অভয় দেওল
হালে খলনায়ক হিসেবে ববি দেওলের উত্থান হয়েছে, ‘গদার ২’-এর সাফল্য দিয়ে সানি দেওলও নিজের পারিশ্রমিকও কয়েক গুণ বাড়িয়েছেন। কিন্তু আপনি যখন শুনবেন দেওল পরিবারের সবচেয়ে ধনী তারকা এ দুজনের কেউ নন, তখন চমকে উঠতেই পারেন। কেবল দেওল পরিবারেই নয়, বলিউডে অনেক বড় তারকার চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক এখন অভয় দেওল। প্রায় ৪০০ কোটি রুপির (প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা) এই বিপুল সম্পদ তাঁকে শুধু ধনী বানায়নি; বরং নিজের পরিবারের মধ্যেও শীর্ষে নিয়ে গেছে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে বক্স অফিসে সাফল্য ধরা না দিলেও অভিনেতা হিসেবে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজের এক আলাদা পরিচিতি। অভয় পুরোপুরি বাণিজ্যিক ধারার সিনেমা সেভাবে করেননি।
তাঁকে দেখা গেছে ‘সোচা না থা’, ‘ওয়ে লাকি! লাকি ওয়ে!’, ‘দেব ডি’ ও ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’র মতো সিনেমায়। কোনো সিনেমা বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছে, তবে মোটাদাগে অভয় আসলে ‘ফ্লপ তারকা’। অন্যদিকে তাঁর চাচাতো ভাই সানি দেওল ও ববি দেওল তাঁদের সময়ে একের পর এক ব্লকবাস্টার দিয়ে বলিউডের শীর্ষ নায়ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।
ধীরে ধীরে এক ক্ষেত্রে অভয় সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন—ব্যবসায়িক বিনিয়োগে। প্রচলিত বক্স অফিস আয় ছাড়াই তিনি গড়ে তুলেছেন কয়েক শ কোটি টাকার সাম্রাজ্য।
লাইফস্টাইল এশিয়া ও মিডিয়ামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে অভয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি রুপি; অর্থাৎ তিনি সানি দেওলের (প্রায় ১২০ কোটি) তিন গুণ ধনী এবং ববি দেওলের (প্রায় ৭০ কোটি) চেয়ে প্রায় ছয় গুণ বেশি সম্পদের মালিক। সানি ‘গদার ২’ ও ‘জাট’ এবং ববি ‘অ্যানিমেল’-এর মতো সাম্প্রতিক হিট সিনেমা দিয়ে আয় বাড়ালেও, তাঁদের দুজনের মিলিত সম্পদ অভয়ের কাছাকাছি নয়।
২০০৫ সালে ইমতিয়াজ আলীর ‘সোচা না থা’ দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু করেন অভয় দেওল। এরপর ২০ বছরে আরও ২৩টি সিনেমা ও ৪টি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন। পুরো ক্যারিয়ারে মাত্র তিনটি সিনেমা—‘দেব ডি, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ও ‘রানঝানা’ হিট হয়। এর মধ্যে শেষ দুটি ছিল বহু তারকাময় চলচ্চিত্র। বাকি ১৪টি সিনেমা বক্স অফিসে ফ্লপ বলে ধরা হয়। যদিও ‘ওয়ে লাকি! লাকি ওয়ে!’, ‘সাংহাই ও ‘এক চালিস কি লাস্ট লোকাল’ পরে সমালোচকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সিনেমার মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে অভিনয় থেকে অভয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ কোটি রুপি, যার বড় অংশ আসে স্ট্রিমিং প্রকল্প থেকে, যেমন ‘ট্রায়াল বাই ফায়ার’।
অভয়ের সম্পদের মূল রহস্য বহুমুখী বিনিয়োগ। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই তিনি উদ্যোক্তা হিসেবে পা রাখেন; চালু করেন সফল রেস্তোরাঁ চেইন দ্য ফ্যাটি কাউ। পাশাপাশি তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ফরবিডেন ফিল্মস রয়েছে। তিনি একাধিক সম্পত্তির মালিক—বছর কয়েক আগে মুম্বাইয়ের একটি বাড়ির জন্য ২৭ কোটি রুপি খরচ করেছিলেন, যার বর্তমান মূল্য অনেক বেশি। মুম্বাই ও পাঞ্জাব ছাড়াও তাঁর রয়েছে গোয়ায় একটি পরিবেশবান্ধব গ্লাস হাউস।
দুই দশক ধরে অভিনয়ে সক্রিয় থাকলেও অভয় সব সময় আলোচনার বাইরে থেকেছেন। ২০২২ সালে ই-টাইমসকে তিনি বলেন, ‘খ্যাতি নিয়ে আমি কখনোই ভাবিনি। কারণ, টাকা সুখ দেয় না। সন্তুষ্টি আসে, যখন আপনি নিজের মতো থাকতে পারেন, ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারেন। সেটা তথাকথিত ছোট সিনেমার ক্ষেত্রেও। আমি এমন কাজ করতে চাই, যা আমাকে শিল্পী হিসেবে সন্তুষ্টি এনে দেবে।’
সর্বশেষ ২০২৩ সালে নেটফ্লিক্সের বহুল প্রশংসিত মিনি সিরিজ ‘ট্রায়াল বাই ফায়ার’-এ দেখা গেছে অভয় দেওলকে, যেখানে রসিকা দেশপান্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন।
অভয় দেওল
