alt

আন্তর্জাতিক

ভূমি মালিকানা আইন সংশোধন নিয়ে ক্ষোভ কাশ্মীরে

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হওয়া জম্মু ও কাশ্মীরের ভূমি আইন সংশোধন করেছে ভারত। এই সংশোধনের ফলে দেশটির যে কোনো নাগরিক পৃথিবী ভূস্বর্গ বলে পরিচিত ওই অঞ্চলটিতে জমি কিনতে পারবে। এ পরিবর্তনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

মঙ্গলবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জারি করা এক নির্দেশনায় ভূমি আইনটির পরিবর্তনের কথা জানানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক বার্তা সংস্থা আজ জাজিরা। আইন সংশোধনের ফলে ওই অঞ্চলের বাসিন্দা নন এমন ভারতীয়রাও এখন সেখানে জমি কেনার সুযোগ পাবেন, জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভূমি আইনের এমন পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করেছে । ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ধীরে ধীরে কাশ্মীরি জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে তারা। তাদের মতে, এই সংশোধনী জম্মু ও কাশ্মীরকে বিক্রির জন্য নিলামে তুলবে।

কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ টুইটারে বলেছেন, নতুন এসব আইন জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য। ওমর বলেছেন, জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে চাইছে সরকার। কাশ্মীর হলো মুসলিম প্রধান। আইনের এ পরিবর্তনের মানে, অন্য ধর্মের মানুষ বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা। ইতিমধ্যেই অ-কৃষি জমি এবং কৃষি জমি হস্তান্তর সহজ করার সাথে সাথে আবাসনের দফারফা একরকম হয়েই গেছে। ছোট জমিতে চাষবাস করেন এমন দরিদ্র কৃষকেরা এই আইনের কারণে মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। কাশ্মীরে এতদিন ধরে জমি কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাকে অবশ্যই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এমন শর্ত ছিল। মঙ্গলবার জারি করা নির্দেশনায় ওই শর্ত বাদ দিতে বলা হয়েছে, এর ফলে কাশ্মীরের বাইরের ভারতীয়দেরও পশ্চিম হিমালয়ের ওই অঞ্চল থেকে জমি কেনার সুযোগ তৈরি হলো।

ক্ষমতাসীন বিজেপি বহুদিন ধরেই বলছে, কাশ্মীর যদি ভারতের অংশ হয়, তা হলে অন্য প্রদেশের মানুষেরা কেন সেখানে জমি কিনতে পারবে না, বাড়ি বানাতে পারবে না? কাশ্মীরের ভূমি মালিকানা নিয়ে নতুন পদক্ষেপগুলি স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাস্তুচ্যুত ও বঞ্চনার দিকে ঠেলে দেয়ার কৌশল বলে মনে করছেন কাশ্মীরের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক শেখ শওকত হুসেন আল জাজিরাকে বলেছেন, গত বছর ৩৭০ অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় এই ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হলো। নতুন এই আইন কাশ্মীরীদের নিরাপত্তাহীনতা আরো বাড়িয়েছে। এই আইন কার্যকর হলে স্থানীয়দের নিজ জমি থেকে উচ্ছেদের আশঙ্কা তৈরি হবে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, নতুন সংশোধনী শুধু জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য। লাদাখে তা চালু হবে না। লাদাখের জন্য যদি আইন সংশোধন না করা হয়, তা হলে বুঝতে হবে, শুধু জম্মু ও কাশ্মীরেই নতুন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ওমর, মেহবুবা মুফতির দলসহ বাম দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত বিরোধী জোটের অন্যান্য নেতারাও ভূমি সংক্রান্ত নতুন আইন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা অবশ্য অভয় দিয়ে বলেছেন, কিনতে চাইলেই কাউকে জমি দেওয়া হবে না। শিল্পের জন্য জমি দেওয়া হবে। সেটাও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করে। তবে আইনে যদি বলে জমি কেনা যাবে, তা হলে তা আটকানো হবে কী করে, সেই প্রশ্নও উঠছে।

