ইসরায়েল গত ২০ মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সামরিক অভিযান চালিয়ে অঞ্চলজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামলার মধ্য দিয়ে এই সংঘাত শুরু হয়। এরপর তা লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট –এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৩ জুন পর্যন্ত ইসরায়েল প্রায় ৩৫ হাজার হামলা চালিয়েছে।
এইসব হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজা ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য ভূখ-। গাজায় নথিভুক্ত হামলার সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার ২৩৫। গাজা এখন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৬ হাজার মানুষ এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজারের বেশি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযানকে ‘গণহত্যা’ বলেও অভিহিত করেছে।
ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা ফরেনসিক আর্কিটেকচারের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েল পশ্চিম তীরের জেনিন, নুর শামস ও তুলকারেম শরণার্থীশিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভবন ধ্বংস, সাঁজোয়া বুলডোজার মোতায়েন এবং বিমান হামলার মতো কৌশল ব্যবহার করেছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এসব অভিযানের ফলে অন্তত ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু হয়েছেন। গত ২০ মাসে অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা প্রায় ১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই শতাধিক শিশুও রয়েছে।
লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৩ হাজার ৬০০ হামলা হয়েছে, যার মধ্যে ১১ হাজার ২৩৮টি হামলাই করেছে ইসরায়েল। এসব হামলায় দক্ষিণ লেবাননের বহু গ্রাম এবং বৈরুতের কিছু অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির সামরিক স্থাপনাগুলোতে শত শত বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইয়েমেনেও হুতিদের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দর, বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র।
সর্বশেষ ইরানের অভ্যন্তরে ১৩ জুন চালানো বিস্ফোরক হামলায় দেশটির সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব দূরপাল্লার হামলা ইসরায়েলের আধুনিক যুদ্ধবিমান ও ড্রোন সক্ষমতার কারণে সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমানসহ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আঞ্চলিক সীমা অতিক্রম করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এইভাবে ইসরায়েল তার সীমান্ত ছাড়িয়ে ছয়টিরও বেশি অঞ্চলে হামলা চালিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে, যা আরও বৃহৎ যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
ইসরায়েল গত ২০ মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সামরিক অভিযান চালিয়ে অঞ্চলজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামলার মধ্য দিয়ে এই সংঘাত শুরু হয়। এরপর তা লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট –এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৩ জুন পর্যন্ত ইসরায়েল প্রায় ৩৫ হাজার হামলা চালিয়েছে।
এইসব হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজা ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য ভূখ-। গাজায় নথিভুক্ত হামলার সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার ২৩৫। গাজা এখন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৬ হাজার মানুষ এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজারের বেশি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযানকে ‘গণহত্যা’ বলেও অভিহিত করেছে।
ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা ফরেনসিক আর্কিটেকচারের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েল পশ্চিম তীরের জেনিন, নুর শামস ও তুলকারেম শরণার্থীশিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভবন ধ্বংস, সাঁজোয়া বুলডোজার মোতায়েন এবং বিমান হামলার মতো কৌশল ব্যবহার করেছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এসব অভিযানের ফলে অন্তত ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু হয়েছেন। গত ২০ মাসে অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী ও ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা প্রায় ১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই শতাধিক শিশুও রয়েছে।
লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৩ হাজার ৬০০ হামলা হয়েছে, যার মধ্যে ১১ হাজার ২৩৮টি হামলাই করেছে ইসরায়েল। এসব হামলায় দক্ষিণ লেবাননের বহু গ্রাম এবং বৈরুতের কিছু অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির সামরিক স্থাপনাগুলোতে শত শত বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইয়েমেনেও হুতিদের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দর, বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র।
সর্বশেষ ইরানের অভ্যন্তরে ১৩ জুন চালানো বিস্ফোরক হামলায় দেশটির সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব দূরপাল্লার হামলা ইসরায়েলের আধুনিক যুদ্ধবিমান ও ড্রোন সক্ষমতার কারণে সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমানসহ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আঞ্চলিক সীমা অতিক্রম করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এইভাবে ইসরায়েল তার সীমান্ত ছাড়িয়ে ছয়টিরও বেশি অঞ্চলে হামলা চালিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে, যা আরও বৃহৎ যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।