যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের আশ্রয় চাওয়ার সক্ষমতা ব্যাপক হারে হ্রাসে করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিবাসন নীতির সমর্থনে রায় দিয়েছে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। এ রায় অনুযায়ী, তৃতীয় কোন দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালে অভিবাসীদের আগে ওই দেশে আশ্রয় চাইতে হবে। এটি নিয়ম পুরো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য হবে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের কথা বলে আসছেন ট্রাম্প। চলতি বছর জুলাইয়ে তার প্রস্তাবিত নীতি আদালতে আটকে যাওয়ার পর সুপ্রিমকোর্টের এ রায়কে ট্রাম্পের বিজয় হিসেবে দেখছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো। এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প নিজেও একে ‘যুক্তরাষ্ট্রের বড় জয়’ বলে অভিহিত করেছেন। এ নীতির আইনি প্রক্রিয়া এখনও শেষ না হলেও এখন থেকেই তা কার্যকর করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় বস্তুত দক্ষিণ সীমান্তের প্রায় সব আশ্রয়প্রার্থীর আবেদনই নাকচ করে দেবে। এর আগেও অভিবাসী প্রত্যাশীদের প্রতি অমানবিক আচরণের জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। অশালীন ভাষায় অভিবাসী প্রত্যাশীদের আক্রমণ করেছেন তিনি। মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে চাওয়া মানুষদের তিনি কখনো ‘পশু’, ‘ঠা-া মাথার অপরাধী’, ‘খারাপ মানুষ’ ইত্যাদি আখ্যা দিয়েছিলেন।
মধ্য আমেরিকার অভিবাসীরা উত্তর দিকে যাত্রা করে, হেঁটে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সহিংসতা এবং দারিদ্র্যের কারণে দেশ ছাড়ে। নতুন এ মার্কিন সুপ্রিমকোর্টের নতুন রায় কার্যকর হলে, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া এবং এল সালভাদরের অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় চাইতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের আগে প্রতিবেশী কোন দেশ বা মেক্সিকোতে আশ্রয় চাইতে হবে। তবে এ রায়ে আমেরিকা অঞ্চলের বাইরের অভিবাসন প্রত্যাশীদের ওপরও প্রভাব ফেলবে। মার্কিন সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এ রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছে, তারা বলছে, আশ্রয় পাওয়ার যোগ্যদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমিয়ে দেবে এ নিষেধাজ্ঞা। এক পিটিশনে সংস্থাটি জনায়, চলতি নিষেধাজ্ঞার কারণে, দক্ষিণ সীমান্ত এবং প্রবেশ বন্দরে থাকা আশ্রয় প্রার্থীরা এমনকি শুধু মেক্সিকান ছাড়া আর কেউই আশ্রয় চাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।’ তবে, তৃতীয় কোন দেশে আশ্রয় চাওয়ার পর তা নাকচ হলে কিংবা মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিরা এখনো আশ্রয় চেয়ে আবেদন করতে পারবে।
অভিবাসীরা যেভাবেই পৌঁছান না কেন সবার আশ্রয়ের আবেদন বিবেচনা করার দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতিকে বদলে দেবে এই নিষেধাজ্ঞা। গত কয়েক মাসে ব্যাপক হারে বেড়েছে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ। জলে ভেসে আসা এল সালভেদরের এক অভিবাসী ও তার মেয়ের পানিতে ভেসে আসা নিথর মরদেহের ছবি ভাবিয়ে তোলে সবাইকে। সবার চোখের সামনে যেন ভেসে ওঠে সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির নিথর দেহ। আর এ মৃত্যুর মিছিলের জন্য ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকেই দায়ী করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের আশ্রয় চাওয়ার সক্ষমতা ব্যাপক হারে হ্রাসে করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিবাসন নীতির সমর্থনে রায় দিয়েছে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। এ রায় অনুযায়ী, তৃতীয় কোন দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালে অভিবাসীদের আগে ওই দেশে আশ্রয় চাইতে হবে। এটি নিয়ম পুরো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য হবে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের কথা বলে আসছেন ট্রাম্প। চলতি বছর জুলাইয়ে তার প্রস্তাবিত নীতি আদালতে আটকে যাওয়ার পর সুপ্রিমকোর্টের এ রায়কে ট্রাম্পের বিজয় হিসেবে দেখছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো। এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প নিজেও একে ‘যুক্তরাষ্ট্রের বড় জয়’ বলে অভিহিত করেছেন। এ নীতির আইনি প্রক্রিয়া এখনও শেষ না হলেও এখন থেকেই তা কার্যকর করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় বস্তুত দক্ষিণ সীমান্তের প্রায় সব আশ্রয়প্রার্থীর আবেদনই নাকচ করে দেবে। এর আগেও অভিবাসী প্রত্যাশীদের প্রতি অমানবিক আচরণের জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। অশালীন ভাষায় অভিবাসী প্রত্যাশীদের আক্রমণ করেছেন তিনি। মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে চাওয়া মানুষদের তিনি কখনো ‘পশু’, ‘ঠা-া মাথার অপরাধী’, ‘খারাপ মানুষ’ ইত্যাদি আখ্যা দিয়েছিলেন।
মধ্য আমেরিকার অভিবাসীরা উত্তর দিকে যাত্রা করে, হেঁটে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সহিংসতা এবং দারিদ্র্যের কারণে দেশ ছাড়ে। নতুন এ মার্কিন সুপ্রিমকোর্টের নতুন রায় কার্যকর হলে, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া এবং এল সালভাদরের অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় চাইতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের আগে প্রতিবেশী কোন দেশ বা মেক্সিকোতে আশ্রয় চাইতে হবে। তবে এ রায়ে আমেরিকা অঞ্চলের বাইরের অভিবাসন প্রত্যাশীদের ওপরও প্রভাব ফেলবে। মার্কিন সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এ রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছে, তারা বলছে, আশ্রয় পাওয়ার যোগ্যদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমিয়ে দেবে এ নিষেধাজ্ঞা। এক পিটিশনে সংস্থাটি জনায়, চলতি নিষেধাজ্ঞার কারণে, দক্ষিণ সীমান্ত এবং প্রবেশ বন্দরে থাকা আশ্রয় প্রার্থীরা এমনকি শুধু মেক্সিকান ছাড়া আর কেউই আশ্রয় চাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।’ তবে, তৃতীয় কোন দেশে আশ্রয় চাওয়ার পর তা নাকচ হলে কিংবা মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিরা এখনো আশ্রয় চেয়ে আবেদন করতে পারবে।
অভিবাসীরা যেভাবেই পৌঁছান না কেন সবার আশ্রয়ের আবেদন বিবেচনা করার দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতিকে বদলে দেবে এই নিষেধাজ্ঞা। গত কয়েক মাসে ব্যাপক হারে বেড়েছে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ। জলে ভেসে আসা এল সালভেদরের এক অভিবাসী ও তার মেয়ের পানিতে ভেসে আসা নিথর মরদেহের ছবি ভাবিয়ে তোলে সবাইকে। সবার চোখের সামনে যেন ভেসে ওঠে সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির নিথর দেহ। আর এ মৃত্যুর মিছিলের জন্য ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকেই দায়ী করা হচ্ছে।