আফগানিস্তানে তালেবানের গঠন করা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সঙ্গে ফ্রান্স কোনো ধরনের সম্পর্কে জড়াবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভ লা দ্রিয়াঁ। তালেবান মিথ্যাচার করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স ফাইভ টিভিকে এসব কথা বলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর রয়টার্সের।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের আগেই আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিক ও হুমকির মুখে থাকা আফগানদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলো। গতমাসের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে তিন হাজারের মতো মানুষকে সরিয়ে নেয় ফ্রান্স। এরপরও সেখানে রয়ে গেছেন বেশ কয়েকজন ফরাসি নাগরিক ও সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্সকে সহায়তাকারী আফগানরা।
আফগানিস্তানে আটকে পড়া লোকজনকে কীভাবে নিরাপদে আশ্রয়ে নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে কাতারে যাচ্ছেন জ্যঁ ইভ লা দ্রিয়াঁ। এর আগে এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে ওই আলাপচারিতায় তিনি বলেন, তালেবান বলেছিল, তারা কিছু বিদেশি ও কিছু আফগান নাগরিককে স্বাধীনভাবে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে দেবে। এ ছাড়া তারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল; তবে তারা মিথ্যাচার করছে।
জ্যঁ ইভ লা দ্রিয়াঁ আরও বলেন, ‘তালেবানের এই নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না ফ্রান্স। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্কেও জড়াবে না তারা। আমরা তালেবানের কাছ থেকে কাজের বাস্তবায়ন চাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তালেবানের সম্পর্ক গড়া প্রয়োজন। এমনটি তারা করতে পারবে কি না, এটা তাদের কাজের ওপরই নির্ভর করছে।’
আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের দুই সপ্তাহের বেশি সময় পর এসে গত মঙ্গলবার অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। প্রথম থেকেই অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও সদ্য ঘোষিত সরকার গঠন করা হয়েছে বিতর্কিত ও সন্ত্রাসবাদের তালিকায় থাকা অনেক ব্যক্তিকে নিয়ে। সরকারে স্থান পাননি কোনো নারী। এমনকি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে আফগানিস্তানের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোকেও, যা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো এখনো তালেবানের নতুন সরকারকে সমর্থন জানায়নি।
রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
আফগানিস্তানে তালেবানের গঠন করা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সঙ্গে ফ্রান্স কোনো ধরনের সম্পর্কে জড়াবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভ লা দ্রিয়াঁ। তালেবান মিথ্যাচার করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স ফাইভ টিভিকে এসব কথা বলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর রয়টার্সের।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের আগেই আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিক ও হুমকির মুখে থাকা আফগানদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলো। গতমাসের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে তিন হাজারের মতো মানুষকে সরিয়ে নেয় ফ্রান্স। এরপরও সেখানে রয়ে গেছেন বেশ কয়েকজন ফরাসি নাগরিক ও সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্সকে সহায়তাকারী আফগানরা।
আফগানিস্তানে আটকে পড়া লোকজনকে কীভাবে নিরাপদে আশ্রয়ে নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে কাতারে যাচ্ছেন জ্যঁ ইভ লা দ্রিয়াঁ। এর আগে এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে ওই আলাপচারিতায় তিনি বলেন, তালেবান বলেছিল, তারা কিছু বিদেশি ও কিছু আফগান নাগরিককে স্বাধীনভাবে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে দেবে। এ ছাড়া তারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল; তবে তারা মিথ্যাচার করছে।
জ্যঁ ইভ লা দ্রিয়াঁ আরও বলেন, ‘তালেবানের এই নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না ফ্রান্স। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্কেও জড়াবে না তারা। আমরা তালেবানের কাছ থেকে কাজের বাস্তবায়ন চাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তালেবানের সম্পর্ক গড়া প্রয়োজন। এমনটি তারা করতে পারবে কি না, এটা তাদের কাজের ওপরই নির্ভর করছে।’
আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের দুই সপ্তাহের বেশি সময় পর এসে গত মঙ্গলবার অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। প্রথম থেকেই অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও সদ্য ঘোষিত সরকার গঠন করা হয়েছে বিতর্কিত ও সন্ত্রাসবাদের তালিকায় থাকা অনেক ব্যক্তিকে নিয়ে। সরকারে স্থান পাননি কোনো নারী। এমনকি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে আফগানিস্তানের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোকেও, যা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো এখনো তালেবানের নতুন সরকারকে সমর্থন জানায়নি।