ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলোতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। শনিবার ভোরে শুরু হওয়া এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’, যা ইসলামাবাদের ভাষায় ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাব।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বরাতে জানানো হয়, ভারতের অমৃতসরের বিয়াস এলাকায় ‘ব্রহ্মস’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুতাগার, পাঞ্জাবের পাঠানকোট বিমানঘাঁটি এবং ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উধমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের আগ্রাসনের পর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। তবে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ভেদ করেছে, তা কোনো স্থায়ী ক্ষতি করতে পারেনি। ইসলামাবাদ দাবি করে, তারা কেবলমাত্র সেসব লক্ষ্যবস্তু বেছে নিয়েছে যেগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্বে ব্যবহৃত হয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিগগিরই গণমাধ্যমকে ব্রিফ করা হবে।
এদিকে শ্রীনগর ও জম্মুতে বিস্ফোরণের শব্দ ও সাইরেন বাজানোর খবর দিয়েছে রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হামলার সময় বেসামরিক স্থাপনা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ সংঘর্ষের পেছনে প্রেক্ষাপট হিসেবে রয়েছে কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি চালানো এক হামলা, যাতে ২৬ জন নিহত হন। ভারত পাকিস্তানকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের পরস্পর হামলায় এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। তবে এ সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি কোনো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলোতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। শনিবার ভোরে শুরু হওয়া এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’, যা ইসলামাবাদের ভাষায় ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাব।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বরাতে জানানো হয়, ভারতের অমৃতসরের বিয়াস এলাকায় ‘ব্রহ্মস’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুতাগার, পাঞ্জাবের পাঠানকোট বিমানঘাঁটি এবং ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উধমপুর বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের আগ্রাসনের পর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। তবে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ভেদ করেছে, তা কোনো স্থায়ী ক্ষতি করতে পারেনি। ইসলামাবাদ দাবি করে, তারা কেবলমাত্র সেসব লক্ষ্যবস্তু বেছে নিয়েছে যেগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্বে ব্যবহৃত হয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিগগিরই গণমাধ্যমকে ব্রিফ করা হবে।
এদিকে শ্রীনগর ও জম্মুতে বিস্ফোরণের শব্দ ও সাইরেন বাজানোর খবর দিয়েছে রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হামলার সময় বেসামরিক স্থাপনা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ সংঘর্ষের পেছনে প্রেক্ষাপট হিসেবে রয়েছে কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি চালানো এক হামলা, যাতে ২৬ জন নিহত হন। ভারত পাকিস্তানকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের পরস্পর হামলায় এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। তবে এ সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি কোনো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।