কিংবদন্তি অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক দুই সপ্তাহ ধরে সিঙ্গাপুরে হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন৷ গত ২১ মার্চ থেকে কোনো সাড়া দিচ্ছেন না তিনি৷ গতকাল ৬ এপ্রিল এ তথ্যই জানিয়েছিলেন তার পুত্র রওশন হোসেন পাঠান শরৎ। তবে ৭ এপ্রিল ডাক্তারদের ডাকে তার বাবা সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।
শরৎ বলেন, ‘বুধবার বিকেলের দিকে আব্বু ডাক্তারদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। একই সঙ্গে হাতও নাড়িয়েছেন। ডাক্তাররা আশাবাদী হয়েছেন। আব্বুর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।’
শরৎ জানান, তার বাবা সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানে তার অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। তাদের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত খবর রাখছেন তিনি।
সম্প্রতি সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হন ফারুক। সবাই সুস্থ হলেও তার বেশকিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে যান তিনি। সেখানে পরীক্ষায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর সিঙ্গাপুরে নিজের পরিচিত চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. লাইয়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ২১ মার্চ তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তখন থেকেই অচেতন অবস্থায় রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তিনি লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, সারেং বৌ, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে, মিয়া ভাইসহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
‘লাঠিয়াল’-এ অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে ‘শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৬ সালে ‘আজীবন সম্মাননা’ অর্জন করেন।
বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২১
কিংবদন্তি অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক দুই সপ্তাহ ধরে সিঙ্গাপুরে হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন৷ গত ২১ মার্চ থেকে কোনো সাড়া দিচ্ছেন না তিনি৷ গতকাল ৬ এপ্রিল এ তথ্যই জানিয়েছিলেন তার পুত্র রওশন হোসেন পাঠান শরৎ। তবে ৭ এপ্রিল ডাক্তারদের ডাকে তার বাবা সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।
শরৎ বলেন, ‘বুধবার বিকেলের দিকে আব্বু ডাক্তারদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। একই সঙ্গে হাতও নাড়িয়েছেন। ডাক্তাররা আশাবাদী হয়েছেন। আব্বুর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।’
শরৎ জানান, তার বাবা সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানে তার অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। তাদের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত খবর রাখছেন তিনি।
সম্প্রতি সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হন ফারুক। সবাই সুস্থ হলেও তার বেশকিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে যান তিনি। সেখানে পরীক্ষায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর সিঙ্গাপুরে নিজের পরিচিত চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. লাইয়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ২১ মার্চ তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তখন থেকেই অচেতন অবস্থায় রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তিনি লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, সারেং বৌ, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে, মিয়া ভাইসহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
‘লাঠিয়াল’-এ অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে ‘শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১৬ সালে ‘আজীবন সম্মাননা’ অর্জন করেন।