকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবীর তথ্যমতে, বিমানের সিবিএ নেতারা হলেন মো. মসিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারী, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার, মো.আবুল কালাম, আসমা খানম ও মো. আবদুল আজিজ।