স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের সশস্ত্র প্রতিরোধের অধিকার ত্যাগ করবে না বলে জানিয়েছে হামাস। শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধান দাবিগুলোর একটি প্রত্যাখ্যান করেছে গাজা নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি এই সংগঠন।
গাজায় চলমান যুদ্ধ থামাতে এবং ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতি ও জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্প্রতি পরোক্ষ আলোচনা হলেও তা অচলাবস্থায় শেষ হয়। এ আলোচনা মধ্যস্থতায় ছিল কাতার ও মিশর।
রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স ও সৌদি আরবের সমর্থনে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় যাতে বলা হয়, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে এবং তা পশ্চিমা সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে।
তবে হামাস সাফ জানিয়ে দেয়, “জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, পুরোপুরি সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সশস্ত্র প্রতিরোধ ত্যাগ করা হবে না।”
২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করছে হামাস। চলমান যুদ্ধে সংগঠনটি বড় ধরনের সামরিক ক্ষতির মুখে পড়লেও নিজেদের অস্ত্র ত্যাগে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। বরং ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধ শেষের অন্যতম শর্ত হিসেবে হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেন, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হবে। তাই ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই রাখতে হবে বলে মত দেন তিনি।
এদিকে গাজার ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষিতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায়। নেতানিয়াহু এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করে বলেন, এটি হবে হামাসের কর্মকাণ্ডের ‘পুরস্কার’।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় প্রচণ্ড হামলা শুরু করে, যা এখনো চলমান।
প্রায় ২২ মাসের এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। ভূখণ্ডটি এখন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের সশস্ত্র প্রতিরোধের অধিকার ত্যাগ করবে না বলে জানিয়েছে হামাস। শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধান দাবিগুলোর একটি প্রত্যাখ্যান করেছে গাজা নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি এই সংগঠন।
গাজায় চলমান যুদ্ধ থামাতে এবং ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতি ও জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্প্রতি পরোক্ষ আলোচনা হলেও তা অচলাবস্থায় শেষ হয়। এ আলোচনা মধ্যস্থতায় ছিল কাতার ও মিশর।
রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স ও সৌদি আরবের সমর্থনে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় যাতে বলা হয়, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে এবং তা পশ্চিমা সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে।
তবে হামাস সাফ জানিয়ে দেয়, “জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, পুরোপুরি সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সশস্ত্র প্রতিরোধ ত্যাগ করা হবে না।”
২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করছে হামাস। চলমান যুদ্ধে সংগঠনটি বড় ধরনের সামরিক ক্ষতির মুখে পড়লেও নিজেদের অস্ত্র ত্যাগে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। বরং ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধ শেষের অন্যতম শর্ত হিসেবে হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেন, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হবে। তাই ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই রাখতে হবে বলে মত দেন তিনি।
এদিকে গাজার ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষিতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায়। নেতানিয়াহু এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করে বলেন, এটি হবে হামাসের কর্মকাণ্ডের ‘পুরস্কার’।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় প্রচণ্ড হামলা শুরু করে, যা এখনো চলমান।
প্রায় ২২ মাসের এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। ভূখণ্ডটি এখন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।