গত বছর পর্যন্ত কাশ্মীর ভারতীয় সংবিধানে বিশেষ মর্যাদার অঞ্চল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই মর্যাদা বলে অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ স্থায়ী বাসিন্দা নির্ধারণ ও কারা কারা জম্মু-কাশ্মীরের জমি কিনতে পারবে সে সংক্রান্ত নিজস্ব আইন তৈরি করতে পারতো।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ আছে। দুটো দেশই সমগ্র কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে, উভয়েই অঞ্চলটির পৃথক পৃথক অংশ শাসনও করছে। ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে, তার দুটিই হয়েছে কাশ্মীরকে নিয়ে।

গত শতকের ৮০-র দশকের শেষদিক থেকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা ও সহিংসতাও ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। গত বছরের অগাস্টে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে। জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পর ওই অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়।

মোদী সরকার এর আগে বলেছিল, ভারতীয় অন্যান্য অঞ্চলের মতো অভিন্ন নিয়ম ও শাসনব্যবস্থা কাশ্মীরের সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে। গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার আগে অঞ্চলটির ৫ হাজার অধিবাসীকে আটক করা হয়েছিল।

ছবি

হামাসের শর্ত ‘অগ্রহণযোগ্য’ বললেও আলোচনা চালিয়ে যাবে ইসরায়েল

ছবি

৯ জুলাইয়ের পর কী হবে, পরিষ্কার নয়; শুল্ক বাড়ানোর হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে এলেন খামেনি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের

ছবি

টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩, নিখোঁজ ২৭ শিশু

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত, ত্রাণ কেন্দ্রের কাছেও হামলা

ছবি

তুরস্কের একদিনে তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানল

রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে হারতে দিতে পারি না : ইইউকে চীন

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিল হামাস

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি নয় ইরান : ট্রাম্প

ছবি

সিরিয়া কি ‘ইসরায়েলের’ সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে?

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে হামলা করল ইসরায়েল

ছবি

‘আগামী সপ্তাহেই’ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আশাবাদ ট্রাম্পের

ছবি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে সম্ভাবনা, যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত প্রস্তাবে সম্মতি হামাসের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে হড়কা বানে ২৪ জনের মৃত্যু

শিকাগোতে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৪

ছবি

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি

ছবি

চীনের হামলা মোকাবিলায় ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি তাইওয়ানের

গুপ্তচর সন্দেহ, হাজার হাজার আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই : ট্রাম্প

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালাতে ‘ক্ষুধা’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

ছবি

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’-এ কী আছে

ছবি

কংগ্রেসে উতরে গেল ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’

ছবি

তালেবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

ছবি

র‌্যাপারের অ্যালবাম রিলিজ অনুষ্ঠানে রক্তক্ষয়ী হামলা, পালালো হামলাকারীরা

ছবি

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ যে প্রভাব ফেলবে যুক্তরাষ্ট্রে

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ২ বছর পিছিয়ে গেছে : পেন্টাগন

ছবি

গাজা উপত্যকার ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে

মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিতে রুশ হামলা জোরদারের শঙ্কায় ইউক্রেন

গুপ্তচর সন্দেহে বিপুলসংখ্যক আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ, বহু দেশে ‘রেড অ্যালার্ট’

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দুই বছর পিছিয়ে গেছে: পেন্টাগন

ছবি

বালি উপকূলে ফেরি ডুবি, চারজনের মৃত্যু

ছবি

‘গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল’

তৃতীয় দফা ভোটেও জয়, জোহরান এখন নিউইয়র্ক সিটির আনুষ্ঠানিক মেয়র প্রার্থী

ছবি

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের বড় ঘোষণা

tab

আন্তর্জাতিক

ভূমি মালিকানা আইন সংশোধন নিয়ে ক্ষোভ কাশ্মীরে

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হওয়া জম্মু ও কাশ্মীরের ভূমি আইন সংশোধন করেছে ভারত। এই সংশোধনের ফলে দেশটির যে কোনো নাগরিক পৃথিবী ভূস্বর্গ বলে পরিচিত ওই অঞ্চলটিতে জমি কিনতে পারবে। এ পরিবর্তনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

মঙ্গলবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জারি করা এক নির্দেশনায় ভূমি আইনটির পরিবর্তনের কথা জানানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক বার্তা সংস্থা আজ জাজিরা। আইন সংশোধনের ফলে ওই অঞ্চলের বাসিন্দা নন এমন ভারতীয়রাও এখন সেখানে জমি কেনার সুযোগ পাবেন, জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভূমি আইনের এমন পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করেছে । ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ধীরে ধীরে কাশ্মীরি জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছে তারা। তাদের মতে, এই সংশোধনী জম্মু ও কাশ্মীরকে বিক্রির জন্য নিলামে তুলবে।

কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ টুইটারে বলেছেন, নতুন এসব আইন জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য। ওমর বলেছেন, জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে চাইছে সরকার। কাশ্মীর হলো মুসলিম প্রধান। আইনের এ পরিবর্তনের মানে, অন্য ধর্মের মানুষ বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা। ইতিমধ্যেই অ-কৃষি জমি এবং কৃষি জমি হস্তান্তর সহজ করার সাথে সাথে আবাসনের দফারফা একরকম হয়েই গেছে। ছোট জমিতে চাষবাস করেন এমন দরিদ্র কৃষকেরা এই আইনের কারণে মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। কাশ্মীরে এতদিন ধরে জমি কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাকে অবশ্যই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এমন শর্ত ছিল। মঙ্গলবার জারি করা নির্দেশনায় ওই শর্ত বাদ দিতে বলা হয়েছে, এর ফলে কাশ্মীরের বাইরের ভারতীয়দেরও পশ্চিম হিমালয়ের ওই অঞ্চল থেকে জমি কেনার সুযোগ তৈরি হলো।

ক্ষমতাসীন বিজেপি বহুদিন ধরেই বলছে, কাশ্মীর যদি ভারতের অংশ হয়, তা হলে অন্য প্রদেশের মানুষেরা কেন সেখানে জমি কিনতে পারবে না, বাড়ি বানাতে পারবে না? কাশ্মীরের ভূমি মালিকানা নিয়ে নতুন পদক্ষেপগুলি স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাস্তুচ্যুত ও বঞ্চনার দিকে ঠেলে দেয়ার কৌশল বলে মনে করছেন কাশ্মীরের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক শেখ শওকত হুসেন আল জাজিরাকে বলেছেন, গত বছর ৩৭০ অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় এই ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হলো। নতুন এই আইন কাশ্মীরীদের নিরাপত্তাহীনতা আরো বাড়িয়েছে। এই আইন কার্যকর হলে স্থানীয়দের নিজ জমি থেকে উচ্ছেদের আশঙ্কা তৈরি হবে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, নতুন সংশোধনী শুধু জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য। লাদাখে তা চালু হবে না। লাদাখের জন্য যদি আইন সংশোধন না করা হয়, তা হলে বুঝতে হবে, শুধু জম্মু ও কাশ্মীরেই নতুন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ওমর, মেহবুবা মুফতির দলসহ বাম দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত বিরোধী জোটের অন্যান্য নেতারাও ভূমি সংক্রান্ত নতুন আইন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা অবশ্য অভয় দিয়ে বলেছেন, কিনতে চাইলেই কাউকে জমি দেওয়া হবে না। শিল্পের জন্য জমি দেওয়া হবে। সেটাও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করে। তবে আইনে যদি বলে জমি কেনা যাবে, তা হলে তা আটকানো হবে কী করে, সেই প্রশ্নও উঠছে।

গত বছর পর্যন্ত কাশ্মীর ভারতীয় সংবিধানে বিশেষ মর্যাদার অঞ্চল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই মর্যাদা বলে অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ স্থায়ী বাসিন্দা নির্ধারণ ও কারা কারা জম্মু-কাশ্মীরের জমি কিনতে পারবে সে সংক্রান্ত নিজস্ব আইন তৈরি করতে পারতো।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ আছে। দুটো দেশই সমগ্র কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে, উভয়েই অঞ্চলটির পৃথক পৃথক অংশ শাসনও করছে। ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে, তার দুটিই হয়েছে কাশ্মীরকে নিয়ে।

গত শতকের ৮০-র দশকের শেষদিক থেকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা ও সহিংসতাও ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। গত বছরের অগাস্টে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে। জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পর ওই অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়।

মোদী সরকার এর আগে বলেছিল, ভারতীয় অন্যান্য অঞ্চলের মতো অভিন্ন নিয়ম ও শাসনব্যবস্থা কাশ্মীরের সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে। গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার আগে অঞ্চলটির ৫ হাজার অধিবাসীকে আটক করা হয়েছিল।

back to top