ভারতের গুজরাট রাজ্যে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজনকে অন্য রাজ্য থেকে ধরা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—মোহাম্মদ ফায়েক, মোহাম্মদ ফরদিন, সেফুল্লাহ কুরেশি ও জিশান আলী। তারা সোশাল মিডিয়া ও সন্দেহজনক মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আল-কায়েদার মতাদর্শ প্রচার করছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এটিএসের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই চারজন এমন অ্যাপ ব্যবহার করতেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ মুছে ফেলে, যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে। চক্রটি জাল মুদ্রা তৈরির সঙ্গেও জড়িত ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তাদের চ্যাট রেকর্ড, সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং সংযোগ বিশ্লেষণ করছে গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে জানা গেছে, দিল্লির বাসিন্দা ফায়েক পাকিস্তানের এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং ভারতে জিহাদি কার্যক্রম ছড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতেন।
আহমেদাবাদের ফতেহওয়ারি এলাকায় এক অভিযানে একটি তলোয়ার ও আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা একিউআইএস-এর প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ওই পত্রে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিরুদ্ধে জিহাদের আহ্বান ছিল।
গুজরাট এটিএসের ডিআইজি সুনীল জোশী জানান, “এই চারজন তরুণদের শরিয়াভিত্তিক মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করে ভারতের গণতন্ত্র উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।”
তাদের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উসকানিমূলক বক্তব্য, শরিয়া প্রতিষ্ঠার আহ্বান এবং ২০১৯ সালে নিহত একিউআইএস নেতা আসিম উমরের ভিডিও পাওয়া গেছে।
ডিআইজি আরও বলেন, “তাদের কর্মকাণ্ড ভারতের সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসবাদকে উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে।”
এনডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, আল-কায়েদার উৎপত্তি ওসামা বিন লাদেনের গুরু শেখ আব্দুল্লাহ আজম প্রতিষ্ঠিত ‘মাখতাব আল-খিদমাত’ থেকে। আফগানিস্তানে জঙ্গিদের অর্থ সংগ্রহ ও সহায়তার লক্ষ্যে সংগঠনটি গড়ে ওঠে এবং পরে তা সারা বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
ভারতের গুজরাট রাজ্যে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজনকে অন্য রাজ্য থেকে ধরা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—মোহাম্মদ ফায়েক, মোহাম্মদ ফরদিন, সেফুল্লাহ কুরেশি ও জিশান আলী। তারা সোশাল মিডিয়া ও সন্দেহজনক মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আল-কায়েদার মতাদর্শ প্রচার করছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এটিএসের কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই চারজন এমন অ্যাপ ব্যবহার করতেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ মুছে ফেলে, যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে। চক্রটি জাল মুদ্রা তৈরির সঙ্গেও জড়িত ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তাদের চ্যাট রেকর্ড, সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং সংযোগ বিশ্লেষণ করছে গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে জানা গেছে, দিল্লির বাসিন্দা ফায়েক পাকিস্তানের এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং ভারতে জিহাদি কার্যক্রম ছড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতেন।
আহমেদাবাদের ফতেহওয়ারি এলাকায় এক অভিযানে একটি তলোয়ার ও আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা একিউআইএস-এর প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ওই পত্রে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিরুদ্ধে জিহাদের আহ্বান ছিল।
গুজরাট এটিএসের ডিআইজি সুনীল জোশী জানান, “এই চারজন তরুণদের শরিয়াভিত্তিক মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করে ভারতের গণতন্ত্র উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।”
তাদের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উসকানিমূলক বক্তব্য, শরিয়া প্রতিষ্ঠার আহ্বান এবং ২০১৯ সালে নিহত একিউআইএস নেতা আসিম উমরের ভিডিও পাওয়া গেছে।
ডিআইজি আরও বলেন, “তাদের কর্মকাণ্ড ভারতের সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসবাদকে উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে।”
এনডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, আল-কায়েদার উৎপত্তি ওসামা বিন লাদেনের গুরু শেখ আব্দুল্লাহ আজম প্রতিষ্ঠিত ‘মাখতাব আল-খিদমাত’ থেকে। আফগানিস্তানে জঙ্গিদের অর্থ সংগ্রহ ও সহায়তার লক্ষ্যে সংগঠনটি গড়ে ওঠে এবং পরে তা সারা বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত হয়ে পড়ে।