আজ ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে। অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার শোকাহত মানুষের পাশাপাশি বহু রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও রাজপরিবারের সদস্যরা ইতোমধ্যেই ভ্যাটিকানে পৌঁছেছেন। এত বিশাল পরিসরে বিশ্ব নেতাদের সমাগম শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে।
ইতোমধ্যে যেসব বিশ্বনেতা ও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন বা হওয়ার কথা রয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা ও ফার্স্ট লেডি, স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ ও রানি লেটিজিয়া, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই, ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র, ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইকুয়েডর ও ক্রোয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতারা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পোপের শেষকৃত্যে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই ভ্যাটিকানে পৌঁছেছেন।
সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার দিকে মুখ করে স্কোয়ারের ডান পাশে বসানো হচ্ছে অতিথিদের। আসন বিন্যাস করা হচ্ছে ফরাসি ভাষার বর্ণানুক্রম অনুযায়ী। সামনের সারিতে থাকবে আর্জেন্টিনা ও ইটালির শীর্ষ নেতারা।
ডাউনিং স্ট্রিট এক বিবৃতিতে জানায়, পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন "গরিব, নিপীড়িত ও উপেক্ষিতদের সাহসী কণ্ঠস্বর"। রাজা চার্লসের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন প্রিন্স উইলিয়াম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় জানান, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর। পোপের মৃত্যুর পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সাত দিনের শোক ঘোষণা করেন এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন। যদিও জীবদ্দশায় পোপ ও ট্রাম্পের মধ্যে একাধিকবার মতবিরোধ হয়েছিল—বিশেষত মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ ইস্যুতে।
ফিলিপিন্সের কার্ডিনাল লুইস অ্যান্টনিও টাগলের উপস্থিতি ঘিরেও আগ্রহ দেখা গেছে, যিনি পরবর্তী পোপ হওয়ার অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী বলে বিবেচিত।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত না হলেও ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
বিশ্বের বহু ধর্ম-বর্ণের মানুষ যাকে শান্তি ও মানবতার প্রতীক হিসেবে দেখতেন, সেই পোপ ফ্রান্সিসের শেষ বিদায়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণে গোটা বিশ্ব যেন এক হয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
আজ ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে। অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার শোকাহত মানুষের পাশাপাশি বহু রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও রাজপরিবারের সদস্যরা ইতোমধ্যেই ভ্যাটিকানে পৌঁছেছেন। এত বিশাল পরিসরে বিশ্ব নেতাদের সমাগম শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে।
ইতোমধ্যে যেসব বিশ্বনেতা ও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন বা হওয়ার কথা রয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা ও ফার্স্ট লেডি, স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ ও রানি লেটিজিয়া, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই, ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র, ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইকুয়েডর ও ক্রোয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতারা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পোপের শেষকৃত্যে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই ভ্যাটিকানে পৌঁছেছেন।
সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার দিকে মুখ করে স্কোয়ারের ডান পাশে বসানো হচ্ছে অতিথিদের। আসন বিন্যাস করা হচ্ছে ফরাসি ভাষার বর্ণানুক্রম অনুযায়ী। সামনের সারিতে থাকবে আর্জেন্টিনা ও ইটালির শীর্ষ নেতারা।
ডাউনিং স্ট্রিট এক বিবৃতিতে জানায়, পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন "গরিব, নিপীড়িত ও উপেক্ষিতদের সাহসী কণ্ঠস্বর"। রাজা চার্লসের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন প্রিন্স উইলিয়াম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় জানান, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর। পোপের মৃত্যুর পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সাত দিনের শোক ঘোষণা করেন এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন। যদিও জীবদ্দশায় পোপ ও ট্রাম্পের মধ্যে একাধিকবার মতবিরোধ হয়েছিল—বিশেষত মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ ইস্যুতে।
ফিলিপিন্সের কার্ডিনাল লুইস অ্যান্টনিও টাগলের উপস্থিতি ঘিরেও আগ্রহ দেখা গেছে, যিনি পরবর্তী পোপ হওয়ার অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী বলে বিবেচিত।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত না হলেও ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
বিশ্বের বহু ধর্ম-বর্ণের মানুষ যাকে শান্তি ও মানবতার প্রতীক হিসেবে দেখতেন, সেই পোপ ফ্রান্সিসের শেষ বিদায়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণে গোটা বিশ্ব যেন এক হয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।