দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্ত্রী কিম কিয়ন হিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী দুজনকেই কারাগারে পাঠানো হলো।
মঙ্গলবার সিউলের আদালতে চার ঘণ্টার শুনানিতে কিম কিয়ন হি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন—এমন আশঙ্কায় আদালত তাঁকে আটক রাখার নির্দেশ দেয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, ৫২ বছর বয়সী কিম কিয়ন হি বিএমডব্লিউর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ডয়েচ মোটরসের শেয়ারে কারসাজি করে প্রায় ৮০ কোটি ওন (প্রায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ডলার) অবৈধভাবে লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চ থেকে দুটি শ্যানেল ব্যাগ ও একটি হীরার নেকলেস ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন। ২০২২ সালের উপনির্বাচন ও গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। এসব ঘটনা ঘটেছে ইউন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই, তবে পুরো মেয়াদকালে এর প্রভাব ছিল বলেই দাবি কৌঁসুলিদের।
ইউন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিরোধীদের প্রস্তাবিত তিনটি বিশেষ তদন্ত সংক্রান্ত বিলে ভেটো দিয়েছিলেন, যেগুলোর লক্ষ্য ছিল কিম কিয়ন হির বিরুদ্ধে তদন্ত করা। সর্বশেষ বিলে তিনি ভেটো দেন গত বছরের নভেম্বরে, সামরিক আইন জারির এক সপ্তাহ আগে। ওই সামরিক আইন জারির ঘটনায় জনবিক্ষোভ শুরু হয় এবং তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং চলতি বছরের জুনে দায়িত্ব নেওয়ার পর কিম কিয়ন হির বিরুদ্ধে তদন্তে বিশেষ দল গঠন করেন। মঙ্গলবারের শুনানিতে তিনি কালো স্যুট ও স্কার্ট পরে আদালতে হাজির হন।
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্ত্রী কিম কিয়ন হিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী দুজনকেই কারাগারে পাঠানো হলো।
মঙ্গলবার সিউলের আদালতে চার ঘণ্টার শুনানিতে কিম কিয়ন হি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন—এমন আশঙ্কায় আদালত তাঁকে আটক রাখার নির্দেশ দেয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, ৫২ বছর বয়সী কিম কিয়ন হি বিএমডব্লিউর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ডয়েচ মোটরসের শেয়ারে কারসাজি করে প্রায় ৮০ কোটি ওন (প্রায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ডলার) অবৈধভাবে লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চ থেকে দুটি শ্যানেল ব্যাগ ও একটি হীরার নেকলেস ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন। ২০২২ সালের উপনির্বাচন ও গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। এসব ঘটনা ঘটেছে ইউন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই, তবে পুরো মেয়াদকালে এর প্রভাব ছিল বলেই দাবি কৌঁসুলিদের।
ইউন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিরোধীদের প্রস্তাবিত তিনটি বিশেষ তদন্ত সংক্রান্ত বিলে ভেটো দিয়েছিলেন, যেগুলোর লক্ষ্য ছিল কিম কিয়ন হির বিরুদ্ধে তদন্ত করা। সর্বশেষ বিলে তিনি ভেটো দেন গত বছরের নভেম্বরে, সামরিক আইন জারির এক সপ্তাহ আগে। ওই সামরিক আইন জারির ঘটনায় জনবিক্ষোভ শুরু হয় এবং তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং চলতি বছরের জুনে দায়িত্ব নেওয়ার পর কিম কিয়ন হির বিরুদ্ধে তদন্তে বিশেষ দল গঠন করেন। মঙ্গলবারের শুনানিতে তিনি কালো স্যুট ও স্কার্ট পরে আদালতে হাজির হন।