ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নানা ধরনের সিদ্ধান্ত আর আদেশে যে চমক দিতে শুরু করেছিলেন, তার সবশেষ উদাহরণ হয়ে এসেছে দেশটির সামরিক নেতৃত্বে বড় পরিবর্তনের খবর।
সিএনএন, রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান, বিমান বাহিনীর জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে সরিয়ে দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
শুধু তাই নয়, আরও পাঁচজন অ্যাডমিরাল এবং জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন তিনি।
ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট এক বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ব্রাউনের জায়গা ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান ‘রাজিন’ কেইনকে।
এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সাবেক পাইলট কেইন গত বছরের শেষ পর্যন্ত সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে সামরিক বিষয়ক সহযোগী পরিচালক ছিলেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা বিষয়ক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল পেন্টাগন জানিয়েছে, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনীর উপপ্রধান এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহনীর অ্যাডভোকেট জেনারেল পদেও রদবদল করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট।
এদের মধ্যে নৌবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব চালিয়ে আসা অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রানচেত্তি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর কোনো বিভাগের প্রথম নারী প্রধান।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে পেন্টাগনে এক ধরনের অস্থিতরতা তৈরি করেছে। যদিও প্রেসিডেন্টের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ পররাষ্ট্রনীতির আওয়তায় সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত বেসামরিক কর্মীদের ব্যাপকভাবে ছাঁটাই, প্রতিরক্ষা বাজেটে নাটকীয় পরিবর্তন এবং বিভিন্ন স্থানে সেনা অবস্থান বদলের ধারাবাহিকতায় এমন যে পরিবর্তন আসবে, তা অনেকটা অনুমেয়ই ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পেন্টাগনের বেসামরিক নেতৃত্বও সাধারণত বদলে যায়। তবে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর উর্দিধারী সদস্যদের সাধারণত রাজনৈতিক সংশ্লেষ থাকে না, ডেমোক্রেটিক কিংবা রিপাবলিকান- যখন যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা তাদের নীতিই অনুসরণ করেন।
প্রেসিডেন্টের সামরিক উপদেষ্টা পদে পোশাকধারী দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ কর্মকর্তা ছিলেন সদ্য বরখাস্ত হওয়া জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন। ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি তার নির্ধারিত চার বছরের মেয়াদ করেই বিদায় নেবেন।
তবে সেনেট ব্রাউনের উত্তরসূরি মনোনীত করার আগেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা।
কয়েকজন জেনারেল এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় যাদের কারণে সমস্যা হয়েছিল, তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার কথা গতবছর ভোটের প্রচারের সময়ই বলেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
অবশ্য শুক্রবার জেনারেল ব্রাউনকে সরানোর কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি ট্রাম্প; বরং ট্রুথ সোশালের বার্তায় ব্রাউনের প্রশংসাই করেছেন তিনি।
“জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যানের পদসহ ৪০ বছর ধরে দেশের সেবা করার জন্য আমি জেনারেল চার্লস ‘সিকিউ’ ব্রাউনকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি একজন সজ্জন মানুষ এবং অসাধারণ নেতা।আমি তার ও তার পরিবারের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি,” লিখেছেন ট্রাম্প।
তবে কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণেই ব্রাউন ওই পদ পেয়েছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
হেগসেথ গতবছর প্রকাশিত তার লেখা ‘দ্য ওয়ার অন ওয়রিয়র্ন: বিহাইন্ড দ্য বিট্রেয়াল অব দ্য মেন হু কিপ আস ফ্রি’ বইয়ে প্রশ্ন তোলেন, কৃষ্ণাঙ্গ না হলে ব্রাউন ওই পদ পেতেন কি না।
মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফাইটার পাইলট ব্রাউন ২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড ঘিরে দেশজুড়ে বিক্ষোভের পর একটি আবেগঘন ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করে সামরিক বাহিনীতে বর্ণবৈষম্য নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আলোচনায় এসেছিলেন।
