ভারত পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
শনিবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ভারত তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। কোনও উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।”
হামলার লক্ষ্যবস্তু বিমানঘাঁটিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি, যা রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে। এটি গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অতিথিদের আগমন-প্রস্থানের কাজে ব্যবহৃত হয়। ভারতের হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই এখান থেকে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর নিজ দেশে ফিরে যান।
স্থানীয় সময় রাতভর ইসলামাবাদ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ নিয়ে সামরিক মুখপাত্র বলেন, “এখন শুধু আমাদের জবাবের জন্য অপেক্ষা করুন।”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের এ হামলাকে ‘উন্মত্ত আচরণ’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, “এটি দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে বড় ধরনের সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।”
অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা নাকচ করে দেয়।
ওই ঘটনার পর থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। গত বুধবার থেকে দুই দেশ একে অপরের ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালাতে থাকে, যার ফলে এ পর্যন্ত শিশুসহ দুই দেশের ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই পাকিস্তানের নাগরিক বলে দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
ভারত পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
শনিবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ভারত তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। কোনও উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।”
হামলার লক্ষ্যবস্তু বিমানঘাঁটিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি, যা রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে। এটি গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অতিথিদের আগমন-প্রস্থানের কাজে ব্যবহৃত হয়। ভারতের হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই এখান থেকে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর নিজ দেশে ফিরে যান।
স্থানীয় সময় রাতভর ইসলামাবাদ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ নিয়ে সামরিক মুখপাত্র বলেন, “এখন শুধু আমাদের জবাবের জন্য অপেক্ষা করুন।”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের এ হামলাকে ‘উন্মত্ত আচরণ’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, “এটি দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে বড় ধরনের সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।”
অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা নাকচ করে দেয়।
ওই ঘটনার পর থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। গত বুধবার থেকে দুই দেশ একে অপরের ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালাতে থাকে, যার ফলে এ পর্যন্ত শিশুসহ দুই দেশের ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই পাকিস্তানের নাগরিক বলে দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।