করোনা সংক্রমণের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’-এর জের ধরে ইউরোপে আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। জার্মানি ও ফ্রান্স ইতিমধ্যেই নতুন করে লকডাউনে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রীষ্মের বিদায়ের পর বদ্ধ জায়গায় মানুষের সমাবেশের কারণে সংক্রমণের হার আরো বাড়বে এমন আশঙ্কা করছেন ইউরোপভুক্ত দেশগুলোর নীতিনির্ধারকরা।
শুক্রবার থেকেই লকডাউন চালু হচ্ছে ফ্রান্সে। বলা হচ্ছে ঘরের বাইরে বেরোতেও পুলিশি অনুমতির প্রয়োজন হবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার ব্যাপারে ছাড়পত্র পাওয়া যাবে। কাজের ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই জোর দেওয়া হবে। ফ্রান্সে প্রতিদিন প্রায় ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখো কারফিউ জারি করেন। তিনি বলেন, “আমাদের অন্যান্য প্রতিবেশীর মতো আমাদের দেশেও নতুন করে ভাইরাসের ঢেউ আছড়ে পড়ছে। তাই আমরা চাইছি আবার নতুন করে লকডাউন জারি করতে।“
ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় জার্মানিতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের হার কম হলেও সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশগুলোতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। আগামী ২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আংশিকভাবে লকডাউন জারি থাকবে জার্মানি জুড়ে। বন্ধ থাকবে সমস্ত পানশালা ও রেস্তোরাঁ। বন্ধ থাকবে সিনেমা হল,থিয়েটার, কনসার্ট, খেলার মাঠ,বানিজ্য প্রদর্শনীতে। তবে স্কুল ও কিন্ডারগার্ডেন খোলা থাকবে।
এ বিষয়ে জার্মানির চান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল জানান, “করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আসন্ন শীতে সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে চলা খুব জরুরী। এই বৈশ্বিক মহামারী থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন নই ফলে সতর্ক থাকাটা নিজের জন্য যেমন জরুরী তেমনি পরিবার, কর্মক্ষেত্রসহ গোটা দেশের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য আবশ্যক।“
ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতেও করোনা ভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ মোকাবেলায় কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশটির আঞ্চলিক পদ্ধতিতে নেয়া ভাইরাস মোকাবেলার প্রস্তুতি থেকে আরো কঠোরতর বিধিনিষেধ গ্রহন করার জন্য সরকারকে চাপে রেখেছেন নীতিনির্ধারকরা।
ইউরোপে করোনা সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ের কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত ইতালিতে ইতিমধ্যেই এক মাসের জন্য নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকল ধরনের সামাজিক আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সকল পানশালা, খাবারের দোকান শর্তসাপেক্ষে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ২৫ শে অক্টোবর থেকে স্পেন সারা দেশজুড়ে সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কারফিউ ঘোষণা করে। এই ঘোষনায় ১১ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত সকলকে নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চেক প্রজাতন্ত্রে বুধবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণের হিসাবে গত ১৪ দিনে লাখে ১৪৪৮ জন নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় চেক প্রজাতন্ত্রে নতুন সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। নতুন সংক্রমণের দিক থেকে এর পরের অবস্থানে রয়েছে বেলজিয়াম। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী এই পরিস্থিতিকে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মানছেন।
আয়ারল্যান্ড করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এই মাসেই ছয় সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ইউরোপে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’কে যথেষ্ট আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে বলেন, “স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রেক্ষিতে আমরা গভীর সঙ্কটের মুখে আছি। এবারের ক্রিসমাস উদযাপন অন্য যেকোন বছরের তুলনায় কঠিন হবে।“
এদিকে পশ্চিমা অর্থনীতির প্রধান দুই দেশে লকডাউন ও অন্যান্য দেশে কঠোর বিধিনিষেধের খবর আসতেই শেয়ার বাজারে দর পতন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০
