ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে সবাইকে অপেক্ষায় রেখেছেন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য। এবার তিনি বসতে চান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কিকে সঙ্গে নিয়ে। যদিও বৈঠকের তারিখ ও স্থান এখনও নির্ধারণ হয়নি, তবে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস আভাস দিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে।
রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গত শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনকে নিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। তবে দীর্ঘ আলোচনার পরও প্রায় সাড়ে তিন বছরের এই যুদ্ধ নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। সেই বৈঠকের পরই ট্রাম্প আমন্ত্রণ জানান জেলেনস্কিকে। তার ডাকেই সোমবার ওয়াশিংটনে আসেন ইউক্রেইন প্রেসিডেন্ট, সঙ্গে ছিলেন ইউরোপের কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
সোমবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প, জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়। আলোচনায় বারবার উঠে আসে ইউক্রেইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি। বৈঠকের একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প জানান, তিনি ইতোমধ্যে পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এ বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
তবে জেলেনস্কিকে কিছু শর্তও মাথায় রাখতে বলেছেন ট্রাম্প। তার মতে, ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ইউক্রেইন আর ফিরে পাবে না এবং ন্যাটোর সদস্য হওয়ার চিন্তা বাদ দিতে হবে। এ অবস্থাতেও বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করেন জেলেনস্কি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুতিনের সঙ্গে “যত দ্রুত সম্ভব” বৈঠক করতে ইউক্রেইন প্রস্তুত এবং আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে কোনো পূর্বশর্ত থাকা উচিত নয়।
জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন নেই, আমাদের প্রয়োজন সত্যিকারের শান্তি। পুতিনের সঙ্গে যেকোনো ফরম্যাটে আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন ও ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “যদি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আসে এবং রাশিয়া, ইউক্রেইন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠক হয়, তবে সেটি হবে এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি।”
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে সবাইকে অপেক্ষায় রেখেছেন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য। এবার তিনি বসতে চান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কিকে সঙ্গে নিয়ে। যদিও বৈঠকের তারিখ ও স্থান এখনও নির্ধারণ হয়নি, তবে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস আভাস দিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে।
রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গত শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনকে নিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। তবে দীর্ঘ আলোচনার পরও প্রায় সাড়ে তিন বছরের এই যুদ্ধ নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। সেই বৈঠকের পরই ট্রাম্প আমন্ত্রণ জানান জেলেনস্কিকে। তার ডাকেই সোমবার ওয়াশিংটনে আসেন ইউক্রেইন প্রেসিডেন্ট, সঙ্গে ছিলেন ইউরোপের কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
সোমবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প, জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়। আলোচনায় বারবার উঠে আসে ইউক্রেইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি। বৈঠকের একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প জানান, তিনি ইতোমধ্যে পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এ বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
তবে জেলেনস্কিকে কিছু শর্তও মাথায় রাখতে বলেছেন ট্রাম্প। তার মতে, ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ইউক্রেইন আর ফিরে পাবে না এবং ন্যাটোর সদস্য হওয়ার চিন্তা বাদ দিতে হবে। এ অবস্থাতেও বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করেন জেলেনস্কি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুতিনের সঙ্গে “যত দ্রুত সম্ভব” বৈঠক করতে ইউক্রেইন প্রস্তুত এবং আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে কোনো পূর্বশর্ত থাকা উচিত নয়।
জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন নেই, আমাদের প্রয়োজন সত্যিকারের শান্তি। পুতিনের সঙ্গে যেকোনো ফরম্যাটে আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন ও ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “যদি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আসে এবং রাশিয়া, ইউক্রেইন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠক হয়, তবে সেটি হবে এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি।”