alt

আন্তর্জাতিক

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়বে না হামাস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের সশস্ত্র প্রতিরোধের অধিকার ত্যাগ করবে না বলে জানিয়েছে হামাস। শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধান দাবিগুলোর একটি প্রত্যাখ্যান করেছে গাজা নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি এই সংগঠন।

গাজায় চলমান যুদ্ধ থামাতে এবং ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতি ও জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্প্রতি পরোক্ষ আলোচনা হলেও তা অচলাবস্থায় শেষ হয়। এ আলোচনা মধ্যস্থতায় ছিল কাতার ও মিশর।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স ও সৌদি আরবের সমর্থনে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় যাতে বলা হয়, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে এবং তা পশ্চিমা সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে।

তবে হামাস সাফ জানিয়ে দেয়, “জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, পুরোপুরি সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সশস্ত্র প্রতিরোধ ত্যাগ করা হবে না।”

২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করছে হামাস। চলমান যুদ্ধে সংগঠনটি বড় ধরনের সামরিক ক্ষতির মুখে পড়লেও নিজেদের অস্ত্র ত্যাগে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। বরং ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধ শেষের অন্যতম শর্ত হিসেবে হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেন, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হবে। তাই ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই রাখতে হবে বলে মত দেন তিনি।

এদিকে গাজার ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষিতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায়। নেতানিয়াহু এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করে বলেন, এটি হবে হামাসের কর্মকাণ্ডের ‘পুরস্কার’।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় প্রচণ্ড হামলা শুরু করে, যা এখনো চলমান।

প্রায় ২২ মাসের এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। ভূখণ্ডটি এখন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া উত্তেজনা, বিশ্ব কোন ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে

ছবি

আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রথম কোনো ইসরায়েলি মন্ত্রীর প্রকাশ্যে প্রার্থনা

ছবি

‘সুয়েবা ০১’ পিএইচডি করছে

ছবি

সিডনি হারবার ব্রিজে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ, শামিল হলেন অ্যাসাঞ্জও

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হওয়া পর্যন্ত নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

ছবি

গাজায় ‘অত্যন্ত অপর্যাপ্ত’ সাহায্য ঢুকছে: জার্মানি

ছবি

পাকিস্তানে শেল বিস্ফোরণ ও ড্রোন হামলায় শিশুসহ নিহত ৬

ফের হামলা হলে ‘ভুতুড়ে শহরে’ পরিণত হবে তেল আবিব : ইরান

ছবি

শুল্কের অর্থে ঘাটতি সামলাতে পারবে কি যুক্তরাষ্ট্র

‘অস্তিত্ব সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : বাইডেন

ছবি

পাকিস্তানে তেলের বিশাল ভাণ্ডার কী আদৌ আছে?

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি

এক টুকরো খাবারের জন্য প্রাণ গেছে দেড় হাজার ফিলিস্তিনির

ছবি

হামলার হুমকিতে করাচির হোটেলগুলোতে মার্কিন কর্মকর্তাদের যাতায়াত সীমিত

ছবি

মেদভেদেভের হুঁশিয়ারিতে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, রাশিয়ার কাছে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ

ছবি

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

নির্বাচনকে সামনে রেখে মায়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন

ছবি

পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছে তুর্কমিনিস্তান

পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

বন্ধু থেকে প্রতিবেশী, কাউকেই ছাড় দেননি ট্রাম্প

পাকিস্তানে ইমরান খানের দলের শতাধিক নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন তীব্র ক্ষুধায় ঝুঁকিতে এক প্রজন্মের ‘স্বাস্থ্য ও সুস্থতা’

ছবি

শুল্কে রাজস্ব বাড়লেও পণ্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি, বৈরী বাণিজ্য ঘাটতিও

ছবি

কয়েক ডজন দেশের পণ্যে নতুন শুল্ক দিলো ট্রাম্প

জনগণের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

ছবি

মায়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরে নির্বাচন

ভারত-রাশিয়া তাদের অর্থনীতি ডোবাক, মাথা ঘামাই না : ট্রাম্প

ছবি

রাশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পেও সুনামির ধাক্কা প্রবল হলো না যে কারণে

ছবি

ভারতের ওপর শুল্ক, পাকিস্তানের সঙ্গে তেল চুক্তি ট্রাম্পের

ছবি

ইরানের পণ্য বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার

ছবি

ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জনের মৃত্যু, অপুষ্টিতেই ৭

গাজার দৃশ্য নাৎসি ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ : এরদোয়ান

ছবি

গাজায় হামলার নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে যেসব দেশ

ভারতের ওপর এবার ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

tab

আন্তর্জাতিক

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়বে না হামাস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের সশস্ত্র প্রতিরোধের অধিকার ত্যাগ করবে না বলে জানিয়েছে হামাস। শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধান দাবিগুলোর একটি প্রত্যাখ্যান করেছে গাজা নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি এই সংগঠন।

গাজায় চলমান যুদ্ধ থামাতে এবং ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতি ও জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্প্রতি পরোক্ষ আলোচনা হলেও তা অচলাবস্থায় শেষ হয়। এ আলোচনা মধ্যস্থতায় ছিল কাতার ও মিশর।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স ও সৌদি আরবের সমর্থনে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় যাতে বলা হয়, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে এবং তা পশ্চিমা সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে।

তবে হামাস সাফ জানিয়ে দেয়, “জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, পুরোপুরি সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সশস্ত্র প্রতিরোধ ত্যাগ করা হবে না।”

২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করছে হামাস। চলমান যুদ্ধে সংগঠনটি বড় ধরনের সামরিক ক্ষতির মুখে পড়লেও নিজেদের অস্ত্র ত্যাগে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। বরং ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধ শেষের অন্যতম শর্ত হিসেবে হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেন, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হবে। তাই ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই রাখতে হবে বলে মত দেন তিনি।

এদিকে গাজার ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষিতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায়। নেতানিয়াহু এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করে বলেন, এটি হবে হামাসের কর্মকাণ্ডের ‘পুরস্কার’।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় প্রচণ্ড হামলা শুরু করে, যা এখনো চলমান।

প্রায় ২২ মাসের এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। ভূখণ্ডটি এখন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

back to top