কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মাসুম নামে এজাহারনামীয় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এ মামলার ৯ নম্বর আসামি। গ্রেপ্তার মাসুম নগরীর সংরাইশ এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলার চান্দিনা থেকে পুলিশ মাসুমকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল এলাকা থেকে মামলার এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর বউবাজার এলাকার মৃত কানু মিয়ার ছেলে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে কাউন্সিলর সোহেলকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে একই দাবিতে কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে নিহত কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় নগরীর সুজানগরের বউবাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলমকে প্রধান আসামি করা হয়।
এ মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, এ মামলার এজাহারভুক্ত ১১ জন আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু, প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর জমির উদ্দিন খান জম্পি, কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, কাজী মাহবুবুর রহমান, মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রমুখ। এসময় কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ওই ওয়ার্ডে সৈয়দ মো. সোহেলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে সিটি করপোরেশনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সচিবসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নানা শ্রেণীপেশার শত শত লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এতে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্নাসহ দলের জেলা নেতারা অংশগ্রহণ করে সংহতি প্রকাশ করেন। পরে মেয়রের নেতৃত্বে সিটির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাগণ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফী, পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়। এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে শত শত জনতার অংশগ্রহণে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নগরীর সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের পাথুরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত পাঁচজন কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বৃহস্পতিবার এ মামলার এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি সুমন ও ৯ নম্বর আসামি মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মাসুম নামে এজাহারনামীয় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এ মামলার ৯ নম্বর আসামি। গ্রেপ্তার মাসুম নগরীর সংরাইশ এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলার চান্দিনা থেকে পুলিশ মাসুমকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল এলাকা থেকে মামলার এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর বউবাজার এলাকার মৃত কানু মিয়ার ছেলে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে কাউন্সিলর সোহেলকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে একই দাবিতে কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে নিহত কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় নগরীর সুজানগরের বউবাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলমকে প্রধান আসামি করা হয়।
এ মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, এ মামলার এজাহারভুক্ত ১১ জন আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু, প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর জমির উদ্দিন খান জম্পি, কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, কাজী মাহবুবুর রহমান, মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রমুখ। এসময় কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ওই ওয়ার্ডে সৈয়দ মো. সোহেলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে সিটি করপোরেশনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সচিবসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নানা শ্রেণীপেশার শত শত লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এতে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাহিদুর রহমান তামান্নাসহ দলের জেলা নেতারা অংশগ্রহণ করে সংহতি প্রকাশ করেন। পরে মেয়রের নেতৃত্বে সিটির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাগণ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমা আশরাফী, পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়। এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে শত শত জনতার অংশগ্রহণে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নগরীর সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের পাথুরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত পাঁচজন কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বৃহস্পতিবার এ মামলার এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি সুমন ও ৯ নম্বর আসামি মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।