মায়ানমারে শুক্রবার রাতে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সামরিক কর্তৃপক্ষ। ভূমিকম্পে মায়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। থাইল্যান্ডে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পে মায়ানমারের মান্দালয় শহরে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শহরটির বাসিন্দারা আতঙ্কে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। ভূমিকম্পের পর মান্দালয়ে একাধিক মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শহরের অধিকাংশ এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে, যা উদ্ধার কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।
মায়ানমারের সামরিক নেতারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এক হাজার ৬৭০ জন আহত হয়েছেন এবং হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পর মায়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন। এরই মধ্যে চীনের ইউনান থেকে ৩৭ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল মায়ানমারে পৌঁছেছে। দলটি সঙ্গে এনেছে জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম, ভূমিকম্প সতর্কতা ব্যবস্থা, ড্রোন এবং স্যাটেলাইট।
ভারতও মায়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াও যেকোনো ধরনের সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে।
ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুটি বহুতল ভবনের নিচে আটকা পড়েছেন কয়েক ডজন শ্রমিক। মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় দুই হাজার ক্ষতিগ্রস্ত ভবন খতিয়ে দেখা হবে।
ভূমিকম্পের তীব্রতা মায়ানমারের পাশের চীনের ইউনান প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে। সেখানে অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন।
মায়ানমারের বৃহত্তম দুই শহর ইয়াংগন ও মান্দালয়ে এখনো বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা চালু হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল চার্জ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, ফলে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। বিদ্যুৎ না থাকায় উদ্ধার কাজে বেশ বিঘ্ন ঘটছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আন্তর্জাতিক সাহায্য আরও প্রয়োজন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
মায়ানমারে শুক্রবার রাতে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সামরিক কর্তৃপক্ষ। ভূমিকম্পে মায়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। থাইল্যান্ডে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পে মায়ানমারের মান্দালয় শহরে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শহরটির বাসিন্দারা আতঙ্কে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। ভূমিকম্পের পর মান্দালয়ে একাধিক মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শহরের অধিকাংশ এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে, যা উদ্ধার কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।
মায়ানমারের সামরিক নেতারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এক হাজার ৬৭০ জন আহত হয়েছেন এবং হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পর মায়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন। এরই মধ্যে চীনের ইউনান থেকে ৩৭ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল মায়ানমারে পৌঁছেছে। দলটি সঙ্গে এনেছে জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম, ভূমিকম্প সতর্কতা ব্যবস্থা, ড্রোন এবং স্যাটেলাইট।
ভারতও মায়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াও যেকোনো ধরনের সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে।
ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহরেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুটি বহুতল ভবনের নিচে আটকা পড়েছেন কয়েক ডজন শ্রমিক। মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় দুই হাজার ক্ষতিগ্রস্ত ভবন খতিয়ে দেখা হবে।
ভূমিকম্পের তীব্রতা মায়ানমারের পাশের চীনের ইউনান প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে। সেখানে অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন।
মায়ানমারের বৃহত্তম দুই শহর ইয়াংগন ও মান্দালয়ে এখনো বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা চালু হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল চার্জ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, ফলে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। বিদ্যুৎ না থাকায় উদ্ধার কাজে বেশ বিঘ্ন ঘটছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আন্তর্জাতিক সাহায্য আরও প্রয়োজন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।