কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আসাম ও মেঘালয় সফরের চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে-না-কাটতেই আসামের কাছাড় জেলার লায়লাপুর সীমান্তে মিজো পুলিশের গুলিতে নিহত হলেন আসাম পুলিশের পাঁচজন জওয়ান। আহত হয়েছেন কাছাড় জেলার পুলিশ অধিক্ষক নিম্বালকর ভইভব চন্দ্রকান্ত আইপিএস, ধলাই থানার ওসি সাহাবুদ্দিনসহ অসংখ্য পুলিশ কর্মী ও বেসামরিক লোক। নিহতরা হলেন, নজমুল হক, সামসুজ্জামান লস্কর, মজমুল হক বড়ভুইয়া, লিটন শুক্লবৈদ্য ও স্বপন রায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে শিলচর থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরের লায়লাপুরে।
দীর্ঘ দিন ধরে আসামের জমি জবর দখল করে স্থানীয় অধিবাসীদের উৎখাত করে যাচ্ছিল মিজো দুষ্কৃতিরা। তাদের সঙ্গ দেয় মিজোরামের পুলিশও। কিছু দিন পরপর কাছাড় জেলার লায়লাপুরসহ হাইলাকান্দি জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিলাইপুর, গল্লাছড়া, কচুরতল, ঘুটঘুটি, ধলছড়া প্রভৃতি এলাকায় মিজো পুলিশদের সহযোগিতায় অগ্নিসংযোগসহ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে আসছিল মিজো দুষ্কৃতিরা।
রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট জনগণের পক্ষ থেকে বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও সরকার-ই কার্যকরী কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে নেডা’র বৈঠকে ২০২৪ সালেও কীভাবে ক্ষমতা দখল করা যায়, তার রূপরেখা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, সিকিমসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যে এখন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা উক্ত আটটি রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত নর্থ-ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স সংক্ষেপে নেডা-এর আহ্বায়ক। দীর্ঘ দিন ধরে মিজোরাম ও মেঘালয় আসামের জমি জবর দখল করলেও আসাম সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার নেডার স্বার্থে কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে অনীহা দেখাচ্ছে।
বারোটি সংগঠনের সমন্বয়ে ২০১৬ সালের ২৪ মে নেডা গঠন করা হয়েছিল এনডিএ-কে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করার লক্ষ্যে। ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে উৎখাত করা-ই উক্ত নেডার অন্যতম প্রধান লক্ষ!
লায়লাপুর কাছাড় জেলার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ধলাই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিধায়ক পরিমল শুক্লবৈদ্য বর্তমানে রাজ্য সরকারের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী।
নিহত পুলিশ জওয়ানদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালসহ অনেকে।
মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আসাম ও মেঘালয় সফরের চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে-না-কাটতেই আসামের কাছাড় জেলার লায়লাপুর সীমান্তে মিজো পুলিশের গুলিতে নিহত হলেন আসাম পুলিশের পাঁচজন জওয়ান। আহত হয়েছেন কাছাড় জেলার পুলিশ অধিক্ষক নিম্বালকর ভইভব চন্দ্রকান্ত আইপিএস, ধলাই থানার ওসি সাহাবুদ্দিনসহ অসংখ্য পুলিশ কর্মী ও বেসামরিক লোক। নিহতরা হলেন, নজমুল হক, সামসুজ্জামান লস্কর, মজমুল হক বড়ভুইয়া, লিটন শুক্লবৈদ্য ও স্বপন রায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে শিলচর থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরের লায়লাপুরে।
দীর্ঘ দিন ধরে আসামের জমি জবর দখল করে স্থানীয় অধিবাসীদের উৎখাত করে যাচ্ছিল মিজো দুষ্কৃতিরা। তাদের সঙ্গ দেয় মিজোরামের পুলিশও। কিছু দিন পরপর কাছাড় জেলার লায়লাপুরসহ হাইলাকান্দি জেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিলাইপুর, গল্লাছড়া, কচুরতল, ঘুটঘুটি, ধলছড়া প্রভৃতি এলাকায় মিজো পুলিশদের সহযোগিতায় অগ্নিসংযোগসহ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে আসছিল মিজো দুষ্কৃতিরা।
রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট জনগণের পক্ষ থেকে বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও সরকার-ই কার্যকরী কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে নেডা’র বৈঠকে ২০২৪ সালেও কীভাবে ক্ষমতা দখল করা যায়, তার রূপরেখা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, সিকিমসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যে এখন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা উক্ত আটটি রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত নর্থ-ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স সংক্ষেপে নেডা-এর আহ্বায়ক। দীর্ঘ দিন ধরে মিজোরাম ও মেঘালয় আসামের জমি জবর দখল করলেও আসাম সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার নেডার স্বার্থে কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে অনীহা দেখাচ্ছে।
বারোটি সংগঠনের সমন্বয়ে ২০১৬ সালের ২৪ মে নেডা গঠন করা হয়েছিল এনডিএ-কে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করার লক্ষ্যে। ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে উৎখাত করা-ই উক্ত নেডার অন্যতম প্রধান লক্ষ!
লায়লাপুর কাছাড় জেলার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ধলাই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিধায়ক পরিমল শুক্লবৈদ্য বর্তমানে রাজ্য সরকারের একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী।
নিহত পুলিশ জওয়ানদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালসহ অনেকে।