নতুন বছরের শুরুতেই দারুণ এক ওপেনিংয়ের অপেক্ষায় আছেন অভিনেত্রী রুনা খান। দেশের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক উৎসবের (ডিআইএফএফ) বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগের মাধ্যমে প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রুনা খানের পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় জাদুঘরে প্রথম প্রদর্শিত হবে ছবিটি। রুনা খান মনে করেন, এটি তার জন্য এবং সিনেমাটির জন্য নতুন বছরের দারুণ সূচনা।
তার আগে জেনে নেওয়া যাক ছবিটি সম্পর্কে। এটি নির্মাণ করেছেন তৌফিক এলাহি। সিনেমার মূল চরিত্রে নীলার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রুনা খান। আরও আছেন রাশেদ মামুন অপু, একে আজাদ সেতু, সুজাত শিমুল, রোকেয়া প্রাচী, শাহেদ আলী প্রমুখ। রুনা খান শুটিং ইউনিটের স্মৃতি টেনে বলেন, ‘জানুয়ারির দিকে। শীতের সময়। সেই প্রথম রাজবাড়ী জেলার বিখ্যাত দৌলতদিয়ায় যাই। টানা তিন দিন ছিলাম ওখানে। জীবনে প্রথম গেলাম সেখানে। নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম।
যে অভিজ্ঞতা মানুষ হিসেবে অসম্ভব সমৃদ্ধ ও সুন্দর।’ দৌলতদিয়া সম্পর্কে যারা জানেন, তারা তো জানেনই। যারা জানেন না, তাদের জন্য বলা, দৌলতদিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতিতাপল্লি। এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় গণিকালয়গুলোর একটি। এখানে প্রায় চার হাজার যৌনকর্মী পতিতাবৃত্তিতে জড়িত। ‘নীলপদ্ম’র মূল চরিত্র নীলাকেও দেখানো হয়েছে এই পল্লির একজন যৌনকর্মী হিসেবে। যাতে নীলার মাধ্যমে উঠে এসেছে এই পেশার মানুষের জীবনের গল্প। নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে রুনা বলেন, ‘আমার চরিত্রের নাম নীলা। এই নামেই সিনেমাটির নাম হলো নীলপদ্ম। এটা নীলার জীবনের জার্নির গল্প।
সে একজন যৌনকর্মী। ওই শ্রেণির মানুষের জীবন, সামাজিক অবস্থা, সংগ্রামের গল্প বা পরিণতির গল্প এটা। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, এটা একটা সরল গল্প। জটিল কিছু না। গল্পধর্মী ছবি। অসাধারণ সব সহশিল্পী পেয়েছি। নির্মাতার এটি প্রথম ছবি। তার সঙ্গেও আমার প্রথম কাজ। সব মিলিয়ে একেবারে সরল ও সরলতার ভেতর দিয়ে কাজটি আমরা শেষ করেছি।’ ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নীলপদ্ম’র প্রথম প্রদর্শনীতে সবাইকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রুনা খান ও তার দল।
কারণ এটি থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। এরপর উৎসবের অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে ছবিটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী। দুটো প্রদর্শনীতেই হাজির থাকছেন রুনা খান। রুনার প্রত্যাশা, ‘এই ছবিটির মাধ্যমে দৌলতদিয়ার একজন নীলার জীবনের গল্পটি পৌঁছে দিতে চাই সমাজের প্রতিটি স্তরে থাকা তরুণ দর্শকের কাছে। একজন ক্ষুদ্র অভিনয়শিল্পী হিসেবে এটা আমার মনের ভেতরের সুপ্ত ইচ্ছাও বলতে পারেন।’
রোববার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫
নতুন বছরের শুরুতেই দারুণ এক ওপেনিংয়ের অপেক্ষায় আছেন অভিনেত্রী রুনা খান। দেশের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক উৎসবের (ডিআইএফএফ) বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগের মাধ্যমে প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রুনা খানের পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় জাদুঘরে প্রথম প্রদর্শিত হবে ছবিটি। রুনা খান মনে করেন, এটি তার জন্য এবং সিনেমাটির জন্য নতুন বছরের দারুণ সূচনা।
তার আগে জেনে নেওয়া যাক ছবিটি সম্পর্কে। এটি নির্মাণ করেছেন তৌফিক এলাহি। সিনেমার মূল চরিত্রে নীলার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রুনা খান। আরও আছেন রাশেদ মামুন অপু, একে আজাদ সেতু, সুজাত শিমুল, রোকেয়া প্রাচী, শাহেদ আলী প্রমুখ। রুনা খান শুটিং ইউনিটের স্মৃতি টেনে বলেন, ‘জানুয়ারির দিকে। শীতের সময়। সেই প্রথম রাজবাড়ী জেলার বিখ্যাত দৌলতদিয়ায় যাই। টানা তিন দিন ছিলাম ওখানে। জীবনে প্রথম গেলাম সেখানে। নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম।
যে অভিজ্ঞতা মানুষ হিসেবে অসম্ভব সমৃদ্ধ ও সুন্দর।’ দৌলতদিয়া সম্পর্কে যারা জানেন, তারা তো জানেনই। যারা জানেন না, তাদের জন্য বলা, দৌলতদিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতিতাপল্লি। এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় গণিকালয়গুলোর একটি। এখানে প্রায় চার হাজার যৌনকর্মী পতিতাবৃত্তিতে জড়িত। ‘নীলপদ্ম’র মূল চরিত্র নীলাকেও দেখানো হয়েছে এই পল্লির একজন যৌনকর্মী হিসেবে। যাতে নীলার মাধ্যমে উঠে এসেছে এই পেশার মানুষের জীবনের গল্প। নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে রুনা বলেন, ‘আমার চরিত্রের নাম নীলা। এই নামেই সিনেমাটির নাম হলো নীলপদ্ম। এটা নীলার জীবনের জার্নির গল্প।
সে একজন যৌনকর্মী। ওই শ্রেণির মানুষের জীবন, সামাজিক অবস্থা, সংগ্রামের গল্প বা পরিণতির গল্প এটা। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, এটা একটা সরল গল্প। জটিল কিছু না। গল্পধর্মী ছবি। অসাধারণ সব সহশিল্পী পেয়েছি। নির্মাতার এটি প্রথম ছবি। তার সঙ্গেও আমার প্রথম কাজ। সব মিলিয়ে একেবারে সরল ও সরলতার ভেতর দিয়ে কাজটি আমরা শেষ করেছি।’ ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নীলপদ্ম’র প্রথম প্রদর্শনীতে সবাইকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রুনা খান ও তার দল।
কারণ এটি থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। এরপর উৎসবের অংশ হিসেবে ১৯ জানুয়ারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে ছবিটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী। দুটো প্রদর্শনীতেই হাজির থাকছেন রুনা খান। রুনার প্রত্যাশা, ‘এই ছবিটির মাধ্যমে দৌলতদিয়ার একজন নীলার জীবনের গল্পটি পৌঁছে দিতে চাই সমাজের প্রতিটি স্তরে থাকা তরুণ দর্শকের কাছে। একজন ক্ষুদ্র অভিনয়শিল্পী হিসেবে এটা আমার মনের ভেতরের সুপ্ত ইচ্ছাও বলতে পারেন।’