alt

আন্তর্জাতিক

অভিবাসী সংকট ও ইউক্রেইন ইস্যুতে একমত ফ্রান্স–যুক্তরাজ্য

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ ঠেকাতে নতুন একটি অভিবাসন চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। একইসঙ্গে ইউক্রেইনে যুদ্ধবিরতি হলে দেশটির পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন দুই নেতা।

বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই ‘পাইলট স্কিম’-এর ঘোষণা দেন তারা। এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে ছোট নৌকায় আসা অবৈধ অভিবাসীদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হবে, এবং বিনিময়ে ব্রিটেনে বসবাসরত স্বজনের সঙ্গে যুক্ত বৈধ ফরাসি আশ্রয়প্রার্থীকে যুক্তরাজ্য নেবে।

স্টারমার বলেন, “এটি একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা। মানবপাচারের মূল ভিত্তিই এতে ধসে পড়বে। সফল হলে আরও বড় পরিসরে এটি চালু হবে।”

তবে আইনি বাস্তবতা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর সম্মতির ওপর নির্ভর করছে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫০ জন করে অভিবাসী ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা বছরে প্রায় ২,৬০০ জন।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ২০ হাজারের বেশি মানুষ ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজারের বেশি।

চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় থাকলেও স্টারমার আশাবাদী। অন্যদিকে ম্যাক্রোঁ কড়া সুরে ব্রেক্সিটকে দায়ী করেন অভিবাসন সংকটের জন্য। তিনি বলেন, “ব্রেক্সিট হলে অভিবাসন বন্ধ হবে—এমনটা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।”

উত্তরে স্টারমার বলেন, “আমরা এখন নজিরবিহীন মাত্রায় অবৈধ শ্রমিক ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।”

শুধু অভিবাসন নয়, ইউক্রেইন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। যুদ্ধবিরতির পর কিইভকে সহায়তা দিতে ‘ইচ্ছুক দেশগুলোর জোট’ গঠনের কথা জানান তারা। এই জোটের প্রথম সদর দফতর থাকবে প্যারিসে, এবং পরবর্তী সময়ে তা লন্ডনে স্থানান্তর করা হবে।

এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সুপারকম্পিউটার, অ্যান্টি-শিপ মিসাইলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিতে যৌথ গবেষণার বিষয়েও দুই দেশ একমত হয়েছে। পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ভবিষ্যতে সমন্বিতভাবে সক্রিয় করার ঘোষণা দেন তারা।

স্টারমার বলেন, “ইউক্রেইনকে সহায়তা শুধু নৈতিক দায়িত্ব নয়, বরং আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যও অপরিহার্য।”

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বয়স্করা

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ‘আশাবাদী’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ইউক্রেইনে যাবে, নেটো দেবে অর্থ: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

ছবি

সৌদিতে বিদেশিদের জন্য সুখবর, কিনতে পারবেন সম্পত্তি

রাশিয়ার ওপর দ্রুত নিষেধাজ্ঞা চান জেলেনস্কি

ছবি

সিন্ধুর পানিপ্রবাহ বন্ধ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কি সংঘাত অনিবার্য

ইয়েমেনে খেয়ে না-খেয়ে থাকছেন পৌনে ২ কোটি মানুষ

ছবি

নেটোর মাধ্যমে ইউক্রেইনকে অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্যয় বহন করবে জোট: ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা: ছয় সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট সাময়িক বরখাস্ত

ছবি

কিম জং উনের বিরুদ্ধে মামলা করছেন পক্ষত্যাগী উত্তর কোরীয় নারী

আরও ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস, হামলায় নিহত ৭৪

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ‘পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্টের জন্য লাইনে দাঁড়ানো ৮ শিশু নিহত’

রিয়াদ ও জেদ্দায় সম্পত্তির মালিক হতে পারবেন বিদেশিরাও

ছবি

চলতি বছরে ভারতীয়দের তৃতীয় জাগুয়ার দুর্ঘটনায় প্রাণহানি

ভদোদরায় ৪৩ বছরের পুরোনো সেতু ভেঙে বিপর্যয়, কয়েকটি যান নদীতে

ছবি

মায়ানমারের বিরল খনিজ ঘিরে চীনের হুমকি

এক রাতে ৭ শতাধিক ড্রোন নিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার

ছবি

ইরান ও সৌদির মধ্যে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা

তালেবান নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ইরানে অস্ত্র সরবরাহ শুরু করল চীন