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
হালে খলনায়ক হিসেবে ববি দেওলের উত্থান হয়েছে, ‘গদার ২’-এর সাফল্য দিয়ে সানি দেওলও নিজের পারিশ্রমিকও কয়েক গুণ বাড়িয়েছেন। কিন্তু আপনি যখন শুনবেন দেওল পরিবারের সবচেয়ে ধনী তারকা এ দুজনের কেউ নন, তখন চমকে উঠতেই পারেন। কেবল দেওল পরিবারেই নয়, বলিউডে অনেক বড় তারকার চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক এখন অভয় দেওল। প্রায় ৪০০ কোটি রুপির (প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা) এই বিপুল সম্পদ তাঁকে শুধু ধনী বানায়নি; বরং নিজের পরিবারের মধ্যেও শীর্ষে নিয়ে গেছে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে বক্স অফিসে সাফল্য ধরা না দিলেও অভিনেতা হিসেবে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজের এক আলাদা পরিচিতি। অভয় পুরোপুরি বাণিজ্যিক ধারার সিনেমা সেভাবে করেননি।
তাঁকে দেখা গেছে ‘সোচা না থা’, ‘ওয়ে লাকি! লাকি ওয়ে!’, ‘দেব ডি’ ও ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’র মতো সিনেমায়। কোনো সিনেমা বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছে, তবে মোটাদাগে অভয় আসলে ‘ফ্লপ তারকা’। অন্যদিকে তাঁর চাচাতো ভাই সানি দেওল ও ববি দেওল তাঁদের সময়ে একের পর এক ব্লকবাস্টার দিয়ে বলিউডের শীর্ষ নায়ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।
ধীরে ধীরে এক ক্ষেত্রে অভয় সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন—ব্যবসায়িক বিনিয়োগে। প্রচলিত বক্স অফিস আয় ছাড়াই তিনি গড়ে তুলেছেন কয়েক শ কোটি টাকার সাম্রাজ্য।
লাইফস্টাইল এশিয়া ও মিডিয়ামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে অভয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি রুপি; অর্থাৎ তিনি সানি দেওলের (প্রায় ১২০ কোটি) তিন গুণ ধনী এবং ববি দেওলের (প্রায় ৭০ কোটি) চেয়ে প্রায় ছয় গুণ বেশি সম্পদের মালিক। সানি ‘গদার ২’ ও ‘জাট’ এবং ববি ‘অ্যানিমেল’-এর মতো সাম্প্রতিক হিট সিনেমা দিয়ে আয় বাড়ালেও, তাঁদের দুজনের মিলিত সম্পদ অভয়ের কাছাকাছি নয়।
২০০৫ সালে ইমতিয়াজ আলীর ‘সোচা না থা’ দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু করেন অভয় দেওল। এরপর ২০ বছরে আরও ২৩টি সিনেমা ও ৪টি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন। পুরো ক্যারিয়ারে মাত্র তিনটি সিনেমা—‘দেব ডি, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ও ‘রানঝানা’ হিট হয়। এর মধ্যে শেষ দুটি ছিল বহু তারকাময় চলচ্চিত্র। বাকি ১৪টি সিনেমা বক্স অফিসে ফ্লপ বলে ধরা হয়। যদিও ‘ওয়ে লাকি! লাকি ওয়ে!’, ‘সাংহাই ও ‘এক চালিস কি লাস্ট লোকাল’ পরে সমালোচকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সিনেমার মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে অভিনয় থেকে অভয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ কোটি রুপি, যার বড় অংশ আসে স্ট্রিমিং প্রকল্প থেকে, যেমন ‘ট্রায়াল বাই ফায়ার’।
অভয়ের সম্পদের মূল রহস্য বহুমুখী বিনিয়োগ। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই তিনি উদ্যোক্তা হিসেবে পা রাখেন; চালু করেন সফল রেস্তোরাঁ চেইন দ্য ফ্যাটি কাউ। পাশাপাশি তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ফরবিডেন ফিল্মস রয়েছে। তিনি একাধিক সম্পত্তির মালিক—বছর কয়েক আগে মুম্বাইয়ের একটি বাড়ির জন্য ২৭ কোটি রুপি খরচ করেছিলেন, যার বর্তমান মূল্য অনেক বেশি। মুম্বাই ও পাঞ্জাব ছাড়াও তাঁর রয়েছে গোয়ায় একটি পরিবেশবান্ধব গ্লাস হাউস।
দুই দশক ধরে অভিনয়ে সক্রিয় থাকলেও অভয় সব সময় আলোচনার বাইরে থেকেছেন। ২০২২ সালে ই-টাইমসকে তিনি বলেন, ‘খ্যাতি নিয়ে আমি কখনোই ভাবিনি। কারণ, টাকা সুখ দেয় না। সন্তুষ্টি আসে, যখন আপনি নিজের মতো থাকতে পারেন, ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারেন। সেটা তথাকথিত ছোট সিনেমার ক্ষেত্রেও। আমি এমন কাজ করতে চাই, যা আমাকে শিল্পী হিসেবে সন্তুষ্টি এনে দেবে।’
সর্বশেষ ২০২৩ সালে নেটফ্লিক্সের বহুল প্রশংসিত মিনি সিরিজ ‘ট্রায়াল বাই ফায়ার’-এ দেখা গেছে অভয় দেওলকে, যেখানে রসিকা দেশপান্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন।