অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে লকডাউন কার্যকর করতে অবশেষে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নামানো হচ্ছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনীর কয়েক শ’ সদস্য সিডনিতে পৌঁছেছেন। সেখানে তাদের দুই দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারপর সোমবার থেকে সেনা সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যুগপৎভাবে লকডাউন কার্যকরে টহলসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে, তবে দেশটির ৬ রাজ্যের মধ্যে বর্তমানে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে নিউ সাউথ ওয়েলসে।
রাজ্যের রাজধানী সিডনির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বৃহস্পতিবার সিডনিতে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৩৯ জন, যা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটির কোনো শহরে এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। শুক্রবার এখন দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৭০ জন।
সিডনি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর। দেশটির মোট জনসংখ্যা আড়াই কোটি এবং তার এক পঞ্চমাংশেরই বসবাস নিউজ সাউথ ওয়েলসের এই রাজধানী শহরে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে চলতি বছর শহরটিতে দুই হাজার ৮০০র বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১৮২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এখনও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে আছে ৫৪ জন, যাদের মধ্যে ২২ জনকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে।
দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত জুন মাসে ৫ সপ্তাহের লকডাউন আরোপ করেছিল সিডনির রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু তাতে কাঙ্খিত উন্নতি না হওয়ায়, সম্প্রতি আরও চার সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৮ আগস্ট লকডাউন শিথিল হবে সিডনিতে।
ফলে, টানা ৯ সপ্তাহের লকডাউনে পড়েছে সিডনি। বর্তমানে লকডাউনের ৬ষ্ঠ সপ্তাহ পার করছে শহরটির বাসিন্দারা।
কিন্তু তারপরও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না দৈনিক সংক্রমণ। নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিডনির দক্ষিণপশ্চিম ও পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাসমূহে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতোমধ্যে এ বিষয়ক আটটি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করেছে নিউ সাউথ ওয়েলেসের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
সিডনি রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব ‘হটস্পট’ এলাকাসমূহের ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে এখন থেকে লকডাউন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত চার দেয়ালের বাইরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে, থাকতে হবে বাড়ির ৫ কিলোমিটারের মধ্যে।
সম্প্রতি সিডনিতে বসবাসকারীদের লকডাউন বিরোধী মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত কয়েকদিনে শহরটিতে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল, ভাঙচুর এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
তাই জনগণ যেন লকডাউন ও সরকারের যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলে তা তদারক করতে সামরিক সদস্যদের সহযোগিতা চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার বরাবর আবেদন করেছিল নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ বিভাগ।
সে আবেদনে সাড়া দিয়েই শুক্রবার নিউ সাউথ ওয়েলসে কয়েক শ’ সেনা সদস্য পাঠাল অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড এলিয়ট বিবিসিকে বলেন, ‘এতদিন সিডনির বাসিন্দাদের একটি ক্ষুদ্র অংশ ভাবছিল, তাদের সরকারি নির্দেশ না মানার স্বাধীনতা আছে। আমার বিশ্বাস, এবার শহরটিতে লকডাউন সম্পূর্ণ কার্যকর হবে।’
সূত্র : বিবিসি
শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে লকডাউন কার্যকর করতে অবশেষে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নামানো হচ্ছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনীর কয়েক শ’ সদস্য সিডনিতে পৌঁছেছেন। সেখানে তাদের দুই দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারপর সোমবার থেকে সেনা সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যুগপৎভাবে লকডাউন কার্যকরে টহলসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে, তবে দেশটির ৬ রাজ্যের মধ্যে বর্তমানে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে নিউ সাউথ ওয়েলসে।
রাজ্যের রাজধানী সিডনির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বৃহস্পতিবার সিডনিতে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৩৯ জন, যা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটির কোনো শহরে এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। শুক্রবার এখন দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৭০ জন।
সিডনি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর। দেশটির মোট জনসংখ্যা আড়াই কোটি এবং তার এক পঞ্চমাংশেরই বসবাস নিউজ সাউথ ওয়েলসের এই রাজধানী শহরে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে চলতি বছর শহরটিতে দুই হাজার ৮০০র বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১৮২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এখনও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে আছে ৫৪ জন, যাদের মধ্যে ২২ জনকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে।
দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত জুন মাসে ৫ সপ্তাহের লকডাউন আরোপ করেছিল সিডনির রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু তাতে কাঙ্খিত উন্নতি না হওয়ায়, সম্প্রতি আরও চার সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৮ আগস্ট লকডাউন শিথিল হবে সিডনিতে।
ফলে, টানা ৯ সপ্তাহের লকডাউনে পড়েছে সিডনি। বর্তমানে লকডাউনের ৬ষ্ঠ সপ্তাহ পার করছে শহরটির বাসিন্দারা।
কিন্তু তারপরও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না দৈনিক সংক্রমণ। নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিডনির দক্ষিণপশ্চিম ও পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাসমূহে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতোমধ্যে এ বিষয়ক আটটি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করেছে নিউ সাউথ ওয়েলেসের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
সিডনি রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব ‘হটস্পট’ এলাকাসমূহের ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে এখন থেকে লকডাউন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত চার দেয়ালের বাইরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে, থাকতে হবে বাড়ির ৫ কিলোমিটারের মধ্যে।
সম্প্রতি সিডনিতে বসবাসকারীদের লকডাউন বিরোধী মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত কয়েকদিনে শহরটিতে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল, ভাঙচুর এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
তাই জনগণ যেন লকডাউন ও সরকারের যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলে তা তদারক করতে সামরিক সদস্যদের সহযোগিতা চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার বরাবর আবেদন করেছিল নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ বিভাগ।
সে আবেদনে সাড়া দিয়েই শুক্রবার নিউ সাউথ ওয়েলসে কয়েক শ’ সেনা সদস্য পাঠাল অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড এলিয়ট বিবিসিকে বলেন, ‘এতদিন সিডনির বাসিন্দাদের একটি ক্ষুদ্র অংশ ভাবছিল, তাদের সরকারি নির্দেশ না মানার স্বাধীনতা আছে। আমার বিশ্বাস, এবার শহরটিতে লকডাউন সম্পূর্ণ কার্যকর হবে।’
সূত্র : বিবিসি