মৃত্যু ১ লাখ ৩২ হাজার
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশী। বৈশ্বিক সংক্রমণ ও মৃত্যু তালিকা দুটোতেই দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে অবস্থান করছে দেশটি। এখনো কার্যকর কোন প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) আবিস্কার না হওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই রাষ্ট্র প্রাণঘাতি করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিসংখ্যান প্রদানকারী নির্ভরযোগ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওয়েবসাইট থেকে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬ টায় সংগৃহীত তথ্যানুযায়ি, উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৫২ জনের। গত তিনদিনে দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আয়তনে চতুর্থ এবং জনসংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটি ভাইরাসটি প্রতিরোধে হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় ৯৩ লাখ ৩৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশ যুক্তরাষ্ট্র ৩৩ কোটি মানুষের বসবাস। করোনা শনাক্তের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৩টি। দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩২ লাখ ১০ হাজার ৬৪৯ জন মানুষ। দেশটিতে করোনা শনাক্তের অনুপাতে মৃত্যুর হার কিছুটা কমে আসলেও এখনও মৃত্যুর হার ৯ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ২২ হাজার ৮৫১; মৃত্যু ৩২ হাজার ২৬৭। আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ক্যালিফোর্নিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩ জন। আক্রান্তের হিসেবে তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও নিউ জার্সি। টেক্সাস ও ফ্লোরিডায় সংক্রমণ দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে, এরমধ্যে নিউ জার্সিতে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁণে দুই লাখ। মৃত্যুর দিক থেকে নিউ জার্সি দ্বিতীয় স্থানে আছে। এ অঙ্গরাজ্যটিতে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৫ হাজার ৩০২ জন মানুষ।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহানে শুরু হওয়া করোনার সংক্রমণ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বেজুড়ে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫৮৬ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ লাখ ৪০ হাজার ৩১ জন। করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৬ লাখ ২৩ হাজার ১১৭ জন। তবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল (৬ জুলাই) এক টুইট বার্তায় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি দুনিয়ার বিশাল ক্ষতি করেছে বেইজিং। চীনের গবেষণাগার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে আগে বেশ কয়েকবার ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করলেও এর কোনও প্রমাণ পায়নি বিশেষজ্ঞরা। চীনও ট্রাম্টের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছে।
করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোরই শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র; এরপর ব্রাজিলের অবস্থান। সংক্রমণে তিন থেকে পাঁচ নম্বরে আছে যথাক্রমে ভারত, রাশিয়া ও পেরু। মৃত্যু তালিকায় তিন থেকে পাঁচ নম্বরে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, ইতালি ও মেক্সিকোর অবস্থান। বিশ্বে করোনা সংক্রমণের শীর্ষ তালিকার ৬ থেকে ১০ নম্বরে যথাক্রমে রয়েছে- স্পেন, চিলি, যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো ও ইরান। ১১ থেকে ১৫ নম্বর অবস্থানে আছে যথাক্রমে ইতালি, পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৬ থেকে ২০ নম্বরে আছে যথাক্রমে জার্মানি, ফ্রান্স, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া ও কানাডা। করোনার উৎসস্থল চীন রয়েছে সংক্রমণ তালিকার ২২ নম্বরে।
মৃত্যু ১ লাখ ৩২ হাজার
মঙ্গলবার, ০৭ জুলাই ২০২০
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশী। বৈশ্বিক সংক্রমণ ও মৃত্যু তালিকা দুটোতেই দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে অবস্থান করছে দেশটি। এখনো কার্যকর কোন প্রতিষেধক (ভ্যাকসিন) আবিস্কার না হওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই রাষ্ট্র প্রাণঘাতি করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিসংখ্যান প্রদানকারী নির্ভরযোগ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওয়েবসাইট থেকে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬ টায় সংগৃহীত তথ্যানুযায়ি, উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৫২ জনের। গত তিনদিনে দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আয়তনে চতুর্থ এবং জনসংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটি ভাইরাসটি প্রতিরোধে হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় ৯৩ লাখ ৩৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশ যুক্তরাষ্ট্র ৩৩ কোটি মানুষের বসবাস। করোনা শনাক্তের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৩টি। দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩২ লাখ ১০ হাজার ৬৪৯ জন মানুষ। দেশটিতে করোনা শনাক্তের অনুপাতে মৃত্যুর হার কিছুটা কমে আসলেও এখনও মৃত্যুর হার ৯ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ২২ হাজার ৮৫১; মৃত্যু ৩২ হাজার ২৬৭। আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ক্যালিফোর্নিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩ জন। আক্রান্তের হিসেবে তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও নিউ জার্সি। টেক্সাস ও ফ্লোরিডায় সংক্রমণ দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে, এরমধ্যে নিউ জার্সিতে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁণে দুই লাখ। মৃত্যুর দিক থেকে নিউ জার্সি দ্বিতীয় স্থানে আছে। এ অঙ্গরাজ্যটিতে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৫ হাজার ৩০২ জন মানুষ।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহানে শুরু হওয়া করোনার সংক্রমণ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বেজুড়ে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫৮৬ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ লাখ ৪০ হাজার ৩১ জন। করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৬ লাখ ২৩ হাজার ১১৭ জন। তবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল (৬ জুলাই) এক টুইট বার্তায় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি দুনিয়ার বিশাল ক্ষতি করেছে বেইজিং। চীনের গবেষণাগার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে আগে বেশ কয়েকবার ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করলেও এর কোনও প্রমাণ পায়নি বিশেষজ্ঞরা। চীনও ট্রাম্টের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছে।
করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোরই শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র; এরপর ব্রাজিলের অবস্থান। সংক্রমণে তিন থেকে পাঁচ নম্বরে আছে যথাক্রমে ভারত, রাশিয়া ও পেরু। মৃত্যু তালিকায় তিন থেকে পাঁচ নম্বরে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, ইতালি ও মেক্সিকোর অবস্থান। বিশ্বে করোনা সংক্রমণের শীর্ষ তালিকার ৬ থেকে ১০ নম্বরে যথাক্রমে রয়েছে- স্পেন, চিলি, যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো ও ইরান। ১১ থেকে ১৫ নম্বর অবস্থানে আছে যথাক্রমে ইতালি, পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৬ থেকে ২০ নম্বরে আছে যথাক্রমে জার্মানি, ফ্রান্স, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া ও কানাডা। করোনার উৎসস্থল চীন রয়েছে সংক্রমণ তালিকার ২২ নম্বরে।