ট্রাম্প যখন বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন তখনও জেনারেল ব্রাউন সরকারি সফরে মেক্সিকো সীমান্তে ছিলেন। ট্রাম্পের পোস্টের কয়েক ঘণ্টা আগেও সীমান্তে সেনাদের সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি ব্রাউনের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়।
ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান ঘিরেই সীমান্তে ওই সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
পোস্টে ব্রাউন লিখেছেন, “সীমান্ত নিরাপত্তা সবসময়ই আমাদের দেশের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেহেতু নিরাপত্তা নিয়ে অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি…এ সময়ে সীমান্তে সেনাদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু আমরা নিশ্চিত করব।”
অনুরোধ করা হলেও ব্রাউনের বরখাস্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তার মুখপাত্র। বরখাস্ত নারী নেতৃত্ব
সদ্য বরখাস্ত হওয়া অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রানচেত্তি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর প্রথম নারী প্রধান।
২০২৩ সালে সে সময়কার প্রেসিডেন্ট জো বাউডেন যখন তাকে নিয়োগ দেন তখন অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। কারণ সে সময় নৌবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব অ্যাডমিরাল স্যামুয়েল প্যাপারোকে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছিল।
প্যাপারো ওই সময় প্রশান্ত মহাসগরে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেলেন। পরে তাকে ইন্টো-প্যাসিফিক কমান্ডের নেতৃত্ব দেওয়া হয়।
এর আগে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই কোস্ট গার্ডের প্রথম নারী প্রধান অ্যাডমিরাল লিন্ডা ফ্যাগ্যানকে সরিয়ে দেন।
এছাড়া গত মাসে অবসরপ্রাপ্ত সেনারেল এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের সাবেক চেয়ারম্যান মার্ক মিলির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা ছাড়পত্র সুবিধা প্রত্যাহার করেন ট্রাম্প। এমনকি পেন্টাগনের দেয়াল থেকে মিলির ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও কিছুদিন চাকরিতে ছিলেন মার্ক মিলি। ২০২৩ সালে বাইডেনের শাসনামলে চার-তারকা জেনারেল হিসেবে অবসরে যান তিনি। এরপর থেকে ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক হয়ে ওঠা এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা হত্যার হুমকিও পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নানা ধরনের সিদ্ধান্ত আর আদেশে যে চমক দিতে শুরু করেছিলেন, তার সবশেষ উদাহরণ হয়ে এসেছে দেশটির সামরিক নেতৃত্বে বড় পরিবর্তনের খবর।
সিএনএন, রয়টার্সসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান, বিমান বাহিনীর জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে সরিয়ে দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
শুধু তাই নয়, আরও পাঁচজন অ্যাডমিরাল এবং জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন তিনি।
ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট এক বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ব্রাউনের জায়গা ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান ‘রাজিন’ কেইনকে।
এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সাবেক পাইলট কেইন গত বছরের শেষ পর্যন্ত সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে সামরিক বিষয়ক সহযোগী পরিচালক ছিলেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা বিষয়ক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল পেন্টাগন জানিয়েছে, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনীর উপপ্রধান এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহনীর অ্যাডভোকেট জেনারেল পদেও রদবদল করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট।
এদের মধ্যে নৌবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব চালিয়ে আসা অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রানচেত্তি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর কোনো বিভাগের প্রথম নারী প্রধান।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে পেন্টাগনে এক ধরনের অস্থিতরতা তৈরি করেছে। যদিও প্রেসিডেন্টের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ পররাষ্ট্রনীতির আওয়তায় সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত বেসামরিক কর্মীদের ব্যাপকভাবে ছাঁটাই, প্রতিরক্ষা বাজেটে নাটকীয় পরিবর্তন এবং বিভিন্ন স্থানে সেনা অবস্থান বদলের ধারাবাহিকতায় এমন যে পরিবর্তন আসবে, তা অনেকটা অনুমেয়ই ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পেন্টাগনের বেসামরিক নেতৃত্বও সাধারণত বদলে যায়। তবে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর উর্দিধারী সদস্যদের সাধারণত রাজনৈতিক সংশ্লেষ থাকে না, ডেমোক্রেটিক কিংবা রিপাবলিকান- যখন যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা তাদের নীতিই অনুসরণ করেন।
