সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ সফরকে ঘিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’জনই তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের ধারাবাহিক উন্নতি নিয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’।
তারা জানিয়েছেন, দুই দেশ আবারও বাণিজ্য সম্পর্ক চালু করবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও সহযোগিতা জোরদার করবে। এর অংশ হিসেবে হিমালয়ে সীমান্তসংক্রান্ত বিরোধ সমাধানেও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
ভারত ও চীন যে এতদিন অন্তত বন্ধুরাষ্ট্র ছিল না, তা কারও অজানা নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্কনীতি ভূরাজনৈতিক ছকে যে নাড়া দিয়েছে, দুই বৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে এই কূটনৈতিক দিকবদলের আভাস তারই বড় প্রমাণ।
ওয়াং ই–এর ভারত সফর শেষে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশ সরাসরি বিমান যোগাযোগ আবার চালু করতে রাজি হয়েছে। গত জানুয়ারিতেই তারা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। এছাড়া সাংবাদিকদের ভিসা এবং বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও দুই দেশের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা’র কথা উল্লেখ করেছেন। একই সময়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, দুই দেশ এখন ‘স্থিতিশীল সম্পর্কের ধারায়’ প্রবেশ করেছে। তিনি পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার অপরিহার্যতার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন।
আগামী অক্টোবরে চীন সফরে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সফরে তিনি চীনের বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে মোদী চীনে গিয়েছিলেন।
দুই দেশের সম্পর্কে মারাত্মক অবনতি ঘটে ২০২০ সালে, হিমালয়ের সীমান্ত সংঘাতে প্রাণহানির ঘটনায় । সেসময় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। এতে ভারতের অন্তত ২০ জন এবং চীনের চারজন সেনা নিহত হন।
সেই সংঘাতের পর থেকে উত্তেজনা কমাতে দুই দেশই আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। গত অক্টোবরেই রাশিয়ায় মোদী বসেছিলেন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। এছাড়া সংঘাতের পর দুই দেশই সীমান্ত প্রতিরক্ষা জোরদার করার পাশাপাশি সীমান্ত টহল বিষয়ে চুক্তি করেছে এবং অতিরিক্ত সেনা প্রত্যাহার করেছে।
গত বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বৈঠক করেছেন। সেখানে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন, সীমানা নির্ধারণসহ সীমান্তসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, তাদের আলোচনায় দুদেশের মধ্যকার সীমানা চিহ্নিতকরণের বিষয়ে সমঝোতার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা অন্বেষণের বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার বলেছেন, "আমরা গত কয়েক বছরে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছি, সেগুলো আমাদের দুদেশের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে যায় না। দুই দেশের সীমান্তে স্থিতিশীলতা আসায় আমি আনন্দিত।"
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য ইয়ারলুং সাংপো নদীতে বাধ দেওয়া নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরেন তাদের আলোচনায়। তিব্বতের এই নদীতে বাধ দিয়ে চীন সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করতে যাচ্ছে। ভারত মনে করে তা ঢালে ভূমি ও জনগোষ্ঠীর উপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে।
তবে, ভারত-চীনের সম্পর্কের এই পরিবর্তনের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে ট্রাম্পের শুল্কের কারণে।
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি গোটা বিশ্বেই অনেক কিছু উল্টেপাল্টে দিয়েছে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন মেরুকরণ হচ্ছে।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বড় মিত্র হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে, এই অঞ্চলে চীনের অব্যহত প্রভাব বৃদ্ধি ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জোট কোয়াডের সদস্য ভারত।
কিন্তু এই মাসের শুরুতে রাশিয়া থেকে তেল কেনার শাস্তিস্বরূপ ট্রাম্প ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।
ভারত বলছে যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্কনীতি ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অকারণে’। পাশাপাশি নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছে ভারত।
এর আগে ভারতে রাশিয়ার দূতাবাসের এক কর্মকর্তা, রোমান বাবুশকিন, জানিয়েছেন যে রাশিয়া বিশেষ পদ্ধতিতে ভারতে তেলের সরবরাহ অব্যহত রাখবে। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন, এই বছরের শেষ দিকে পুতিনও ভারতে যাবেন।
এদিকে, ভারতের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানে যাবেন। পাকিস্তান চীনের পুরোনো বন্ধু। মে মাসে ভারতের সঙ্গে চারদিনের যুদ্ধে চীনের কাছ থেকে প্রাপ্ত যুদ্ধবিমানসহ অস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে পাকিস্তানকে বিশেষভাবে ‘লৌহকঠিন’ এবং ‘সবসময়ের পরীক্ষিত কৌশলগত’ অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেছে চীন।
মঙ্গলবার চীনের সরকারি এক মুখপাত্র, মাও নিং, সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “আমরা ভারত ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার পরিবেশ বৃদ্ধি করতে চাই। আশা করি, এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা সঠিক পদ্ধতিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ সফরকে ঘিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’জনই তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের ধারাবাহিক উন্নতি নিয়ে ‘উচ্ছ্বসিত’।
