alt

আন্তর্জাতিক

মমতাকে গৃহবন্দি করার দাবি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : রোববার, ১১ এপ্রিল ২০২১

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে পাঁচজন নিহত হন। তাদের মধ্যে চারজন নিহত হয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চাপিয়ে তাকে গৃহবৃন্দি করার দাবি তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তার দাবি, ‘(মমতা) বুঝতে পেরেছেন হেরে যাবেন, তাই মানুষকে উত্তেজিত করতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের দায় পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি মানুষকে সেন্ট্রাল ফোর্সকে ঘেরাও করতে, ইভিএম আটকানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।’

দিলীপ ঘোষের ভাষায়, ‘সমাজ বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট করতো। মমতা তাদের উত্তেজিত করেছেন। তারা সেন্ট্রাল ফোর্সের ওপর হামলা করেছে। পরে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমার মনে হয়, মমতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হওয়া উচিত। প্রচার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা দরকার।’

তবে রাজ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়া এই ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন মমতা। পাশাপাশি এর তদন্তভার তুলে দিয়েছেন সিআইডি’র হাতে।

মমতার দাবি, ‘আজকের ঘটনার জন্য দায়ী অমিত শাহ। উনিই ষড়যন্ত্রকারী। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়ী করব না। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলে। নির্বাচন কমিশনের কথায় চললেও ওরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কোচবিহারের শীতলকুচি আসনের জোড়পাটকি ভোটকেন্দ্রের ১২৬ নং বুথের বাইরে শনিবার গুলিবর্ষণ করে ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় চারজন। নিহতরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। এ ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে চায় নির্বাচন কমিশন।

তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি’র হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মমতার শিবির।

স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।’সূত্র: জি নিউজ।

ছবি

ইউক্রেনকে আরও ৬২ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা ব্রিটেনের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে কে প্রশ্ন বাইডেনের

ছবি

ফের হামলা হলে ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে : ইরান

ছবি

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

ছবি

বন্যার পর এবার আরব আমিরাতে ঘন কুয়াশার প্রকোপ

ছবি

গাজায় গণকবরে শত শত লাশ, আতঙ্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকারপ্রধান

ছবি

জলবায়ু বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া

ছবি

মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেইন, ইসরায়েল সহায়তা বিল পাস

ছবি

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের ভেতর গভীরতম হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

রুয়ান্ডা বিল পাস: কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইংলিশ চ্যানেলে ডুবে নিহত ৫

ছবি

পাকিস্তানকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি

ছবি

মালয়েশিয়ায় সামরিক মহড়ার সময় ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১০

ছবি

দফায় দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো তাইওয়ান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

পাকিস্তান সফরে ইরানি প্রেসিডেন্ট

ছবি

ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল তাইওয়ান

ছবি

ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

ছবি

সরিয়ে নেওয়া হলো হাজার হাজার মানুষকে

ছবি

ফের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া

ছবি

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মইজ্জুর দলের বড় জয়

ছবি

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবেন নেতানিয়াহু

ছবি

রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১০, বেশিরভাগই শিশু

ছবি

সোমালি দস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ায় ইইউর উদ্বেগ, হুঁশিয়ারি

ছবি

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত অন্তত ৫৮

ছবি

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত

ছবি

মায়ানমার-থাই সীমান্তে আবারও বিদ্রোহীদের হামলা

ছবি

ইরাকে ইরানপন্থি মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটিতে বোমা হামলা

ছবি

মুখোমুখি ইরান-ইসরায়েল, পরীক্ষার মুখে মার্কিন সামরিক কৌশল

ছবি

কাতার ছাড়তে চায় হামাস!

ছবি

বিমান হামলায় ৮ জন নিহতের পর রাশিয়ার বোম্বার নামানোর দাবি কিইভের

আদালতের ভেতরে ট্রাম্প, বাইরে নিজ দেহে আগুন দিলেন যুবক

ছবি

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

ছবি

হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান

ছবি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি : আইএইএ

tab

আন্তর্জাতিক

মমতাকে গৃহবন্দি করার দাবি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

রোববার, ১১ এপ্রিল ২০২১

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে পাঁচজন নিহত হন। তাদের মধ্যে চারজন নিহত হয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চাপিয়ে তাকে গৃহবৃন্দি করার দাবি তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তার দাবি, ‘(মমতা) বুঝতে পেরেছেন হেরে যাবেন, তাই মানুষকে উত্তেজিত করতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের দায় পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি মানুষকে সেন্ট্রাল ফোর্সকে ঘেরাও করতে, ইভিএম আটকানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।’

দিলীপ ঘোষের ভাষায়, ‘সমাজ বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট করতো। মমতা তাদের উত্তেজিত করেছেন। তারা সেন্ট্রাল ফোর্সের ওপর হামলা করেছে। পরে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমার মনে হয়, মমতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হওয়া উচিত। প্রচার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা দরকার।’

তবে রাজ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়া এই ঘটনায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন মমতা। পাশাপাশি এর তদন্তভার তুলে দিয়েছেন সিআইডি’র হাতে।

মমতার দাবি, ‘আজকের ঘটনার জন্য দায়ী অমিত শাহ। উনিই ষড়যন্ত্রকারী। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়ী করব না। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলে। নির্বাচন কমিশনের কথায় চললেও ওরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কোচবিহারের শীতলকুচি আসনের জোড়পাটকি ভোটকেন্দ্রের ১২৬ নং বুথের বাইরে শনিবার গুলিবর্ষণ করে ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় চারজন। নিহতরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। এ ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে চায় নির্বাচন কমিশন।

তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি’র হয়ে কাজ করছে। রাতভর মদ-মাংস খেয়ে সকালে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাদের নির্বিচারে গুলি চালানোর অধিকার কে দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মমতার শিবির।

স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।’সূত্র: জি নিউজ।

back to top