alt

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনে আদালতের অনুমোদন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৫

সামরিক আইন জারির ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসনের যে সিদ্ধান্ত দেশটির পার্লামেন্ট নিয়েছিল, তাতে সায় দিয়েছে সাংবিধানিক আদালত।

শুক্রবার আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুন হিউং-বে রায় ঘোষণার শুরুতেই জানান, প্রেসিডেন্ট ইউনকে অপসারণের ‘যথেষ্ট কারণ’ রয়েছে।

বিচারক জানান, ইউন সুক-ইওল সামরিক ও পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব দুর্বল করেছেন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি সংবিধান রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব অবহেলা করেছেন এবং কোরিয়ার জনগণের সঙ্গে গুরুতর বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আদালতের এই রায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।

এই রায়ের ফলে দক্ষিণ কোরিয়াকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।

গত বছর ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ সামরিক আইন জারি করে সবাইকে হতভম্ব করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। তিনি দাবি করেন, সরকারে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ও উত্তর কোরিয়াপন্থি’ শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। পরে জনগণ ও পার্লামেন্টের চাপে ছয় ঘণ্টা পর সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন তিনি। তবে এর মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ায় গভীর রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়।

পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিরোধী রাজনীতিবিদদের আটক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ইউন, যাতে পার্লামেন্ট সামরিক শাসন প্রত্যাহার করতে না পারে।

এই ঘটনার পর ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসিত করা হয়। এরপর তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

রায়ে বিচারক আরও বলেন, এ ধরনের বেআইনি ও অসাংবিধানিক কার্যকলাপ সংবিধানের আওতায় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংবিধান রক্ষার স্বার্থে একজন প্রেসিডেন্টের অপসারণ যতটা ক্ষতিকর হোক না কেন, সংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

চীনের প্রভাবমুক্ত করতে ‘পানামা খাল’ ফেরত চায় যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদে ইলন মাস্ক

এবার জরুরি খাদ্য সহায়তাও বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র

শেষ পর্যন্ত লড়াই চালানোর ঘোষণা, ট্রাম্পের হুমকির জবাব দিল চীন

চুক্তি সম্পন্ন করতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ইউক্রেন

‘চোখের সামনে যাকে পেয়েছি, তাকেই মেরেছি’

মায়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৩৬০০, নিখোঁজ আরও শতাধিক

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের গুলিতে ৫২ জন নিহত

ছবি

ডোমিনিকান রিপাবলিকে নাইটক্লাবের ছাদ ধসে মৃত্যু ৭৯

ছবি

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ধনীরাও এখন তার শুল্কের সমালোচনায়

ছবি

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৫২, গৃহহীন প্রায় ২ হাজার

ছবি

এবার জরুরি খাদ্য সহায়তাও বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

শেষ পর্যন্ত লড়াই চালানোর ঘোষণা, ট্রাম্পের হুমকির জবাব দিল চীন

চুক্তি সম্পন্ন করতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ইউক্রেন

মায়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৩৬০০, নিখোঁজ আরও শতাধিক

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের গুলিতে ৫২ জন নিহত

ছবি

‘চোখের সামনে যাকে পেয়েছি, তাকেই মেরেছি’

ছবি

ওমরাহ পালনকারীদের ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সৌদি আরব ছাড়ার নির্দেশ

ছবি

বিক্ষোভে উত্তাল ভারত, বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন

ছবি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক

দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘একগুঁয়ে’ প্রেসিডেন্টের বিদায়

হামে দ্বিতীয় মার্কিন শিশুর মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৫০

ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী বরখাস্ত

ছবি

গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ

ছবি

গাজা থেকে ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলা, আহত ৩

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্প–ইলন মাস্কবিরোধী সমাবেশ, অংশ নিল লাখো মানুষ

ছবি

ট্রাম্প-মাস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন ঠেকালো মিউচুয়াল ফান্ড

পফের ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু

ছবি

বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে ভারতীয় মুসলিমরা

ছবি

গাজায় নিহত ১৭ হাজার শিশু, অনাথ ৩৯ হাজার

আবাসন সংকটে ভুগছে স্পেন, দেশজুড়ে বিক্ষোভ

দুই ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাকে আটক করেছে ইসরায়েল

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

ছবি

মায়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ৩৪৭১

ছবি

গাজায় ১৫ স্বাস্থ্যকর্মী হত্যায় ইসরায়েলের ভুল স্বীকার

tab

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনে আদালতের অনুমোদন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৫

সামরিক আইন জারির ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসনের যে সিদ্ধান্ত দেশটির পার্লামেন্ট নিয়েছিল, তাতে সায় দিয়েছে সাংবিধানিক আদালত।

শুক্রবার আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুন হিউং-বে রায় ঘোষণার শুরুতেই জানান, প্রেসিডেন্ট ইউনকে অপসারণের ‘যথেষ্ট কারণ’ রয়েছে।

বিচারক জানান, ইউন সুক-ইওল সামরিক ও পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব দুর্বল করেছেন এবং জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি সংবিধান রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব অবহেলা করেছেন এবং কোরিয়ার জনগণের সঙ্গে গুরুতর বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আদালতের এই রায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।

এই রায়ের ফলে দক্ষিণ কোরিয়াকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।

গত বছর ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ সামরিক আইন জারি করে সবাইকে হতভম্ব করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। তিনি দাবি করেন, সরকারে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ও উত্তর কোরিয়াপন্থি’ শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। পরে জনগণ ও পার্লামেন্টের চাপে ছয় ঘণ্টা পর সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন তিনি। তবে এর মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ায় গভীর রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়।

পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিরোধী রাজনীতিবিদদের আটক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ইউন, যাতে পার্লামেন্ট সামরিক শাসন প্রত্যাহার করতে না পারে।

এই ঘটনার পর ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসিত করা হয়। এরপর তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

রায়ে বিচারক আরও বলেন, এ ধরনের বেআইনি ও অসাংবিধানিক কার্যকলাপ সংবিধানের আওতায় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংবিধান রক্ষার স্বার্থে একজন প্রেসিডেন্টের অপসারণ যতটা ক্ষতিকর হোক না কেন, সংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

back to top