প্রেসিডেন্টের সামরিক উপদেষ্টা পদে পোশাকধারী দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ কর্মকর্তা ছিলেন সদ্য বরখাস্ত হওয়া জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন। ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি তার নির্ধারিত চার বছরের মেয়াদ করেই বিদায় নেবেন।
তবে সেনেট ব্রাউনের উত্তরসূরি মনোনীত করার আগেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা।
কয়েকজন জেনারেল এবং ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় যাদের কারণে সমস্যা হয়েছিল, তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার কথা গতবছর ভোটের প্রচারের সময়ই বলেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
অবশ্য শুক্রবার জেনারেল ব্রাউনকে সরানোর কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি ট্রাম্প; বরং ট্রুথ সোশালের বার্তায় ব্রাউনের প্রশংসাই করেছেন তিনি।
“জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যানের পদসহ ৪০ বছর ধরে দেশের সেবা করার জন্য আমি জেনারেল চার্লস ‘সিকিউ’ ব্রাউনকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি একজন সজ্জন মানুষ এবং অসাধারণ নেতা।আমি তার ও তার পরিবারের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি,” লিখেছেন ট্রাম্প।
তবে কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণেই ব্রাউন ওই পদ পেয়েছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
হেগসেথ গতবছর প্রকাশিত তার লেখা ‘দ্য ওয়ার অন ওয়রিয়র্ন: বিহাইন্ড দ্য বিট্রেয়াল অব দ্য মেন হু কিপ আস ফ্রি’ বইয়ে প্রশ্ন তোলেন, কৃষ্ণাঙ্গ না হলে ব্রাউন ওই পদ পেতেন কি না।
মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফাইটার পাইলট ব্রাউন ২০২০ সালে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড ঘিরে দেশজুড়ে বিক্ষোভের পর একটি আবেগঘন ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করে সামরিক বাহিনীতে বর্ণবৈষম্য নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আলোচনায় এসেছিলেন।
ট্রাম্প যখন বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন তখনও জেনারেল ব্রাউন সরকারি সফরে মেক্সিকো সীমান্তে ছিলেন। ট্রাম্পের পোস্টের কয়েক ঘণ্টা আগেও সীমান্তে সেনাদের সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি ব্রাউনের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা হয়।
ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান ঘিরেই সীমান্তে ওই সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
পোস্টে ব্রাউন লিখেছেন, “সীমান্ত নিরাপত্তা সবসময়ই আমাদের দেশের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেহেতু নিরাপত্তা নিয়ে অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি…এ সময়ে সীমান্তে সেনাদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু আমরা নিশ্চিত করব।”
অনুরোধ করা হলেও ব্রাউনের বরখাস্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তার মুখপাত্র। বরখাস্ত নারী নেতৃত্ব
সদ্য বরখাস্ত হওয়া অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রানচেত্তি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর প্রথম নারী প্রধান।
২০২৩ সালে সে সময়কার প্রেসিডেন্ট জো বাউডেন যখন তাকে নিয়োগ দেন তখন অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। কারণ সে সময় নৌবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব অ্যাডমিরাল স্যামুয়েল প্যাপারোকে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছিল।
প্যাপারো ওই সময় প্রশান্ত মহাসগরে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেলেন। পরে তাকে ইন্টো-প্যাসিফিক কমান্ডের নেতৃত্ব দেওয়া হয়।
এর আগে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই কোস্ট গার্ডের প্রথম নারী প্রধান অ্যাডমিরাল লিন্ডা ফ্যাগ্যানকে সরিয়ে দেন।
এছাড়া গত মাসে অবসরপ্রাপ্ত সেনারেল এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের সাবেক চেয়ারম্যান মার্ক মিলির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা ছাড়পত্র সুবিধা প্রত্যাহার করেন ট্রাম্প। এমনকি পেন্টাগনের দেয়াল থেকে মিলির ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও কিছুদিন চাকরিতে ছিলেন মার্ক মিলি। ২০২৩ সালে বাইডেনের শাসনামলে চার-তারকা জেনারেল হিসেবে অবসরে যান তিনি। এরপর থেকে ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক হয়ে ওঠা এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা হত্যার হুমকিও পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।