তারা জানিয়েছেন, দুই দেশ আবারও বাণিজ্য সম্পর্ক চালু করবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও সহযোগিতা জোরদার করবে। এর অংশ হিসেবে হিমালয়ে সীমান্তসংক্রান্ত বিরোধ সমাধানেও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
ভারত ও চীন যে এতদিন অন্তত বন্ধুরাষ্ট্র ছিল না, তা কারও অজানা নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্কনীতি ভূরাজনৈতিক ছকে যে নাড়া দিয়েছে, দুই বৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে এই কূটনৈতিক দিকবদলের আভাস তারই বড় প্রমাণ।
ওয়াং ই–এর ভারত সফর শেষে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশ সরাসরি বিমান যোগাযোগ আবার চালু করতে রাজি হয়েছে। গত জানুয়ারিতেই তারা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। এছাড়া সাংবাদিকদের ভিসা এবং বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও দুই দেশের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা’র কথা উল্লেখ করেছেন। একই সময়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, দুই দেশ এখন ‘স্থিতিশীল সম্পর্কের ধারায়’ প্রবেশ করেছে। তিনি পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার অপরিহার্যতার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন।
আগামী অক্টোবরে চীন সফরে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সফরে তিনি চীনের বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে মোদী চীনে গিয়েছিলেন।
দুই দেশের সম্পর্কে মারাত্মক অবনতি ঘটে ২০২০ সালে, হিমালয়ের সীমান্ত সংঘাতে প্রাণহানির ঘটনায় । সেসময় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। এতে ভারতের অন্তত ২০ জন এবং চীনের চারজন সেনা নিহত হন।
সেই সংঘাতের পর থেকে উত্তেজনা কমাতে দুই দেশই আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। গত অক্টোবরেই রাশিয়ায় মোদী বসেছিলেন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। এছাড়া সংঘাতের পর দুই দেশই সীমান্ত প্রতিরক্ষা জোরদার করার পাশাপাশি সীমান্ত টহল বিষয়ে চুক্তি করেছে এবং অতিরিক্ত সেনা প্রত্যাহার করেছে।
গত বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বৈঠক করেছেন। সেখানে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন, সীমানা নির্ধারণসহ সীমান্তসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, তাদের আলোচনায় দুদেশের মধ্যকার সীমানা চিহ্নিতকরণের বিষয়ে সমঝোতার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা অন্বেষণের বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার বলেছেন, "আমরা গত কয়েক বছরে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছি, সেগুলো আমাদের দুদেশের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে যায় না। দুই দেশের সীমান্তে স্থিতিশীলতা আসায় আমি আনন্দিত।"
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য ইয়ারলুং সাংপো নদীতে বাধ দেওয়া নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরেন তাদের আলোচনায়। তিব্বতের এই নদীতে বাধ দিয়ে চীন সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করতে যাচ্ছে। ভারত মনে করে তা ঢালে ভূমি ও জনগোষ্ঠীর উপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে।
তবে, ভারত-চীনের সম্পর্কের এই পরিবর্তনের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে ট্রাম্পের শুল্কের কারণে।
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি গোটা বিশ্বেই অনেক কিছু উল্টেপাল্টে দিয়েছে। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন মেরুকরণ হচ্ছে।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বড় মিত্র হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে, এই অঞ্চলে চীনের অব্যহত প্রভাব বৃদ্ধি ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জোট কোয়াডের সদস্য ভারত।
কিন্তু এই মাসের শুরুতে রাশিয়া থেকে তেল কেনার শাস্তিস্বরূপ ট্রাম্প ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।
ভারত বলছে যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্কনীতি ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অকারণে’। পাশাপাশি নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছে ভারত।
এর আগে ভারতে রাশিয়ার দূতাবাসের এক কর্মকর্তা, রোমান বাবুশকিন, জানিয়েছেন যে রাশিয়া বিশেষ পদ্ধতিতে ভারতে তেলের সরবরাহ অব্যহত রাখবে। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন, এই বছরের শেষ দিকে পুতিনও ভারতে যাবেন।
এদিকে, ভারতের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানে যাবেন। পাকিস্তান চীনের পুরোনো বন্ধু। মে মাসে ভারতের সঙ্গে চারদিনের যুদ্ধে চীনের কাছ থেকে প্রাপ্ত যুদ্ধবিমানসহ অস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে পাকিস্তানকে বিশেষভাবে ‘লৌহকঠিন’ এবং ‘সবসময়ের পরীক্ষিত কৌশলগত’ অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেছে চীন।
মঙ্গলবার চীনের সরকারি এক মুখপাত্র, মাও নিং, সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “আমরা ভারত ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার পরিবেশ বৃদ্ধি করতে চাই। আশা করি, এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা সঠিক পদ্ধতিতে হবে।”