পাকিস্তানের মানুষের কাছে পরম শ্রদ্ধার ব্যক্তি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রধান কারিগর আবদুল কাদের খান। পাকিস্তানের সব বেসামরিক খেতাব রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের চোখে তিনি বিপজ্জনক ব্যক্তি।
রোববার ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে মারা গেছেন আবদুল কাদের খান। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত ২৬ আগস্ট তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ঘটনাবহুল জীবন কাটিয়েছেন আবদুল কাদের খান। পাকিস্তানিদের কাছ থেকে বীরের সম্মান পেলেও সমালোচনা ও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তাঁর। যাঁরা পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়তে চান, তাঁদের কাছে আবদুল কাদের খান তুমুল সমালোচিত ব্যক্তি। আর পশ্চিমাদের চোখে তিনি রীতিমতো খলনায়ক। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন দেশের কাছে পারমাণবিক প্রযুক্তি পাচারের মতো বিপজ্জনক পথে হেঁটেছেন আবদুল কাদের খান। এর ফলে ইরান, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোর পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তেহরিক-ই-তাহাফুজ পাকিস্তান নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন আবদুল কাদের খান।
তেহরিক-ই-তাহাফুজ পাকিস্তান নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন আবদুল কাদের খান।
‘মহসিন-এ-পাকিস্তান’ বা ‘পাকিস্তানের কল্যাণকারী’ আবদুল কাদের খানের জন্ম ভারতের ভোপালে, ১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিল। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের তিক্ত স্মৃতি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানে পাড়ি জমান তিনি। বিজ্ঞানের ছাত্র আবদুল কাদের খান ১৯৬০ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেন। এরপর পাড়ি জমান ইউরোপে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি।
নেদারল্যান্ডসে থাকাকালে অ্যাংলো-ডাচ-জার্মান পারমাণবিক প্রকৌশল কনসোর্টিয়াম ইউরেনকো কাজ করেন। সেখান থেকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়া শিখে নেন তিনি। ‘চুরি’ করেন এ প্রক্রিয়ার নকশা। কীভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে অস্ত্র বানানোর পর্যায়ে উন্নীত করা যায়, গোপনে সেটা শিখে ফেলেন। এরপর দ্রুত ফিরে আসেন পাকিস্তানে।
সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
পাকিস্তানের মানুষের কাছে পরম শ্রদ্ধার ব্যক্তি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রধান কারিগর আবদুল কাদের খান। পাকিস্তানের সব বেসামরিক খেতাব রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের চোখে তিনি বিপজ্জনক ব্যক্তি।
রোববার ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে মারা গেছেন আবদুল কাদের খান। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত ২৬ আগস্ট তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ঘটনাবহুল জীবন কাটিয়েছেন আবদুল কাদের খান। পাকিস্তানিদের কাছ থেকে বীরের সম্মান পেলেও সমালোচনা ও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তাঁর। যাঁরা পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়তে চান, তাঁদের কাছে আবদুল কাদের খান তুমুল সমালোচিত ব্যক্তি। আর পশ্চিমাদের চোখে তিনি রীতিমতো খলনায়ক। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন দেশের কাছে পারমাণবিক প্রযুক্তি পাচারের মতো বিপজ্জনক পথে হেঁটেছেন আবদুল কাদের খান। এর ফলে ইরান, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোর পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তেহরিক-ই-তাহাফুজ পাকিস্তান নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন আবদুল কাদের খান।
তেহরিক-ই-তাহাফুজ পাকিস্তান নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন আবদুল কাদের খান।
‘মহসিন-এ-পাকিস্তান’ বা ‘পাকিস্তানের কল্যাণকারী’ আবদুল কাদের খানের জন্ম ভারতের ভোপালে, ১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিল। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের তিক্ত স্মৃতি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানে পাড়ি জমান তিনি। বিজ্ঞানের ছাত্র আবদুল কাদের খান ১৯৬০ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেন। এরপর পাড়ি জমান ইউরোপে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি।
নেদারল্যান্ডসে থাকাকালে অ্যাংলো-ডাচ-জার্মান পারমাণবিক প্রকৌশল কনসোর্টিয়াম ইউরেনকো কাজ করেন। সেখান থেকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়া শিখে নেন তিনি। ‘চুরি’ করেন এ প্রক্রিয়ার নকশা। কীভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে অস্ত্র বানানোর পর্যায়ে উন্নীত করা যায়, গোপনে সেটা শিখে ফেলেন। এরপর দ্রুত ফিরে আসেন পাকিস্তানে।