ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজায় তাদের নতুন সামরিক অভিযান খুব বেশি সময় নেবে না বলে তিনি আশা করছেন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের তীব্র হামলার কারণে লাখো মানুষের দুর্ভোগ চলতে থাকায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নতুন আহ্বানের পর রোববার এই মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন দেয়। এই পরিকল্পনা ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। তবে নেতানিয়াহু বলেন, হামাসকে পরাজিত করা ও জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য অভিযান শেষ করা ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প নেই।
রোববার রাতের দিকে গাজা সিটিতে ইসরায়েলের তুমুল বিমান হামলার খবর দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সাবরা এলাকার একটি স্যান্ডউইচ দোকানে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন। শিফা হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের ব্যবহৃত একটি তাঁবুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। ওই এলাকায় ট্যাংক থেকেও গোলাবর্ষণ হয়।
হামাস-পরিচালিত গাজার গণমাধ্যম কার্যালয় দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরার পাঁচ কর্মী নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুই সাংবাদিক আনাস আল শরীফ ও মোহাম্মদ কুরেইকেহ এবং তিনজন আলোকচিত্রী ছিলেন। পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক টেলিগ্রাম পোস্টে জানায়, আনাস আল শরীফ আসলে হামাসের একটি সন্ত্রাসী সেলের প্রধান ছিলেন এবং সাংবাদিক পরিচয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে গোয়েন্দা তথ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে গত মাসে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টার আইরিন খান এ ধরনের দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
রোববার রাতে নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, গাজায় হামাসের অবশিষ্ট ঘাঁটিগুলো দখলের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর আগে একই দিনে তিনি বলেন, গাজায় নতুন অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের বাকি দুটি শক্ত ঘাঁটিকে মোকাবেলা করা। হামাস অস্ত্র নামিয়ে রাখতে রাজি না হওয়ায় তার হাতে আর কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হামাস জানিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না। এর আগে কয়েক দফা সামরিক অভিযানে ইসরায়েল গাজায় হামাসকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়েছে। এবার নতুন অভিযান কবে শুরু হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
নেতানিয়াহু বলেন, এই অভিযানের সময়সীমা দীর্ঘ হবে না। প্রথমে তারা নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তুলতে চান, যাতে গাজা সিটির বেসামরিক মানুষ অন্যত্র সরে যেতে পারেন। তবে ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ করেছেন, আগের মতো এবারও স্থানান্তরের পর তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।
এর আগে নেতানিয়াহু পুরো গাজা দখলের ইঙ্গিত দিলেও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান এর বিরোধিতা করেন। তার মতে, এমন পদক্ষেপে জিম্মিদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে এবং সেনারা প্রাণঘাতী গেরিলা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। নেতানিয়াহু অবশ্য পরিষ্কার করেছেন, গাজা পুরোপুরি দখল তাদের উদ্দেশ্য নয়, বরং সীমান্তের কাছে একটি নিরাপত্তা বেল্ট গড়ে তোলাই লক্ষ্য।
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজায় তাদের নতুন সামরিক অভিযান খুব বেশি সময় নেবে না বলে তিনি আশা করছেন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের তীব্র হামলার কারণে লাখো মানুষের দুর্ভোগ চলতে থাকায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নতুন আহ্বানের পর রোববার এই মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন দেয়। এই পরিকল্পনা ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। তবে নেতানিয়াহু বলেন, হামাসকে পরাজিত করা ও জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য অভিযান শেষ করা ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প নেই।
রোববার রাতের দিকে গাজা সিটিতে ইসরায়েলের তুমুল বিমান হামলার খবর দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সাবরা এলাকার একটি স্যান্ডউইচ দোকানে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন। শিফা হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের ব্যবহৃত একটি তাঁবুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। ওই এলাকায় ট্যাংক থেকেও গোলাবর্ষণ হয়।
হামাস-পরিচালিত গাজার গণমাধ্যম কার্যালয় দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরার পাঁচ কর্মী নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুই সাংবাদিক আনাস আল শরীফ ও মোহাম্মদ কুরেইকেহ এবং তিনজন আলোকচিত্রী ছিলেন। পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক টেলিগ্রাম পোস্টে জানায়, আনাস আল শরীফ আসলে হামাসের একটি সন্ত্রাসী সেলের প্রধান ছিলেন এবং সাংবাদিক পরিচয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে গোয়েন্দা তথ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে গত মাসে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টার আইরিন খান এ ধরনের দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
রোববার রাতে নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, গাজায় হামাসের অবশিষ্ট ঘাঁটিগুলো দখলের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর আগে একই দিনে তিনি বলেন, গাজায় নতুন অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের বাকি দুটি শক্ত ঘাঁটিকে মোকাবেলা করা। হামাস অস্ত্র নামিয়ে রাখতে রাজি না হওয়ায় তার হাতে আর কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হামাস জানিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না। এর আগে কয়েক দফা সামরিক অভিযানে ইসরায়েল গাজায় হামাসকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়েছে। এবার নতুন অভিযান কবে শুরু হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
নেতানিয়াহু বলেন, এই অভিযানের সময়সীমা দীর্ঘ হবে না। প্রথমে তারা নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তুলতে চান, যাতে গাজা সিটির বেসামরিক মানুষ অন্যত্র সরে যেতে পারেন। তবে ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ করেছেন, আগের মতো এবারও স্থানান্তরের পর তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।
এর আগে নেতানিয়াহু পুরো গাজা দখলের ইঙ্গিত দিলেও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান এর বিরোধিতা করেন। তার মতে, এমন পদক্ষেপে জিম্মিদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে এবং সেনারা প্রাণঘাতী গেরিলা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। নেতানিয়াহু অবশ্য পরিষ্কার করেছেন, গাজা পুরোপুরি দখল তাদের উদ্দেশ্য নয়, বরং সীমান্তের কাছে একটি নিরাপত্তা বেল্ট গড়ে তোলাই লক্ষ্য।