ছবি

কোন পথে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

ছবি

নারী নিপীড়নের অভিযোগে তালেবান নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

চীনের সহায়তায় আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তি পেল ইরান

ছবি

ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি

ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

সাইপ্রাসে গড়ে উঠছে ‘মিনি ইসরায়েল’

বিশ্বজুড়ে একের পর এক খনি কিনছে চীন

সিরিয়ার এইচটিএস গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে কী আছে, এটা কি গাজায় যুদ্ধ থামাতে পারবে

ছবি

পাকিস্তানে বৃষ্টি ও ভূমিধসে ১৯ জনের মৃত্যু, বন্যা সতর্কতা জারি

ছবি

টেক্সাসে হড়পা বানে শতাধিক মানুষের মৃত্যু, নিখোঁজ বহু

ছবি

নেতানিয়াহুর অনড় অবস্থান, ট্রাম্প চান দ্রুত চুক্তি

গাজায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই শুরু হচ্ছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা

ছবি

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে খামেনি

পুতিনের পাশে কিম, জেলেনস্কিকে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে : জেলেনস্কি

tab

আন্তর্জাতিক

অভিবাসী সংকট ও ইউক্রেইন ইস্যুতে একমত ফ্রান্স–যুক্তরাজ্য

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ ঠেকাতে নতুন একটি অভিবাসন চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। একইসঙ্গে ইউক্রেইনে যুদ্ধবিরতি হলে দেশটির পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন দুই নেতা।

বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই ‘পাইলট স্কিম’-এর ঘোষণা দেন তারা। এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে ছোট নৌকায় আসা অবৈধ অভিবাসীদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হবে, এবং বিনিময়ে ব্রিটেনে বসবাসরত স্বজনের সঙ্গে যুক্ত বৈধ ফরাসি আশ্রয়প্রার্থীকে যুক্তরাজ্য নেবে।

স্টারমার বলেন, “এটি একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা। মানবপাচারের মূল ভিত্তিই এতে ধসে পড়বে। সফল হলে আরও বড় পরিসরে এটি চালু হবে।”

তবে আইনি বাস্তবতা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর সম্মতির ওপর নির্ভর করছে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫০ জন করে অভিবাসী ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা বছরে প্রায় ২,৬০০ জন।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ২০ হাজারের বেশি মানুষ ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজারের বেশি।

চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় থাকলেও স্টারমার আশাবাদী। অন্যদিকে ম্যাক্রোঁ কড়া সুরে ব্রেক্সিটকে দায়ী করেন অভিবাসন সংকটের জন্য। তিনি বলেন, “ব্রেক্সিট হলে অভিবাসন বন্ধ হবে—এমনটা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।”

উত্তরে স্টারমার বলেন, “আমরা এখন নজিরবিহীন মাত্রায় অবৈধ শ্রমিক ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।”

শুধু অভিবাসন নয়, ইউক্রেইন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। যুদ্ধবিরতির পর কিইভকে সহায়তা দিতে ‘ইচ্ছুক দেশগুলোর জোট’ গঠনের কথা জানান তারা। এই জোটের প্রথম সদর দফতর থাকবে প্যারিসে, এবং পরবর্তী সময়ে তা লন্ডনে স্থানান্তর করা হবে।

এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সুপারকম্পিউটার, অ্যান্টি-শিপ মিসাইলসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিতে যৌথ গবেষণার বিষয়েও দুই দেশ একমত হয়েছে। পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ভবিষ্যতে সমন্বিতভাবে সক্রিয় করার ঘোষণা দেন তারা।

স্টারমার বলেন, “ইউক্রেইনকে সহায়তা শুধু নৈতিক দায়িত্ব নয়, বরং আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যও অপরিহার্য।”

back to top