যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিভক্ত করা ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসী ও আশ্রয় প্রার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফরাসি কর্মকর্তারা প্রথমে ৩১ জনের মৃত্যুর কথা জানালেও পরে তারা ২৭ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) সমুদ্র তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকার সুবিধা নিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মানুষ ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে স্থানীয় মাছ ধরা জেলের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে সমুদ্র শান্ত থাকলেও পানি হিমশীতল ছিল।
এক ব্যক্তি সমুদ্রে একটি খালি নৌকা এবং আশেপাশে নিথর মানুষ ভাসতে দেখে উদ্ধারকারী সংস্থাকে খবর দেয়। পরে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের একটি যৌথ দল তিনটি জাহাজ এবং তিনটি হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
মৃতদের মধ্যে ৫ জন নারী এবং একটি ছোট্ট মেয়েও আছে। চুপসে যাওয়া ডিঙ্গির দুই শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদরা।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানিয়েছেন, নৌকাডুবির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করেছে ফরাসি পুলিশ। তিনি এই ঘটনাকে তার দেখা সবচেয়ে বড় অভিবাসী ট্রাজেডি বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, মারাত্মত ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়া দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নৌকায় আরোহীদের জাতীয়তা কিংবা পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
লন্ডনভিত্তিক টাইমস সংবাদপত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন আফগান সেনা রয়েছেন। তিনি ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর হয়ে কাজ করতেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তা পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর তারা ঝুঁকি নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংলিশ চ্যানেল বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জাহাজ চলাচল পথ আর এখানে স্রোতও বেশ প্রবল। মানব পাচারকারীরা সাধারণত অতিরিক্ত শরণার্থী বোঝাই ডিঙ্গিগুলোকে পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে ঢেউয়ের মর্জির ওপর ছেড়ে দেয়, আর এভাবেই ওই অভিবাসন প্রত্যাশীরা ব্রিটিশ উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এই ঘটনাকে ২০১৪ সালের পর ইংলিশ চ্যানেলে সবচেয়ে বড় একক প্রাণহানির ঘটনা বলে অভিহিত করেছে।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিভক্ত করা ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসী ও আশ্রয় প্রার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফরাসি কর্মকর্তারা প্রথমে ৩১ জনের মৃত্যুর কথা জানালেও পরে তারা ২৭ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) সমুদ্র তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকার সুবিধা নিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মানুষ ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে স্থানীয় মাছ ধরা জেলের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে সমুদ্র শান্ত থাকলেও পানি হিমশীতল ছিল।
এক ব্যক্তি সমুদ্রে একটি খালি নৌকা এবং আশেপাশে নিথর মানুষ ভাসতে দেখে উদ্ধারকারী সংস্থাকে খবর দেয়। পরে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের একটি যৌথ দল তিনটি জাহাজ এবং তিনটি হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
মৃতদের মধ্যে ৫ জন নারী এবং একটি ছোট্ট মেয়েও আছে। চুপসে যাওয়া ডিঙ্গির দুই শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদরা।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানিয়েছেন, নৌকাডুবির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করেছে ফরাসি পুলিশ। তিনি এই ঘটনাকে তার দেখা সবচেয়ে বড় অভিবাসী ট্রাজেডি বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, মারাত্মত ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়া দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নৌকায় আরোহীদের জাতীয়তা কিংবা পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
লন্ডনভিত্তিক টাইমস সংবাদপত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন আফগান সেনা রয়েছেন। তিনি ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর হয়ে কাজ করতেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তা পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর তারা ঝুঁকি নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংলিশ চ্যানেল বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জাহাজ চলাচল পথ আর এখানে স্রোতও বেশ প্রবল। মানব পাচারকারীরা সাধারণত অতিরিক্ত শরণার্থী বোঝাই ডিঙ্গিগুলোকে পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে ঢেউয়ের মর্জির ওপর ছেড়ে দেয়, আর এভাবেই ওই অভিবাসন প্রত্যাশীরা ব্রিটিশ উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এই ঘটনাকে ২০১৪ সালের পর ইংলিশ চ্যানেলে সবচেয়ে বড় একক প্রাণহানির ঘটনা বলে অভিহিত করেছে।