ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ ঠেকাতে নতুন একটি অভিবাসন চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। একইসঙ্গে ইউক্রেইনে যুদ্ধবিরতি হলে দেশটির পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন দুই নেতা।
বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই ‘পাইলট স্কিম’-এর ঘোষণা দেন তারা। এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে ছোট নৌকায় আসা অবৈধ অভিবাসীদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হবে, এবং বিনিময়ে ব্রিটেনে বসবাসরত স্বজনের সঙ্গে যুক্ত বৈধ ফরাসি আশ্রয়প্রার্থীকে যুক্তরাজ্য নেবে।
স্টারমার বলেন, “এটি একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা। মানবপাচারের মূল ভিত্তিই এতে ধসে পড়বে। সফল হলে আরও বড় পরিসরে এটি চালু হবে।”
তবে আইনি বাস্তবতা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর সম্মতির ওপর নির্ভর করছে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫০ জন করে অভিবাসী ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা বছরে প্রায় ২,৬০০ জন।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ২০ হাজারের বেশি মানুষ ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজারের বেশি।
চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় থাকলেও স্টারমার আশাবাদী। অন্যদিকে ম্যাক্রোঁ কড়া সুরে ব্রেক্সিটকে দায়ী করেন অভিবাসন সংকটের জন্য। তিনি বলেন, “ব্রেক্সিট হলে অভিবাসন বন্ধ হবে—এমনটা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।”
উত্তরে স্টারমার বলেন, “আমরা এখন নজিরবিহীন মাত্রায় অবৈধ শ্রমিক ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।”
শুধু অভিবাসন নয়, ইউক্রেইন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। যুদ্ধবিরতির পর কিইভকে সহায়তা দিতে ‘ইচ্ছুক দেশগুলোর জোট’ গঠনের কথা জানান তারা। এই জোটের প্রথম সদর দফতর থাকবে প্যারিসে, এবং পরবর্তী সময়ে তা লন্ডনে স্থানান্তর করা হবে।
এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সুপারকম্পিউটার, অ্যান্টি-শিপ মিসাইলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিতে যৌথ গবেষণার বিষয়েও দুই দেশ একমত হয়েছে। পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ভবিষ্যতে সমন্বিতভাবে সক্রিয় করার ঘোষণা দেন তারা।
স্টারমার বলেন, “ইউক্রেইনকে সহায়তা শুধু নৈতিক দায়িত্ব নয়, বরং আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যও অপরিহার্য।”
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ ঠেকাতে নতুন একটি অভিবাসন চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। একইসঙ্গে ইউক্রেইনে যুদ্ধবিরতি হলে দেশটির পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন দুই নেতা।
বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই ‘পাইলট স্কিম’-এর ঘোষণা দেন তারা। এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে ছোট নৌকায় আসা অবৈধ অভিবাসীদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হবে, এবং বিনিময়ে ব্রিটেনে বসবাসরত স্বজনের সঙ্গে যুক্ত বৈধ ফরাসি আশ্রয়প্রার্থীকে যুক্তরাজ্য নেবে।
স্টারমার বলেন, “এটি একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা। মানবপাচারের মূল ভিত্তিই এতে ধসে পড়বে। সফল হলে আরও বড় পরিসরে এটি চালু হবে।”
তবে আইনি বাস্তবতা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর সম্মতির ওপর নির্ভর করছে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫০ জন করে অভিবাসী ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা বছরে প্রায় ২,৬০০ জন।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ২০ হাজারের বেশি মানুষ ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজারের বেশি।
চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় থাকলেও স্টারমার আশাবাদী। অন্যদিকে ম্যাক্রোঁ কড়া সুরে ব্রেক্সিটকে দায়ী করেন অভিবাসন সংকটের জন্য। তিনি বলেন, “ব্রেক্সিট হলে অভিবাসন বন্ধ হবে—এমনটা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।”
উত্তরে স্টারমার বলেন, “আমরা এখন নজিরবিহীন মাত্রায় অবৈধ শ্রমিক ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।”
শুধু অভিবাসন নয়, ইউক্রেইন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। যুদ্ধবিরতির পর কিইভকে সহায়তা দিতে ‘ইচ্ছুক দেশগুলোর জোট’ গঠনের কথা জানান তারা। এই জোটের প্রথম সদর দফতর থাকবে প্যারিসে, এবং পরবর্তী সময়ে তা লন্ডনে স্থানান্তর করা হবে।
এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সুপারকম্পিউটার, অ্যান্টি-শিপ মিসাইলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিতে যৌথ গবেষণার বিষয়েও দুই দেশ একমত হয়েছে। পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ভবিষ্যতে সমন্বিতভাবে সক্রিয় করার ঘোষণা দেন তারা।
স্টারমার বলেন, “ইউক্রেইনকে সহায়তা শুধু নৈতিক দায়িত্ব নয়, বরং আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যও অপরিহার্য।”