দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
চলমান লড়াইয়ে সেনা ও বেসামরিক মিলিয়ে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন, আর আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে ‘অবিলম্বে ও শর্তহীন অস্ত্রবিরতির’ আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছেয়া কিও বলেন,
> “নম পেন শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়, সহিংসতা নয়।”
তুমুল সংঘাতে উত্তপ্ত সীমান্ত
থাইল্যান্ড এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। বরং তারা কম্বোডিয়ার সীমান্তঘেঁষা আটটি জেলায় মার্শাল ল’ জারি করেছে। শনিবারও নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল ও সুরিন, উবোন রাচাথানি এবং শ্রিসাকেত প্রদেশে।
থাই নৌবাহিনী জানিয়েছে,কম্বোডিয়ার হামলা প্রতিহত করে তাদের পিছু হটতে বাধ্য করা হয়েছে। অন্যদিকে কম্বোডিয়া অভিযোগ করেছে, থাইল্যান্ড গুচ্ছ বোমা (cluster munitions)ব্যবহার করেছে—যা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এবং বেসামরিকদের জন্য ভয়াবহ হুমকি।
দুই দেশই দোষ দিচ্ছে একে অপরকে
থাই সেনাবাহিনীর অভিযোগ, কম্বোডিয়া নজরদারি ড্রোন পাঠানোর মাধ্যমে সংঘাতের সূচনা করেছে। কম্বোডিয়া বলছে, থাই সেনারা একটি খেমার-হিন্দু মন্দিরের দিকে আগ্রসর হয়ে চুক্তিভঙ্গ করেছে, ফলে সংঘর্ষ বাধে।
দুই দেশের মধ্যে এই সীমান্ত বিরোধ শতবর্ষ পুরনো। ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের পর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বারবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মে মাসে এক সংঘর্ষে কম্বোডিয়ান এক সেনা নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যায়।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও মধ্যস্থতা প্রস্তাব
বিশ্বজুড়ে এই সংঘাত নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানিয়েছে,
> “অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করুন, বেসামরিকদের সুরক্ষা দিন এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছান।”
আসিয়ানভুক্ত দেশ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুই পক্ষকে আলোচনায় বসাতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রয়টার্সকে বলেন,
> “এই সংকটে তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।”
হতাহতের তালিকা
থাইল্যান্ড জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের ১৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জন বেসামরিক ও ৬ জন সেনাসদস্য।** কম্বোডিয়া নিশ্চিত করেছে, তাদের ৮ জন বেসামরিক এবং ৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন।
উভয় দেশের সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। তিনি সতর্ক করেছেন,
> “সীমান্ত সংঘাত বড় ধরনের যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।”
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
চলমান লড়াইয়ে সেনা ও বেসামরিক মিলিয়ে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন, আর আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে ‘অবিলম্বে ও শর্তহীন অস্ত্রবিরতির’ আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছেয়া কিও বলেন,
> “নম পেন শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়, সহিংসতা নয়।”
তুমুল সংঘাতে উত্তপ্ত সীমান্ত
থাইল্যান্ড এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। বরং তারা কম্বোডিয়ার সীমান্তঘেঁষা আটটি জেলায় মার্শাল ল’ জারি করেছে। শনিবারও নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল ও সুরিন, উবোন রাচাথানি এবং শ্রিসাকেত প্রদেশে।
থাই নৌবাহিনী জানিয়েছে,কম্বোডিয়ার হামলা প্রতিহত করে তাদের পিছু হটতে বাধ্য করা হয়েছে। অন্যদিকে কম্বোডিয়া অভিযোগ করেছে, থাইল্যান্ড গুচ্ছ বোমা (cluster munitions)ব্যবহার করেছে—যা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এবং বেসামরিকদের জন্য ভয়াবহ হুমকি।
দুই দেশই দোষ দিচ্ছে একে অপরকে
থাই সেনাবাহিনীর অভিযোগ, কম্বোডিয়া নজরদারি ড্রোন পাঠানোর মাধ্যমে সংঘাতের সূচনা করেছে। কম্বোডিয়া বলছে, থাই সেনারা একটি খেমার-হিন্দু মন্দিরের দিকে আগ্রসর হয়ে চুক্তিভঙ্গ করেছে, ফলে সংঘর্ষ বাধে।
দুই দেশের মধ্যে এই সীমান্ত বিরোধ শতবর্ষ পুরনো। ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের পর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বারবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মে মাসে এক সংঘর্ষে কম্বোডিয়ান এক সেনা নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যায়।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও মধ্যস্থতা প্রস্তাব
বিশ্বজুড়ে এই সংঘাত নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানিয়েছে,
> “অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করুন, বেসামরিকদের সুরক্ষা দিন এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছান।”
আসিয়ানভুক্ত দেশ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুই পক্ষকে আলোচনায় বসাতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রয়টার্সকে বলেন,
> “এই সংকটে তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।”
হতাহতের তালিকা
থাইল্যান্ড জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের ১৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জন বেসামরিক ও ৬ জন সেনাসদস্য।** কম্বোডিয়া নিশ্চিত করেছে, তাদের ৮ জন বেসামরিক এবং ৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন।
উভয় দেশের সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। তিনি সতর্ক করেছেন,
> “সীমান্ত সংঘাত বড় ধরনের যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।”