যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচনের শেষ চেষ্টায়ও ব্যর্থ হলেন বরিস। গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আগাম নির্বাচন চেয়ে তার আনা দ্বিতীয় প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ছয় বারের মতো হারের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস। এদিন কনজারভেটিভ দলের বিদ্রোহী ও বিরোধী লেবার পার্টির এমপিদের আনা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট আটকে দেয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ফলে ওই বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থায় ৫ সপ্তাহের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত হয়ে গেছে। বিবিসি।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের ওপর সোমবার দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা বিতর্কের পর ১৫ মিনিটের ভোটে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়। যুক্তরাজ্যে অক্টোবরের ১৫ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে সোমবার ভোট পড়ে ২৯৩টি, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য কাক্সিক্ষত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের চেয়ে অনেক কম। প্রস্তাবের বিপক্ষে পড়েছে ৪৬ ভোট। আর বাকিরা ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে বিরোধীদলীয় এমপিরা নিশ্চিত করে দিলেন তারা এ নির্বাচন চান না। চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট আটকে দেয়ার বিরুদ্ধে যে আইনে রানী অনুমোদন দিয়েছেন, বিরোধীরা চাইছেন সেই আইন অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী এর বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ব্রাসেলসের সঙ্গে কোন চুক্তি হোক বা না হোক, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল যুক্তরাজ্যের ওপর। তবে সোমবার নতুন প্রস্তাব রানীর অনুমোদন পাওয়ার পর সেই আইনে পরিবর্তন এসেছে। যদি কোনও চুক্তি করা সম্ভব না হয় অথবা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের দিকে অগ্রসর হয় সরকার, তাহলে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্বিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করতে পারেন এমপিরা। বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলছেন, যদিও ১০ ডাউনিং স্ট্রিট বলছে তারা নতুন আইন লঙ্ঘন করবে না, তবু এ আইনের ফাঁকফোকর অথবা এর বিভিন্ন দিক যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি বরিস জনসন। নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দেন তিনি। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনসন সরকারের ব্রেক্সিটনীতির বিরোধীরা পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলেন। এই প্রস্তাবে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষায় চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্রেক্সিট আরও পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই প্রস্তাব পাস হলে হেরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর বরিস জনসন আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচনের শেষ চেষ্টায়ও ব্যর্থ হলেন বরিস। গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আগাম নির্বাচন চেয়ে তার আনা দ্বিতীয় প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ছয় বারের মতো হারের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস। এদিন কনজারভেটিভ দলের বিদ্রোহী ও বিরোধী লেবার পার্টির এমপিদের আনা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট আটকে দেয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ফলে ওই বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থায় ৫ সপ্তাহের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত হয়ে গেছে। বিবিসি।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের ওপর সোমবার দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা বিতর্কের পর ১৫ মিনিটের ভোটে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়। যুক্তরাজ্যে অক্টোবরের ১৫ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে সোমবার ভোট পড়ে ২৯৩টি, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য কাক্সিক্ষত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের চেয়ে অনেক কম। প্রস্তাবের বিপক্ষে পড়েছে ৪৬ ভোট। আর বাকিরা ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন। এর মধ্য দিয়ে বিরোধীদলীয় এমপিরা নিশ্চিত করে দিলেন তারা এ নির্বাচন চান না। চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট আটকে দেয়ার বিরুদ্ধে যে আইনে রানী অনুমোদন দিয়েছেন, বিরোধীরা চাইছেন সেই আইন অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী এর বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ব্রাসেলসের সঙ্গে কোন চুক্তি হোক বা না হোক, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল যুক্তরাজ্যের ওপর। তবে সোমবার নতুন প্রস্তাব রানীর অনুমোদন পাওয়ার পর সেই আইনে পরিবর্তন এসেছে। যদি কোনও চুক্তি করা সম্ভব না হয় অথবা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের দিকে অগ্রসর হয় সরকার, তাহলে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্বিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করতে পারেন এমপিরা। বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলছেন, যদিও ১০ ডাউনিং স্ট্রিট বলছে তারা নতুন আইন লঙ্ঘন করবে না, তবু এ আইনের ফাঁকফোকর অথবা এর বিভিন্ন দিক যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি বরিস জনসন। নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দেন তিনি। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনসন সরকারের ব্রেক্সিটনীতির বিরোধীরা পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলেন। এই প্রস্তাবে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষায় চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্রেক্সিট আরও পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই প্রস্তাব পাস হলে হেরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর বরিস জনসন আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনলেও তা খারিজ হয়ে যায়।