তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান থেকে আমান খালিলি নামের এক দোভাষীকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছিল পাকিস্তান। ওই দোভাষী ১৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও তৎকালীন সিনেটর জো বাইডেন ও আরও দুজন মার্কিন সিনেটরকে তুষারঝড় থেকে উদ্ধার করেছিলেন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ডন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা দ্য হিউম্যান ফার্স্ট কোয়ালিশন আফগান বংশোদ্ভূত দুজন মার্কিনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই বেসরকারি সংস্থা আফগানিস্তান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার তত্ত্বাবধানে ছিল।
দ্য হিউম্যান ফার্স্ট কোয়ালিশন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমকে জানায়, তারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি কৃতজ্ঞ। আফগানিস্তান থেকে আমান খালিলি ও তাঁর পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় ইমরান খান অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করেছেন।
কোয়ালিশন ওই বিবৃতিতে আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, কংগ্রেসম্যান জেফ ফোর্টেনবেরি, সিনেটর ক্রিস কুন, টাস্কফোর্স ইসলামাবাদের পরিচালক মার্ক টেরকোয়েস্কি ও অন্যরা আমান খালিলি নামের ওই দোভাষী ও তাঁর পরিবারকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে কোয়ালিশনকে সহায়তা করেছিলেন।
২০০৮ সালে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে তৎকালীন সিনেটর জো বাইডেনকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জরুরি অবতরণ করে। ওই হেলিকপ্টারে নেব্রাস্কার সিনেটর চাক হ্যাগেল ও ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর জন কেরিও ছিলেন। সে সময় বাইডেন ও তাঁর সঙ্গীদের উদ্ধারে সহায়তা করেন খালিলি।
গত ৩১ আগস্ট খালিলি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মাধ্যমে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি বার্তা দেন। তিনি বাইডেনকে বলেন, ‘হ্যালো মি. প্রেসিডেন্ট, আমাকে ও আমার পরিবারকে বাঁচান।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ভুলে আফগানিস্তানে রেখে যাবেন না।’ ওই দিনই চূড়ান্ত পর্যায়ে মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
সে সময় পাকিস্তানের বেসরকারি সংস্থা দ্য হিউম্যান ফার্স্ট কোয়ালিশন খালিলি ও তাঁর পরিবারকে মাজার–ই–শরিফ থেকে কাবুলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁদের আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পাকিস্তানের সহযোগিতায় খালিলি ও তাঁর পরিবারকে সীমান্ত পার করে ইসলামাবাদে নেওয়া হয়। কাতার থেকে আসা যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক উড়োজাহাজ তাঁদের ইসলামাবাদ থেকে নিয়ে আরেকটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন কর্মকর্তারা খালিলিকে প্রাথমিক পর্যায়ে উদ্ধারের জন্য পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পাকিস্তানের সহযোগিতায় মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে খালিলিকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান থেকে আমান খালিলি নামের এক দোভাষীকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছিল পাকিস্তান। ওই দোভাষী ১৩ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও তৎকালীন সিনেটর জো বাইডেন ও আরও দুজন মার্কিন সিনেটরকে তুষারঝড় থেকে উদ্ধার করেছিলেন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ডন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা দ্য হিউম্যান ফার্স্ট কোয়ালিশন আফগান বংশোদ্ভূত দুজন মার্কিনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই বেসরকারি সংস্থা আফগানিস্তান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার তত্ত্বাবধানে ছিল।
দ্য হিউম্যান ফার্স্ট কোয়ালিশন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমকে জানায়, তারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি কৃতজ্ঞ। আফগানিস্তান থেকে আমান খালিলি ও তাঁর পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় ইমরান খান অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করেছেন।
কোয়ালিশন ওই বিবৃতিতে আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, কংগ্রেসম্যান জেফ ফোর্টেনবেরি, সিনেটর ক্রিস কুন, টাস্কফোর্স ইসলামাবাদের পরিচালক মার্ক টেরকোয়েস্কি ও অন্যরা আমান খালিলি নামের ওই দোভাষী ও তাঁর পরিবারকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে কোয়ালিশনকে সহায়তা করেছিলেন।
২০০৮ সালে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে তৎকালীন সিনেটর জো বাইডেনকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জরুরি অবতরণ করে। ওই হেলিকপ্টারে নেব্রাস্কার সিনেটর চাক হ্যাগেল ও ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর জন কেরিও ছিলেন। সে সময় বাইডেন ও তাঁর সঙ্গীদের উদ্ধারে সহায়তা করেন খালিলি।
গত ৩১ আগস্ট খালিলি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মাধ্যমে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি বার্তা দেন। তিনি বাইডেনকে বলেন, ‘হ্যালো মি. প্রেসিডেন্ট, আমাকে ও আমার পরিবারকে বাঁচান।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ভুলে আফগানিস্তানে রেখে যাবেন না।’ ওই দিনই চূড়ান্ত পর্যায়ে মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
সে সময় পাকিস্তানের বেসরকারি সংস্থা দ্য হিউম্যান ফার্স্ট কোয়ালিশন খালিলি ও তাঁর পরিবারকে মাজার–ই–শরিফ থেকে কাবুলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁদের আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পাকিস্তানের সহযোগিতায় খালিলি ও তাঁর পরিবারকে সীমান্ত পার করে ইসলামাবাদে নেওয়া হয়। কাতার থেকে আসা যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক উড়োজাহাজ তাঁদের ইসলামাবাদ থেকে নিয়ে আরেকটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যায়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন কর্মকর্তারা খালিলিকে প্রাথমিক পর্যায়ে উদ্ধারের জন্য পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পাকিস্তানের সহযোগিতায় মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে খালিলিকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।