দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুয়র্ৎস৷ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি তার স্থলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শালেনব্যার্গ এর নাম প্রস্তাব করেছেন৷
বিবিসি জানায়, ক্ষমতাসীন ওভিপি পিপলস পার্টির সঙ্গে যোগসূত্র আছে এমন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানোর পর কুয়র্ৎস এবং আরও নয়জনের বিরুদ্ধে অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত চলছে৷
একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকায় ভাল খবর ছাপানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সরকারি অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুয়র্ৎস৷
এ সপ্তাহে এই অভিযোগ ওঠার পর কুয়র্ৎসের জোট সরকার ধসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। জোটের এক কনিষ্ঠ অংশীদার ‘দ্যা গ্রিনস’ বলেছিল, কুয়র্ৎস আর চ্যান্সেলর হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।
কুয়র্ৎস পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছেন গ্রিন পার্টির নেতা ও ভাইস চ্যান্সেলর ওয়ারনার কগলার।তিনি শ্যালেনবার্গের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেছেন, তাদের মধ্যে ‘খুবই গঠনমূলক’ সম্পর্ক রয়েছে।
কুয়র্ৎস তার পদত্যাগের ঘোষণায় বলেছেন ‘‘এখন যা প্রয়োজন, তা হল স্থিতিশীলতা। এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমি সরে দাঁড়াচ্ছি। এতে বিশৃঙ্খলা ঠেকানো সম্ভব হবে।”
কুয়র্ৎস জানান, তিনি তার দলের নেতা থাকবেন এবং পার্লামেন্টে বসবেন। তিনি আরও বলেন "আমি অবশ্যই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ ব্যবহার করব।”
সেবাস্টিয়ান কুয়র্ৎস ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।
এর আগে, ২০১৭ সালে তিনি ওভিপি পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং ওই বছরেই মাত্র ৩১ বছর বয়সে নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রধানদের একজন হন।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে। দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়ের তহবিল নির্বাচনে জনমত জরিপকে ওভিপি’র অনুকূলে আনার জন্য ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল’৷
এ অভিযোগে কুয়র্ৎস ও তার কয়েকজন রাজনৈতিক সহযোগীসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
“বিশ্বাস ভঙ্গ, দুর্নীতি, ঘুষের” সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে এই তদন্ত চলছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অস্ট্রিয়ার অর্থনীতি ও দুর্নীতি বিষয়ক কৌসুলির কার্যালয়।
রোববার, ১০ অক্টোবর ২০২১
দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুয়র্ৎস৷ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি তার স্থলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শালেনব্যার্গ এর নাম প্রস্তাব করেছেন৷
বিবিসি জানায়, ক্ষমতাসীন ওভিপি পিপলস পার্টির সঙ্গে যোগসূত্র আছে এমন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানোর পর কুয়র্ৎস এবং আরও নয়জনের বিরুদ্ধে অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত চলছে৷
একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকায় ভাল খবর ছাপানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সরকারি অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুয়র্ৎস৷
এ সপ্তাহে এই অভিযোগ ওঠার পর কুয়র্ৎসের জোট সরকার ধসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। জোটের এক কনিষ্ঠ অংশীদার ‘দ্যা গ্রিনস’ বলেছিল, কুয়র্ৎস আর চ্যান্সেলর হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।
কুয়র্ৎস পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছেন গ্রিন পার্টির নেতা ও ভাইস চ্যান্সেলর ওয়ারনার কগলার।তিনি শ্যালেনবার্গের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেছেন, তাদের মধ্যে ‘খুবই গঠনমূলক’ সম্পর্ক রয়েছে।
কুয়র্ৎস তার পদত্যাগের ঘোষণায় বলেছেন ‘‘এখন যা প্রয়োজন, তা হল স্থিতিশীলতা। এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমি সরে দাঁড়াচ্ছি। এতে বিশৃঙ্খলা ঠেকানো সম্ভব হবে।”
কুয়র্ৎস জানান, তিনি তার দলের নেতা থাকবেন এবং পার্লামেন্টে বসবেন। তিনি আরও বলেন "আমি অবশ্যই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ ব্যবহার করব।”
সেবাস্টিয়ান কুয়র্ৎস ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।
এর আগে, ২০১৭ সালে তিনি ওভিপি পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং ওই বছরেই মাত্র ৩১ বছর বয়সে নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রধানদের একজন হন।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে। দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়ের তহবিল নির্বাচনে জনমত জরিপকে ওভিপি’র অনুকূলে আনার জন্য ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল’৷
এ অভিযোগে কুয়র্ৎস ও তার কয়েকজন রাজনৈতিক সহযোগীসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
“বিশ্বাস ভঙ্গ, দুর্নীতি, ঘুষের” সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে এই তদন্ত চলছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অস্ট্রিয়ার অর্থনীতি ও দুর্নীতি বিষয়ক কৌসুলির কার্যালয়।