করোনা সংক্রমণের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’-এর জের ধরে ইউরোপে আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। জার্মানি ও ফ্রান্স ইতিমধ্যেই নতুন করে লকডাউনে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রীষ্মের বিদায়ের পর বদ্ধ জায়গায় মানুষের সমাবেশের কারণে সংক্রমণের হার আরো বাড়বে এমন আশঙ্কা করছেন ইউরোপভুক্ত দেশগুলোর নীতিনির্ধারকরা।
শুক্রবার থেকেই লকডাউন চালু হচ্ছে ফ্রান্সে। বলা হচ্ছে ঘরের বাইরে বেরোতেও পুলিশি অনুমতির প্রয়োজন হবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার ব্যাপারে ছাড়পত্র পাওয়া যাবে। কাজের ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই জোর দেওয়া হবে। ফ্রান্সে প্রতিদিন প্রায় ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখো কারফিউ জারি করেন। তিনি বলেন, “আমাদের অন্যান্য প্রতিবেশীর মতো আমাদের দেশেও নতুন করে ভাইরাসের ঢেউ আছড়ে পড়ছে। তাই আমরা চাইছি আবার নতুন করে লকডাউন জারি করতে।“
ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় জার্মানিতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের হার কম হলেও সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশগুলোতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। আগামী ২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আংশিকভাবে লকডাউন জারি থাকবে জার্মানি জুড়ে। বন্ধ থাকবে সমস্ত পানশালা ও রেস্তোরাঁ। বন্ধ থাকবে সিনেমা হল,থিয়েটার, কনসার্ট, খেলার মাঠ,বানিজ্য প্রদর্শনীতে। তবে স্কুল ও কিন্ডারগার্ডেন খোলা থাকবে।
এ বিষয়ে জার্মানির চান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল জানান, “করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আসন্ন শীতে সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে চলা খুব জরুরী। এই বৈশ্বিক মহামারী থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন নই ফলে সতর্ক থাকাটা নিজের জন্য যেমন জরুরী তেমনি পরিবার, কর্মক্ষেত্রসহ গোটা দেশের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য আবশ্যক।“
ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতেও করোনা ভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ মোকাবেলায় কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশটির আঞ্চলিক পদ্ধতিতে নেয়া ভাইরাস মোকাবেলার প্রস্তুতি থেকে আরো কঠোরতর বিধিনিষেধ গ্রহন করার জন্য সরকারকে চাপে রেখেছেন নীতিনির্ধারকরা।
ইউরোপে করোনা সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ের কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত ইতালিতে ইতিমধ্যেই এক মাসের জন্য নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকল ধরনের সামাজিক আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সকল পানশালা, খাবারের দোকান শর্তসাপেক্ষে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ২৫ শে অক্টোবর থেকে স্পেন সারা দেশজুড়ে সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কারফিউ ঘোষণা করে। এই ঘোষনায় ১১ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত সকলকে নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চেক প্রজাতন্ত্রে বুধবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণের হিসাবে গত ১৪ দিনে লাখে ১৪৪৮ জন নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় চেক প্রজাতন্ত্রে নতুন সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। নতুন সংক্রমণের দিক থেকে এর পরের অবস্থানে রয়েছে বেলজিয়াম। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী এই পরিস্থিতিকে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মানছেন।
আয়ারল্যান্ড করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এই মাসেই ছয় সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ইউরোপে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’কে যথেষ্ট আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে বলেন, “স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রেক্ষিতে আমরা গভীর সঙ্কটের মুখে আছি। এবারের ক্রিসমাস উদযাপন অন্য যেকোন বছরের তুলনায় কঠিন হবে।“
এদিকে পশ্চিমা অর্থনীতির প্রধান দুই দেশে লকডাউন ও অন্যান্য দেশে কঠোর বিধিনিষেধের খবর আসতেই শেয়ার বাজারে দর পতন শুরু হয়েছে।