রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিপাকে ফেলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন, তা অভিশংসনযোগ্য কর্মকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন তিন মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞ। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান অভিশংসন তদন্তের শুনানিতে আসা প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির ওই তিন আইন বিশেষজ্ঞ ৪ ডিসেম্বর বুধবার এমন মন্তব্য করেন। রয়টার্স।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ অভিশংসন তদন্তের মূল লক্ষ্য ছিল, আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে যে অনুরোধ করেছিলেন- তাতে কোন আইনের লংঘন হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ড ‘ভয়াবহ অপরাধ ও অপকর্মের’ মাত্রা অতিক্রম করে সংবিধান অনুযায়ী অভিশংসনযোগ্য হয়েছে কি না, বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ শুনানিতে কংগ্রেসের বিচার বিভাগ তা-ই পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবে। এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপনের প্রস্তুতিতে বুধবার প্রথম এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেনেটেটিভস) বিরোধী দলীয় ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতারা এদিন বলেছেন, কেবল ইউক্রেন বিষয়েই নয়, অভিশংসনের অভিযোগ খুঁজতে তারা ট্রাম্পের আরও অনেক কিছুই খতিয়ে দেখবেন।
গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার আঁতাত অনুসন্ধানের দায়িত্ব পাওয়া মার্কিন বিচার বিভাগের সাবেক বিশেষ কৌসুল (স্পেশাল কাউন্সেল) রবার্ট মুলারকে বাধা দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন ধরনের চেষ্টা করেছিলেন কি না- তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান জেরল্ড ন্যাদলার বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে তা সাংবিধানিক ব্যবস্থার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।’ প্রথম দিনের দীর্ঘ শুনানিতে ডেমোক্র্যাটদের বেছে নেয়া তিন আইনের অধ্যাপক সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড অভিশংসনযোগ্য অপরাধ বলেই মনে করছেন তারা। এদিনের শুনানিতে নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক মাইকেল গেরহার্ড বলেছেন, ‘যা নিয়ে আমরা কথা বলছি, তা যদি অভিশংসনযোগ্য না হয়, তাহলে কিছুই অভিশংসনযোগ্য হতে পারে না।’ ডেমোক্র্যাটদের বেছে নেয়া বাকি দুই অধ্যাপকের কণ্ঠেও ছিল একই সুর।
এদিনের শুনানিতে রিপাবলিকানদের মাত্র একজন বিশেষজ্ঞকে বেছে নেয়ার সুযোগ ছিল। তাদের ডাকা জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জনাথন টার্লে বলেছেন, অভিযোগগুলোর বিপরীতে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে অকাট্য প্রমাণ দেখছেন না তিনি। ট্রাম্পকে অভিশংসনে তদন্ত প্রয়োজনের চেয়েও দ্রুতগতিতে এগিয়েছে এবং এখানে অভিযোগের ঘটনাগুলোর সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তবর্গের সাক্ষ্যের ঘাটতি রয়েছে।
টার্লে আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি ও কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা যে কেউই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে যে, অভিশংসনের এ চলমান আইনি লড়াই মোটেও যথোপযুক্ত মানের নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি বিপজ্জনক, কেননা এখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিশংসন নিয়ে কথা হচ্ছে।’ এ সময় আগের নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দেননি বলেও জানান রিপাবলিকানদের বেছে নেয়া এ আইনের অধ্যাপক।
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিপাকে ফেলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন, তা অভিশংসনযোগ্য কর্মকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন তিন মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞ। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান অভিশংসন তদন্তের শুনানিতে আসা প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির ওই তিন আইন বিশেষজ্ঞ ৪ ডিসেম্বর বুধবার এমন মন্তব্য করেন। রয়টার্স।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ অভিশংসন তদন্তের মূল লক্ষ্য ছিল, আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে যে অনুরোধ করেছিলেন- তাতে কোন আইনের লংঘন হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ড ‘ভয়াবহ অপরাধ ও অপকর্মের’ মাত্রা অতিক্রম করে সংবিধান অনুযায়ী অভিশংসনযোগ্য হয়েছে কি না, বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ শুনানিতে কংগ্রেসের বিচার বিভাগ তা-ই পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবে। এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপনের প্রস্তুতিতে বুধবার প্রথম এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেনেটেটিভস) বিরোধী দলীয় ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতারা এদিন বলেছেন, কেবল ইউক্রেন বিষয়েই নয়, অভিশংসনের অভিযোগ খুঁজতে তারা ট্রাম্পের আরও অনেক কিছুই খতিয়ে দেখবেন।
গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার আঁতাত অনুসন্ধানের দায়িত্ব পাওয়া মার্কিন বিচার বিভাগের সাবেক বিশেষ কৌসুল (স্পেশাল কাউন্সেল) রবার্ট মুলারকে বাধা দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন ধরনের চেষ্টা করেছিলেন কি না- তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান জেরল্ড ন্যাদলার বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে তা সাংবিধানিক ব্যবস্থার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।’ প্রথম দিনের দীর্ঘ শুনানিতে ডেমোক্র্যাটদের বেছে নেয়া তিন আইনের অধ্যাপক সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড অভিশংসনযোগ্য অপরাধ বলেই মনে করছেন তারা। এদিনের শুনানিতে নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক মাইকেল গেরহার্ড বলেছেন, ‘যা নিয়ে আমরা কথা বলছি, তা যদি অভিশংসনযোগ্য না হয়, তাহলে কিছুই অভিশংসনযোগ্য হতে পারে না।’ ডেমোক্র্যাটদের বেছে নেয়া বাকি দুই অধ্যাপকের কণ্ঠেও ছিল একই সুর।
এদিনের শুনানিতে রিপাবলিকানদের মাত্র একজন বিশেষজ্ঞকে বেছে নেয়ার সুযোগ ছিল। তাদের ডাকা জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জনাথন টার্লে বলেছেন, অভিযোগগুলোর বিপরীতে প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে অকাট্য প্রমাণ দেখছেন না তিনি। ট্রাম্পকে অভিশংসনে তদন্ত প্রয়োজনের চেয়েও দ্রুতগতিতে এগিয়েছে এবং এখানে অভিযোগের ঘটনাগুলোর সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তবর্গের সাক্ষ্যের ঘাটতি রয়েছে।
টার্লে আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি ও কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা যে কেউই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে যে, অভিশংসনের এ চলমান আইনি লড়াই মোটেও যথোপযুক্ত মানের নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি বিপজ্জনক, কেননা এখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিশংসন নিয়ে কথা হচ্ছে।’ এ সময় আগের নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দেননি বলেও জানান রিপাবলিকানদের বেছে নেয়া এ আইনের অধ্যাপক।